কথায় আছে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি। দর্শক-সমর্থকদের
তো প্রত্যাশা সব সময় থাকবেই। কিন্তু আর্জেন্টিনার বেলায় এবার তা সীমা
ছাড়ায়নি। এমনকি আর্জেন্টিনার পত্র-পত্রিকাতেও খেলার খবর প্রথম পৃষ্ঠায় যতটা
দেখা গেছে। আলোচনা কম হলে দর্শকদের প্রত্যাশা যেমন কম থাকে তেমনই চাপও
খেলোয়াড়দের ওপর কম থাকে। আর আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের বেলায় এবার এটাই হয়েছে
আশীর্বাদ। তাদেরকে বাড়তি চাপ নিয়ে খেলতে হয়নি। তারা নিজেদের মতো করে খেলে
গেছেন নীরবে। আন্ডারডগ হিসেবে খেলার মজাই আলাদা। ফাইানালেও এ সুবিধাটা পাবে
আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলকে ৭ গোলে হারিয়ে জার্মানি এখন হাওয়ায় উড়ছে। আর
আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পেয়েছে গোলহীন খেলায়। সবাই ভাবছে
জার্মানির সামনে আর্জেন্টিনা পাত্তাই পাবে না। তাই ফাইনালে চাপটা থাকবে
জার্মানির ওপরই বেশি। আর্জেন্টাইনরা তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই
জার্মানদের আটকে রাখতে পারবে। জার্মানরা আহামরি শক্তিশালী কোন দল নয়, ভিন
জগৎ থেকে আসা কোন দলও নয়। তাদেরকে অহেতুক ভয় পেলেই বিপদ। আজ রিও ডি জেনিরোর
মারাকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে স্বপ্নের ফাইনাল। ২৪ বছর আগের প্রতিশোধ
নেয়ার সুযোগ আর্জেন্টিনার সামনে। ১৯৯০-এ জার্মানির কাছে হেরেই শিরোপা
হারিয়েছিল ম্যারাডোনার দল। আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার ও ম্যারাডোনার জামাতা
হিসেবে পরিচিত (গত বছর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে) সার্জিও আগুয়েরো বলেন,
বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে ব্রাজিলের পাশাপাশি জার্মানি সবসময়ই ফেভারিট দল।
তারা তা বজায়ও রেখেছে। আমাদের কেবল আমাদের খেলাটাই খেলে যাওয়া উচিত। সকল
চাপই তাদের ওপর। আমরা ফাইনালে উঠেছি এবং আমাদের খেলতেই হবে আর সম্ভাব্য
সবভাবেই এটা জেতার চেষ্টা করা। তিনি বলেন, আমরা বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাই।
কিন্তু আমরা জানি জার্মানি দারুণ একটি দল। তারা পরস্পরকে ভালভাবে জানে।
কারণ অনেক বছর ধরেই একসঙ্গে খেলছে। তবে এটা পরিষ্কার যে, আর্জেন্টিনা সব
সময়ই জেতার জন্য খেলে। তবে খেলার সময় আপনাকে সতর্ক হতেই হবে। আমাদের লক্ষ্য
সম্পর্কে আমরা সজাগ এবং মাঠে তা অর্জন করার জন্য সবকিছুই করবো।
আমরা সামর্থ্যের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী
আগুয়োরোর সতীর্থ ম্যাক্সি রডরিগেস জোর দিয়ে বলেন যে, আর্জেন্টিনা জার্মানিকে হারাতে সক্ষম। তিনি বলেন, জার্মানি বরাবরই শক্তিশালী ও আক্রমণাত্মক প্রতিপক্ষ কিন্তু যদি আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারি তবে আমরা যে কাউকেই হারাতে পারি। আমি বাকি জীবন চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই বাঁচতে চাই। এটা সব আর্জেন্টাইনেরই স্বপ্ন।’ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ২৬ বছর বয়সী আগুয়েরো শেষ ৪০ মিনিট খেলেছেন। চোটের কারণে সুইজারল্যান্ড ও বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি তিনি। আজ ডি. মারিয়াও খেলতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আমরা সামর্থ্যের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী
আগুয়োরোর সতীর্থ ম্যাক্সি রডরিগেস জোর দিয়ে বলেন যে, আর্জেন্টিনা জার্মানিকে হারাতে সক্ষম। তিনি বলেন, জার্মানি বরাবরই শক্তিশালী ও আক্রমণাত্মক প্রতিপক্ষ কিন্তু যদি আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারি তবে আমরা যে কাউকেই হারাতে পারি। আমি বাকি জীবন চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই বাঁচতে চাই। এটা সব আর্জেন্টাইনেরই স্বপ্ন।’ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ২৬ বছর বয়সী আগুয়েরো শেষ ৪০ মিনিট খেলেছেন। চোটের কারণে সুইজারল্যান্ড ও বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি তিনি। আজ ডি. মারিয়াও খেলতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।