প্রতিদিন চলতে-ফিরতে অনেক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় আপনাকে। হয়তো পাশ কাটান অথবা ভুলেই যান সেগুলি আরো অনেক ব্যাপারের মতন। কিন্তু আপনার এই নিত্যদিনের ছোট ছোট অভিজ্ঞতাগুলিই প্রভাব ফেলে আপনার চিন্তা-ভাবনার ওপর। ঠিক করে দেয় আপনি কীভাবে নেবেন কোন ব্যাপার। আর প্রায় সময়ই এসব ব্যাপার অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। এরকম ১২টি নেতিবাচক চিন্তার কথা নিচে দেওয়া হল।
১) অন্যকে দোষ দেওয়া
নিজের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আর কাউকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন। সবসময় ভাবুন আপনার সাথে যা হয়েছে তার জন্য আপনি নিজেই দায়ী এবং এ অবস্থা থেকে আপনাকে কেউ যদি মুক্তি দিতে পারে, তাহলে সে আপনিই। আপনার বর্তমান অবস্থান আপনার পছন্দ না, তার মানে এই না যে এই অবস্থা বদলানোর দায়িত্ব আপনি নেবেন না। অন্যকে দোষ দেওয়ার এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। এই ধরনের মানসিকতা আপনার সফলতার প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। মাথায় রাখুন, আপনি এবং শুধু আপনিই আপনার ভবিষ্যতের জন্য দায়ী।
নিজের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আর কাউকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন। সবসময় ভাবুন আপনার সাথে যা হয়েছে তার জন্য আপনি নিজেই দায়ী এবং এ অবস্থা থেকে আপনাকে কেউ যদি মুক্তি দিতে পারে, তাহলে সে আপনিই। আপনার বর্তমান অবস্থান আপনার পছন্দ না, তার মানে এই না যে এই অবস্থা বদলানোর দায়িত্ব আপনি নেবেন না। অন্যকে দোষ দেওয়ার এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। এই ধরনের মানসিকতা আপনার সফলতার প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। মাথায় রাখুন, আপনি এবং শুধু আপনিই আপনার ভবিষ্যতের জন্য দায়ী।
২) অন্যকে বদলানোর চেষ্টা করা
কেউ যদি বদলে যেতে না চায় বা না জানে তাহলে কখনোই তাকে বদলাতে পারবেন না আপনি। কেউ তখনই বদলাবে যখন সে নিজে বদলাতে চাইবে। তাই আপনি অন্য কাউকে বদলাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এই চিন্তা ছেড়ে দিন। এতে আপনার সময় কেবল নষ্টই হবে। তারা যেমন আছে তেমন থাকতে দিন। আর যদি কারো আচরণের সাথে সত্যিই মানিয়ে না নিতে পারেন তবে তাকে এড়িয়ে চলুন। অন্য কাউকে বদলে দেবার অধিকার আপনার নেই।
কেউ যদি বদলে যেতে না চায় বা না জানে তাহলে কখনোই তাকে বদলাতে পারবেন না আপনি। কেউ তখনই বদলাবে যখন সে নিজে বদলাতে চাইবে। তাই আপনি অন্য কাউকে বদলাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এই চিন্তা ছেড়ে দিন। এতে আপনার সময় কেবল নষ্টই হবে। তারা যেমন আছে তেমন থাকতে দিন। আর যদি কারো আচরণের সাথে সত্যিই মানিয়ে না নিতে পারেন তবে তাকে এড়িয়ে চলুন। অন্য কাউকে বদলে দেবার অধিকার আপনার নেই।
৩) কেন এমন হচ্ছে ভাবা
আমাদের চারপাশে অনেক জিনিস আছে, যার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে। যেমন, ওজন কমানো, পড়াশোনা শুরু করা ইত্যাদি। কিন্তু এমন অনেক কিছু আছে যেগুলি চাইলেই আপনি বদলাতে পারবেন না। যেমন ইচ্ছে করলেই আপনি আপনার অফিস বদলাতে পারবেন, কিন্তু অফিসের বসকে বদলাতে পারবেন না। আর তাই কোন কিছু কেন এমন, কেন এমন নয় এসব ভাববেন না। যা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তা বদলে ফেলুন নিজের মতন। আর যেটা বদলাতে পারছেন না সেটার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন। যার ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই সেটাকে বদলাতে চাইলে আপনার সময় তো নষ্ট হবেই, সাথে-সাথে আপনি হয়ে পড়বেন হতাশাগ্রস্ত।
আমাদের চারপাশে অনেক জিনিস আছে, যার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে। যেমন, ওজন কমানো, পড়াশোনা শুরু করা ইত্যাদি। কিন্তু এমন অনেক কিছু আছে যেগুলি চাইলেই আপনি বদলাতে পারবেন না। যেমন ইচ্ছে করলেই আপনি আপনার অফিস বদলাতে পারবেন, কিন্তু অফিসের বসকে বদলাতে পারবেন না। আর তাই কোন কিছু কেন এমন, কেন এমন নয় এসব ভাববেন না। যা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তা বদলে ফেলুন নিজের মতন। আর যেটা বদলাতে পারছেন না সেটার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন। যার ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই সেটাকে বদলাতে চাইলে আপনার সময় তো নষ্ট হবেই, সাথে-সাথে আপনি হয়ে পড়বেন হতাশাগ্রস্ত।
৪) অন্যকে বেশি সুখী ভাবা
অন্য কেউ দেখতে আপনার চেয়ে সুন্দর হতে পারে। হতে পারে তার কাছে অনেক টাকা আছে কিন্তু আপনার নেই। কিন্তু এটা নিয়ে সবসময় নেতিবাচক ভাবনা ভাববেন না। হতে পারে বাইরে থেকে তাদেরকে যতটা সুখী দেখাচ্ছে, তারা তা নন। আর তাই নিজে যেভাবে, যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, তাই নিয়েই সুখী থাকুন।
অন্য কেউ দেখতে আপনার চেয়ে সুন্দর হতে পারে। হতে পারে তার কাছে অনেক টাকা আছে কিন্তু আপনার নেই। কিন্তু এটা নিয়ে সবসময় নেতিবাচক ভাবনা ভাববেন না। হতে পারে বাইরে থেকে তাদেরকে যতটা সুখী দেখাচ্ছে, তারা তা নন। আর তাই নিজে যেভাবে, যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, তাই নিয়েই সুখী থাকুন।
৫) অন্যের প্রতি আশা রাখা কখনোই নিজের কোনো আশা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। এমনকি যদি সেটা যৌক্তিকও হয়। যেমন, আপনার স্বামী আপনার ঘরের কাজে সাহায্য করবে এই আশা আপনি করতেই পারেন। এটা আপনার কাছে যৌক্তিক মনে হতেই পারে। কিন্তু আপনার কাছে যে ব্যাপারগুলি প্রাধান্য পাচ্ছে, সেটা হয়তো অন্যের কাছে অতটা প্রধান্য পায় না। হতে পারে আপনি যেটা কারো কাছ থেকে আশা করেছিলেন, আসলে সেটা তার খুব অপছন্দের জিনিস। তাই অন্যের ব্যাপারে মনে মনে কোন আশা রাখবেন না। এতে অন্যের কিছু হোক বা না হোক, আপনারই সমস্যা হবে।
৬) অন্যের ওপর নির্ভর করা
কখনোই অন্য কারো ওপর নির্ভর করবেন না। আপনি যদি নিজেকে একলা অবস্থায় পরিপূর্ণ না ভাবতে পারেন, তবে মন খারাপ করবেন না। অথবা ভাববেন না যে অন্য কেউ এসে আপনাকে পরিপূর্ণ করে দিতে পারবে। এতে করে আপনার চারপাশের সবার ওপর মানসিক চাপ পড়বে আপনাকে খুশি রাখার। পরিপূর্ণ করার। আসলে আপনাকে কেউই সবসময়ের জন্য পরিপূর্ণতার অনুভূতি দিতে পারবে না।
কখনোই অন্য কারো ওপর নির্ভর করবেন না। আপনি যদি নিজেকে একলা অবস্থায় পরিপূর্ণ না ভাবতে পারেন, তবে মন খারাপ করবেন না। অথবা ভাববেন না যে অন্য কেউ এসে আপনাকে পরিপূর্ণ করে দিতে পারবে। এতে করে আপনার চারপাশের সবার ওপর মানসিক চাপ পড়বে আপনাকে খুশি রাখার। পরিপূর্ণ করার। আসলে আপনাকে কেউই সবসময়ের জন্য পরিপূর্ণতার অনুভূতি দিতে পারবে না।
৭) নিজেকে সঠিক ভাবা
মানুষ মাত্রই ভুল করে। আর তাই খুব সহজেই আপনার ভুল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু তার মানে এই না যে আপনি কখনোই ঠিক কথাটা বলেন না। আপনি সবসময়েই চাইবেন ঠিকটা বলতে। কিন্তু কখনো যদি আপনার মনে হয় যে আপনি ঠিক ছিলেন না, তাহলে সেটা সাথে-সাথেই স্বীকার করে নিন। প্রত্যেকেরই আলাদা অভিমত থাকতে পারে। সেটা পুরোটা শুনে তারপরই ঠিক-বেঠিক বিচারে যাওয়া উচিত।
মানুষ মাত্রই ভুল করে। আর তাই খুব সহজেই আপনার ভুল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু তার মানে এই না যে আপনি কখনোই ঠিক কথাটা বলেন না। আপনি সবসময়েই চাইবেন ঠিকটা বলতে। কিন্তু কখনো যদি আপনার মনে হয় যে আপনি ঠিক ছিলেন না, তাহলে সেটা সাথে-সাথেই স্বীকার করে নিন। প্রত্যেকেরই আলাদা অভিমত থাকতে পারে। সেটা পুরোটা শুনে তারপরই ঠিক-বেঠিক বিচারে যাওয়া উচিত।
৮) অন্যের চিন্তা নিয়ে ভাবা
অন্যরা আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে, এটা ভাবা বন্ধ করুন। সত্যি বলতে, প্রত্যেকেই তার নিজের ভাবনায় সবসময় ব্যস্ত থাকে। ঠিক আপনারই মতন। অন্যের ব্যাপারে ভাবার জন্য তারা খুব কমই সময় দেয়। আর তারপরেও যদি কেউ আপনাকে ভুলভাবে যাচাই করে, তাহলে সোজা এড়িয়ে যান তাদেরকে।
অন্যরা আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে, এটা ভাবা বন্ধ করুন। সত্যি বলতে, প্রত্যেকেই তার নিজের ভাবনায় সবসময় ব্যস্ত থাকে। ঠিক আপনারই মতন। অন্যের ব্যাপারে ভাবার জন্য তারা খুব কমই সময় দেয়। আর তারপরেও যদি কেউ আপনাকে ভুলভাবে যাচাই করে, তাহলে সোজা এড়িয়ে যান তাদেরকে।
৯) সত্য-মিথ্যার পরিমাণ
পৃথিবীতে কোন একটা বিষয় একই সাথে সবার কাছে সত্যি হতে পারে না। সত্যি-মিথ্যা ব্যাপারটাই আপেক্ষিক। প্রত্যেকেই তার নিজের জীবনদর্শন দিয়ে কোন ব্যাপারকে যাচাই করতে চায়। কারো যদি একটা বিষয় সঠিক মনে হয়, অন্য কারো সেটা ভুলও মনে হতে পারে। আর তাই কখনোই ভাববেন না যে কোনো একটা ব্যাপার আপনার চোখে সত্যি মনে হলেও আর সবার কাছেও সত্যি।
পৃথিবীতে কোন একটা বিষয় একই সাথে সবার কাছে সত্যি হতে পারে না। সত্যি-মিথ্যা ব্যাপারটাই আপেক্ষিক। প্রত্যেকেই তার নিজের জীবনদর্শন দিয়ে কোন ব্যাপারকে যাচাই করতে চায়। কারো যদি একটা বিষয় সঠিক মনে হয়, অন্য কারো সেটা ভুলও মনে হতে পারে। আর তাই কখনোই ভাববেন না যে কোনো একটা ব্যাপার আপনার চোখে সত্যি মনে হলেও আর সবার কাছেও সত্যি।
১০) ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা
দুঃশ্চিন্তা হচ্ছে আপনি যা চান না সেটার জন্যই প্রার্থনা করা। আর তাই আপনি যে ব্যাপারটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করছেন, সেটাই আরো বেশি করে প্রার্থনা করছেন। তাই ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিন। নিজেকে বর্তমানে দেখুন আর কাজ করুন যাতে ভবিষ্যত সুন্দর হয়। ভবিষ্যতের কথা আগে থেকেই ভেবে রাখলে অনেক সময় নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। ভাবতে হয় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবনাও।
দুঃশ্চিন্তা হচ্ছে আপনি যা চান না সেটার জন্যই প্রার্থনা করা। আর তাই আপনি যে ব্যাপারটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করছেন, সেটাই আরো বেশি করে প্রার্থনা করছেন। তাই ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিন। নিজেকে বর্তমানে দেখুন আর কাজ করুন যাতে ভবিষ্যত সুন্দর হয়। ভবিষ্যতের কথা আগে থেকেই ভেবে রাখলে অনেক সময় নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। ভাবতে হয় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবনাও।
১১) টাকাতেই সব সুখ
পুজিঁবাদী সমাজব্যবস্থায় টাকা আর অর্জনকেই সব সুখের কেন্দ্র মনে করা হয়। কিন্তু টাকাকেই সুখের একমাত্র চাবিকাঠি ভাববেন না। অনেক কোটিপতির কাছে অনেক টাকা থাকা সত্ত্বেও যে সুখ নেই, সামান্য কেরানির কাছেও সেটা থাকতে পারে। আর তাই টাকা নয়, আপনি নিজেই আপনাকে সুখী রাখার সবচাইতে বড় চাবিকাঠি।
পুজিঁবাদী সমাজব্যবস্থায় টাকা আর অর্জনকেই সব সুখের কেন্দ্র মনে করা হয়। কিন্তু টাকাকেই সুখের একমাত্র চাবিকাঠি ভাববেন না। অনেক কোটিপতির কাছে অনেক টাকা থাকা সত্ত্বেও যে সুখ নেই, সামান্য কেরানির কাছেও সেটা থাকতে পারে। আর তাই টাকা নয়, আপনি নিজেই আপনাকে সুখী রাখার সবচাইতে বড় চাবিকাঠি।
১২) অতীত ভবিষ্যতকে তৈরি করে
অতীতের কোন একটা অসফল কাজের ভিত্তিতে নিজের ভবিষ্যতকে নির্ণয় করবেন না। অতীত কষ্টের হতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই না যে সেটা আপনার ভভিষ্যতকেও কষ্টের করে তুলবে। অতীতের ব্যার্থতার জন্য যদি জীবনের আর সব ক্ষেত্রেও নিজেকে আগে থেকেই ব্যর্থ বলে ভাবতে শুরু করেন তাহলে এটা নিশ্চিত থাকুন যে আপনার ভবিষ্যতও ব্যর্থতার হবে। কারণ, আপনি নিজের সম্পর্কে যা ভাববেন, আপনি একটা সময় তাই হবেন। তাই ভুলে যান অতীতকে। মনোযোগ দিন বর্তমানের দিকে। সুন্দর করে তুলুন ভবিষ্যৎ।
অতীতের কোন একটা অসফল কাজের ভিত্তিতে নিজের ভবিষ্যতকে নির্ণয় করবেন না। অতীত কষ্টের হতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই না যে সেটা আপনার ভভিষ্যতকেও কষ্টের করে তুলবে। অতীতের ব্যার্থতার জন্য যদি জীবনের আর সব ক্ষেত্রেও নিজেকে আগে থেকেই ব্যর্থ বলে ভাবতে শুরু করেন তাহলে এটা নিশ্চিত থাকুন যে আপনার ভবিষ্যতও ব্যর্থতার হবে। কারণ, আপনি নিজের সম্পর্কে যা ভাববেন, আপনি একটা সময় তাই হবেন। তাই ভুলে যান অতীতকে। মনোযোগ দিন বর্তমানের দিকে। সুন্দর করে তুলুন ভবিষ্যৎ।