সেই দৃশ্যে অসহায় নারীকে বাঁচাতে আবির্ভূত হয়েছিল রোবট। মানে, খোদ রজনীকান্তের অবতার। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, প্রেক্ষাপট যদি দক্ষিণ ভারত হয়, তবে কোনও বলিউড তারাই রজনীকান্তকে সম্মান না জানিয়ে ঘাঁটি গাড়তে পারবেন না। সব সময়েই নিজেদের থেকে এগিয়ে রাখতে হবে তালাইভাকে। পাশাপাশি বোঝা গিয়েছিল এটাও, একটা সূক্ষ্ম ইগোর লড়াই শুরু হল রজনীকান্ত আর শাহরুখের মধ্যে।
সেই মন-কষাকষির জেরেই কি এবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শাহরুখ খানকে আনফলো করে দিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার? তা-ই যদি হয়, তবে একই সঙ্গে আমির খানকেও কেন আনফলো করলেন তিনি? আমিরের সঙ্গে তো তার কোনও বিবাদ ছিল বলে জানা যায়নি!
আসলে ব্যাপারটা অন্য। কিছু দিন আগেই রজনীকান্তের টুইটার অ্যাকাউন্ট পড়েছিল হ্যাকারদের খপ্পরে। সেই সময়ে হ্যাকাররা নানা লোকজনের পাশাপাশি রজনীকান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে আমির আর শাহরুখকেও ফলো করে রাখে।
যাই হোক, যথা সময়ে ঠিকঠাক হয় রজনীকান্তের টুইটার অ্যাকাউন্ট। এবং, কাদের তিনি ফলো করছেন, সেটা দেখতে গিয়ে তার চোখ কপালে ওঠে! তখনই আর উচ্চবাচ্য না করে হ্যাকারদের ফলো করা সেই সব ব্যক্তিদের আনফলো করেন তিনি। আনফলো করেন আমির এবং শাহরুখকেও।
সত্যিই তো! যাদের তিনি ফলো করার দরকার মনে করেন না, শুধুমাত্র সৌজন্য বজায় রাখার জন্যই কেনই বা করতে যাবেন?