সোমবার, জুলাই ১৪, ২০১৪

Self combed woman

মেয়েবেলাকে কোনওদিন প্রশ্রয় দিতে পারেননি। যাবতীয় জৈবিক চাহিদাকে দূরে সরিয়ে আজীবন কুমারী থেকে যেতে হয়েছে। কৌমার্য রক্ষাই তাঁদের একমাত্র কর্তব্য। কারণ তাঁরা সবাই 'জিশুনু' প্রথার অনুগামী। প্রাচীন এই প্রথা অনুযায়ী, বাড়ির বড় মেয়েকে অবিবাহিত থেকে বাস করতে হবে বাপের বাড়িতে।
বিংশ শতকের শুরুতে চিনের দক্ষিণ গুয়াংডং প্রদেশে প্রচলিত ছিল এই 'জিশুনু' প্রথা। এই অঞ্চলে মেয়েদের কৌমার্যকে গুরুত্ব দেওয়া হত। জিশুনু প্রথার অনুগামীদের শ্রদ্ধার চোখে দেখা হত। যদি জিশুনু প্রথা অনুগামীর কোনও মেয়ে ব্রহ্মচর্য ভাঙতেন তাঁকে গ্লানির শিকার হয়ে আত্ম ঘাতী অবধি হতে হত।
এই প্রথার অনুগামীদের মধ্যে ১০ জন বৃদ্ধা এখনও জীবিত। তাঁদের মধ্যে একজন লিয়াং জিয়েউন। সঙ্গী হুয়াং লি-র সঙ্গে থাকেন বৃদ্ধাশ্রমে। দুজনেই আজীবন অবিবাহিত থেকে গেছেন। এঁদের বলা হয় self combed woman। লিয়াং-এর বয়স ৮৫ এবং হুয়াং ৯১ বছরের।
দুজনেই জানাচ্ছেন, বিয়ে না করায় কোনও অনুশোচনা নেই। কারণ শ্বশুরবাড়ির জন্য খেটে যাওয়ার থেকে বাপের বাড়ির লোকজনের জন্য পরিশ্রম করা অনেক ভাল। তাছাড়া, স্বামী গরিব হলে পরিশ্রম করতে হবে। আর স্বামী ধনী হলে তাঁর জীবনে থাকবে অন্য নারী। তার চেয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে থেকে কাজ করে যাওয়াতেই জীবনের সার্থকতা।