সোমবার, জুলাই ১৪, ২০১৪

ছেলেদের সৌন্দর্য চর্চায় জরুরী

সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় রূপচর্চা শুধু মেয়েদের জন্য। কিন্তু আসলে কি তাই? রূপচর্চার ব্যাপারটি কি শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য নির্ধারিত? এসব প্রশ্নে জবাব একটাই। না। প্রত্যেক মানুষেরই আলাদা ব্যক্তিত্ব আছে। সে মেয়েই কিংবা ছেলেই হোক। আর সৌন্দর্যের সাথে ব্যক্তিত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই সৌন্দর্যের জন্য ছেলেদের রূপেও দরকার পরিচর্যার ছোঁয়া। আজকাল ছেলেদের মধ্যে সৌন্দর্য সচেতনতা বেড়েছে। নিজে নিজে ঘরে বসেই সৌন্দর্য চর্চা করেন অনেক ছেলেই। শহরে বিভিন্ন নামী দামী বিখ্যাত সেলুন থেকে শুরম্ন করে পাড়া মহলস্নার ছোট খাটো সাধারণ সেলুনেও রয়েছে পুরম্নষের সৌন্দর্য বিকাশের নানা সুযোগ সুবিধা। যেখানে শেভ থেকে শুরম্ন করে ফেস ওয়াশ, স্ক্র্যাব, স্টিমিং ইত্যাদির সুযোগ রয়েছে। এমনিতে ছেলেদের ত্বক মেয়েদের ত্বকের তুলনায় আলাদা। কারণ ছেলেদের ত্বকে থাকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন। ফলে ত্বক হয় পুরম্ন ও মোটা। ছেলেদের ত্বকে তেল নিঃসরণের মাত্রাটাও থাকে বেশি। নানা কাজের ব্যসত্মতায় বাইরে রোদে বৃষ্টিতে ছোটাছুটি করতে হয়। সারাদিন বাইরে থাকতে হয় বলে ত্বকের ওপর অত্যাচারের মাত্রাটাও বেশি। ছেলেদের রূপচর্চার তিনটি অংশ থাকে প্রধানত। এগুলো হলো ডিপ ক্লিনজিং, শেভিং এবং ময়েশ্চারাইজিং।

ডিপ ক্লিনজিং এর কথা শুনে অনেকেই ভয় পেয়ে যেতে পারেন। নাম শুনে ভয় পাবেন না। এটা তেমন কিছু নয়। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করাই ডিপ ক্লিনজিং। বেসন বা মসুর ডাল বাটা দিয়েও এ কাজটি করতে পারেন। তবে যাই ব্যবহার করম্নন না কেন কম ৰারযুক্ত প্রসাধন ব্যবহার করবেন। আর প্রাকৃতিক প্রসাধন উপাদান ব্যবহার করাটা সবচেয়ে ভাল। ডিপ ক্লিনজিংয়ের ফলে ত্বকের লোমকুপের মুখ খুলে যায়, ফলে আটকে থাকা ময়লা সহজেই বের হয়ে আসে।

শেভিং তো সাধারণ ব্যাপার পুরম্নষদের জন্য। ছেলেরা দাড়ির বাহারি রকমে বরাবরই একেকজন সরস। ফ্রেঞ্চ, ক্লিপ, খোঁচা খোঁচা- একেক জনের একেকটি স্টাইল পছন্দ। তবে পছন্দ যাই হোক না কেন এর উপস্থাপনা বা প্রেজেন্টেশন হতে হবে পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি। শেভিংয়ের ৰেত্রেও ত্বক উপযোগী ক্রিম, ফোম অথবা জেল ব্যবহার করা উচিত। অ্যান্টিসেপটিক ফোম, জেল ক্রিম ব্যবহার করা ভাল। শেভিং রেজারের বেলায়ও বাছাই হওয়া চাই নিখুঁত। টুইন ট্রিপল বেস্নডের শেভে ত্বক হয় মসৃণ। আফটার শেভ লোশন ত্বকের আদর্্রতা ফিরিয়ে আনে।

ময়েশ্বরাইজিংও বেশ জরম্নরি পুরম্নষদের সৌন্দর্য চর্চায়। নানা কারণে ছেলেদের ত্বক আদর্্রহীন হয়ে পড়ে। এই আদর্্রতা ফিরিয়ে আনতে দরকার ময়েশ্চরাইজিং। যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের অয়েল বেজড ময়েশ্চরাইজার আর তৈলাক্ত ত্বকে ওয়াটার বেজড ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করা উচিত। প্রাকৃতিক উপাদান যেমন সামুদ্রিক লবণ, আলোভেরা, ভিটামিন সমৃদ্ধ ময়েশ্চরাইজার খুব উপকারী। ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন অ্যান্টি অঙ্েিডন্ট। রোদের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন বা সানবস্নক। কিন্তু এর এস পি এফ হওয়া উচিত নূ্যনতম ১৫।

শেভ শেষে আজকাল আর ফিটকিরি তেমন ব্যবহার করে না সবাই। অথচ ফিটকিরি ব্যবহারে খুব সহজেই ত্বককে ফ্রেশ করা যায়। ফ্রেশ থাকতে হলে নিয়মিত শেভ করতে হবে। আর যদি অভ্যাসটি এমন হয় শুধুমাত্র ডেটিংয়ে যাবার দিনই শেভ তবে দয়া করে অভ্যাসটি পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ কোন পুরম্নষকে একজন নারী তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে পছন্দ করবে এমন তো হতে পারে না। সবার সামনেই নিজের স্মার্টনেস জাহির করতে নিজেকে সব সময়ে ঝকঝকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ফ্রেশ রাখতে হবে।

সারাদিন যেহেতু ছেলেদের ঘরে বাইরে নানা কাজ করতে হয়। তাই রাতে ও সকালে দুবারই সাবান দিয়ে গোসল করা উচিত