চুলের সমস্যা ছেলেদেরও কম নয়। ছেলেদের চুলের নানা সমস্যার সমাধানও আছে। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সৈয়দ আফজালুল করিম ও হেয়াররোবিকসের হেড অব অপারেশনস তানজিমা শারমীন ছেলেদের চুলের নানা সমস্যার পরামর্শ দিয়েছেন।
টাক পড়া
মাথায় অকালে টাক পড়া ও পাকা প্রায় একই কারণে হয়ে থাকে। টাক পড়া ছেলেদের অন্যতম সমস্যা। অল্প বয়সী ছেলেদের মধ্যেও টাক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। অল্প বয়সেটাক পড়ার নানা কারণ আছে। টাক পড়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া বলা যায়, যা শুরু হয় কপালের দুই পাশে রগের কাছ থেকে। তারপর ক্রমেই বাড়তে থাকে মাথার সামনের দিকে এবং এটা আস্তে আস্তে পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন আপনার পুরো মাথার চুল পড়ে যায়। বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে এটি হতে পারে। আবার বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কারও কারও টাক পড়া শুরু হয়ে যায়। এ ছাড়া অল্প বয়সে চুল পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ। রক্তস্বল্পতা, ওজন কমানোর জন্য খাওয়াদাওয়া একদম কমিয়ে দেওয়াও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। সুষম খাবারের বদলে অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চকলেট ইত্যাদি খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হয়েও চুল পড়ে যেতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকব্রাশ করে চুল আঁচড়ালে সাধারণত কপাল চওড়া হয়ে থাকে। ব্যাকব্রাশ করার কারণে অনেকের মাথায় টাক পড়তেও দেখা যায়।
টাক পড়া দীর্ঘস্থায়ী অসুখ। অনেক কারণে মাথায় টাক পড়তে পারে। চুলের পুষ্টি আসে ত্বকের পুষ্টি থেকে। ত্বকের পুষ্টির জন্য আমাদের ভালো খাবার খেতে হবে। চুলের পুষ্টির কারণেও অনেক সময় মাথায় টাক পড়ে। বংশগত কারণেও টাক পড়ে। তা ছাড়া চুল ভালোভাবে পরিষ্কার না করা, দুশ্চিন্তা করা ইত্যাদি কারণে মাথায় টাক পড়ে। কিছু জিনিস ভালোভাবে মেনে চললে মাথায় টাক পড়া কিছুটা কমে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ট্রিটমেন্ট ভালো কাজ করে।
চুল পাকা
অনেক সময় অল্প বয়সে চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়। অনেক কারণে অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। চুলের গোড়ায় থাকা মেলানোসাইটের কারণে চুলের রং কালো হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে মেলানোসাইট ক্ষতিগ্রস্ত হলেই চুল সাদা হয়ে যায়। অনেক সময় চুলের গোড়ায় খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে অল্প বয়সে ছেলেদের মাথার চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়।
তবে পাকা চুলের ব্যাপারে বংশগত ধারা একটি বিরাট কারণ। পাকা চুল ঢাকতে চুলে কালার করা যেতে পারে। একবার চুল পাকলে তার প্রতিকার করা যায় না। তবে হেয়ার ট্রিটমেন্ট চুল পাকা থেকে কিছুটা রোধ করে। চুল পাকা কমাতে হরীতকী, মেহেদিপাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে টনিক হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে চুল পাকা কমে যেতে পারে। এ ছাড়া জবাফুল বাটা, গন্ধরাজ বাটা, আমলা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল কালো ও উজ্জ্বল হয়।
চুল পড়ার কারণ
সর্বদা দুচিন্তা, ভয়, আশঙ্কা, অশান্তির মধ্যে কাটালে অনেক সময় চুল পড়ে যেতে পারে।
টাটকা শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি পরিমাণমতো না খেলে চুল পড়ে বা পেকে যেতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম না করলে শরীরের রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে না। এ থেকেও চুল পড়ে।
সৌন্দর্যচর্চার নানা কৃত্রিম পদ্ধতি বেশি ব্যবহারের ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বারবার রিবন্ডিং, রং করা চুলের ক্ষতির কারণ।
পরিবেশদূষণ, পানিদূষণ, বায়ুদূষণ ইত্যাদি পরোক্ষভাবে দায়ী চুল পড়ার জন্য।
খুশকি
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম বলেন, ছেলেদের মাথায় বিভিন্ন কারণে খুশকি হয়ে থাকে। খুশকি কোনো রোগ বা রোগের লক্ষণ নয়। খুশকি প্রায় সব ছেলের কমবেশি হয়ে থাকে। নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখুন। তাতেই খুশকি অনেক কমে যাবে।
মেথিবাটা, পেঁয়াজ, নিমপাতা, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। আপনার ব্যবহূত চিরুনি ডেটল পানিতে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালেও খুশকি কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত খুশকি তাড়াতে মাথায় তেল দেওয়া বন্ধ রাখুন। খুশকিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখুন। এক দিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। দুই সপ্তাহের মধ্যে খুশকি কমে যেতে পারে।
টকদই ও মেহেদিবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মাথায় চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩৫-৪০ মিনিট। পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। দু-তিনবার ব্যবহারে আপনার খুশকি চলে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে অনেক সুন্দর। দুই থেকে তিন দিন বা সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করতে পারেন।
তিলের তেল, মেথি গুঁড়ো করে মিশিয়ে ১৫ দিন রেখে দিন। তারপর ওই তেল দুই মাস ব্যবহার করুন। খুশকির হাত থেকে রেহাই পাবেন। পাশাপাশি চুল পড়াও অনেক কমে যাবে।
কাঁচা পেঁয়াজের তেল খুশকি দূর করে।
পুরোনো তেঁতুল গুলিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এতে খুশকি দূর হবে
টাক পড়া
মাথায় অকালে টাক পড়া ও পাকা প্রায় একই কারণে হয়ে থাকে। টাক পড়া ছেলেদের অন্যতম সমস্যা। অল্প বয়সী ছেলেদের মধ্যেও টাক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। অল্প বয়সেটাক পড়ার নানা কারণ আছে। টাক পড়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া বলা যায়, যা শুরু হয় কপালের দুই পাশে রগের কাছ থেকে। তারপর ক্রমেই বাড়তে থাকে মাথার সামনের দিকে এবং এটা আস্তে আস্তে পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন আপনার পুরো মাথার চুল পড়ে যায়। বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে এটি হতে পারে। আবার বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কারও কারও টাক পড়া শুরু হয়ে যায়। এ ছাড়া অল্প বয়সে চুল পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ। রক্তস্বল্পতা, ওজন কমানোর জন্য খাওয়াদাওয়া একদম কমিয়ে দেওয়াও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। সুষম খাবারের বদলে অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চকলেট ইত্যাদি খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হয়েও চুল পড়ে যেতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকব্রাশ করে চুল আঁচড়ালে সাধারণত কপাল চওড়া হয়ে থাকে। ব্যাকব্রাশ করার কারণে অনেকের মাথায় টাক পড়তেও দেখা যায়।
টাক পড়া দীর্ঘস্থায়ী অসুখ। অনেক কারণে মাথায় টাক পড়তে পারে। চুলের পুষ্টি আসে ত্বকের পুষ্টি থেকে। ত্বকের পুষ্টির জন্য আমাদের ভালো খাবার খেতে হবে। চুলের পুষ্টির কারণেও অনেক সময় মাথায় টাক পড়ে। বংশগত কারণেও টাক পড়ে। তা ছাড়া চুল ভালোভাবে পরিষ্কার না করা, দুশ্চিন্তা করা ইত্যাদি কারণে মাথায় টাক পড়ে। কিছু জিনিস ভালোভাবে মেনে চললে মাথায় টাক পড়া কিছুটা কমে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ট্রিটমেন্ট ভালো কাজ করে।
চুল পাকা
অনেক সময় অল্প বয়সে চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়। অনেক কারণে অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। চুলের গোড়ায় থাকা মেলানোসাইটের কারণে চুলের রং কালো হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে মেলানোসাইট ক্ষতিগ্রস্ত হলেই চুল সাদা হয়ে যায়। অনেক সময় চুলের গোড়ায় খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে অল্প বয়সে ছেলেদের মাথার চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়।
তবে পাকা চুলের ব্যাপারে বংশগত ধারা একটি বিরাট কারণ। পাকা চুল ঢাকতে চুলে কালার করা যেতে পারে। একবার চুল পাকলে তার প্রতিকার করা যায় না। তবে হেয়ার ট্রিটমেন্ট চুল পাকা থেকে কিছুটা রোধ করে। চুল পাকা কমাতে হরীতকী, মেহেদিপাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে টনিক হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে চুল পাকা কমে যেতে পারে। এ ছাড়া জবাফুল বাটা, গন্ধরাজ বাটা, আমলা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল কালো ও উজ্জ্বল হয়।
চুল পড়ার কারণ
সর্বদা দুচিন্তা, ভয়, আশঙ্কা, অশান্তির মধ্যে কাটালে অনেক সময় চুল পড়ে যেতে পারে।
টাটকা শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি পরিমাণমতো না খেলে চুল পড়ে বা পেকে যেতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম না করলে শরীরের রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে না। এ থেকেও চুল পড়ে।
সৌন্দর্যচর্চার নানা কৃত্রিম পদ্ধতি বেশি ব্যবহারের ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বারবার রিবন্ডিং, রং করা চুলের ক্ষতির কারণ।
পরিবেশদূষণ, পানিদূষণ, বায়ুদূষণ ইত্যাদি পরোক্ষভাবে দায়ী চুল পড়ার জন্য।
খুশকি
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম বলেন, ছেলেদের মাথায় বিভিন্ন কারণে খুশকি হয়ে থাকে। খুশকি কোনো রোগ বা রোগের লক্ষণ নয়। খুশকি প্রায় সব ছেলের কমবেশি হয়ে থাকে। নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখুন। তাতেই খুশকি অনেক কমে যাবে।
মেথিবাটা, পেঁয়াজ, নিমপাতা, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। আপনার ব্যবহূত চিরুনি ডেটল পানিতে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালেও খুশকি কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত খুশকি তাড়াতে মাথায় তেল দেওয়া বন্ধ রাখুন। খুশকিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখুন। এক দিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। দুই সপ্তাহের মধ্যে খুশকি কমে যেতে পারে।
টকদই ও মেহেদিবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মাথায় চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩৫-৪০ মিনিট। পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। দু-তিনবার ব্যবহারে আপনার খুশকি চলে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে অনেক সুন্দর। দুই থেকে তিন দিন বা সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করতে পারেন।
তিলের তেল, মেথি গুঁড়ো করে মিশিয়ে ১৫ দিন রেখে দিন। তারপর ওই তেল দুই মাস ব্যবহার করুন। খুশকির হাত থেকে রেহাই পাবেন। পাশাপাশি চুল পড়াও অনেক কমে যাবে।
কাঁচা পেঁয়াজের তেল খুশকি দূর করে।
পুরোনো তেঁতুল গুলিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এতে খুশকি দূর হবে