সোমবার, জুন ৩০, ২০১৪

কঠোর সাজার বিধান রেখে ফরমালিন বিরোধী আইন

বাংলাদেশে খাদ্যে ফরমালিন মেশানো হলে যাবজ্জীবন সাজার বিধান রেখে এক নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ।

ফরমালিন কতটা বিপদজনক?

  • ফরমালিন হচ্ছে ফরম্যালডিহাইড বা মিথানলেরই অপর নাম।
  • বর্ণহীন এবং তীব্র কটুগন্ধের এই রাসায়নিককে মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে গণ্য করা হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে যদি তিরিশ মিলিলিটার মিশ্রন ঢোকানো হয় এবং তাতে যদি ৩৭ শতাংশ ফরমালডিহাইড থাকে, তাতেই তার মৃত্যু ঘটতে পারে।
  • যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল টক্সিকোলজি প্রোগ্রাম ২০১১ সালে ফরমালিনকে মানবদেহের জন্য কারসিনোজেন (ক্যান্সার সৃষ্টিকারী) বলে বর্ণনা করে।
  • ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক ধ্বংসে ফরমালিন খুবই কার্যকরী।
  • বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডেও খাদ্যে ফরমালিন ব্যবহারের প্রমান পাওয়া গেছে।
'ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৪' নামের এই খসড়া আইনটি এখন জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে।
এই আইনে বাংলাদেশে ফরমালিন বিপনন, মজুত এবং পরিবহনের জন্য সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
লাইসেন্স ছাড়া কেউ ফরমালিন আমদানী , বিক্রয় কিংবা পরিবহন করলে যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
নানা ধরণের পচনশীল খাদ্যে নির্বিচারে ফরমালিনের ব্যবহার নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এই আইনের উদ্যোগ নিল সরকার।
ফরমালিনের ঝুঁকি
মূলত মাছ এবং নানা ধরণের ফল-মূল ও সব্জি তাজা রাখতেই বাংলাদেশে যথেচ্ছ ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এর বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা গত বেশ কিছুদিন ধরে অভিযানও চালাচ্ছে। কিন্তু তাতেও এই ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ভোক্তারা।
ফলমূল এবং মাছসহ বিভিন্ন খাদ্যে কোন স্তরে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে সেটি নিয়ে উৎপাদনকারী, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ রয়েছে।
ফরমালিনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি পুলিশের অভিযান নিয়েও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিক্রেতারা।রাজশাহীর একজন পাইকারী ফল ক্রেতা ও বিক্রেতা হাবিবুর রহমান আইন কঠোর করার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ।
“ এই রকম কঠোর আইন না হলে শিক্ষা হবে না তো । আমার মতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে । ”
খাদ্যে ফরমালিন মেশানোর কারণে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে এক ধরণের উদ্বেগ রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফরমালিন মিশ্রিত খাদ্য ক্রমাগত খেতে থাকলে ক্যান্সার, লিভার ও কিডনী রোগের মতো নানাবিধ জটিল ব্যধির হার বাংলাদেশে দিনকে দিন বাড়ছে।
"আইন তো কত আছে । বহু আইন বাংলাদেশে আছে । অপরাধও তো হইতেছে । আইনে কি অপরাধ ঠেকাইতে পারছে? পারে নাই "
সেলিম হোসেন, হাতিরপুল বাজারের একজন ক্রেতা
ফরমালিনের বিরুদ্ধে বারবার কঠোর আইনের কথা বললেও বাস্তবে সেটা কতটা কাজে আসবে সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
আইন কঠোর হলেও সেটার প্রয়োগ কতটা হবে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে যথেষ্ঠ সংশয় আছে ।
ঢাকার হাতিরপুল বাজারের একজন ক্রেতা সেলিম হোসেন বলছেন , “ আইন তো কত আছে । বহু আইন বাংলাদেশে আছে । অপরাধও তো হইতেছে । আইনে কি অপরাধ ঠেকাইতে পারছে? পারে নাই ।”
তবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলছেন, যে কঠোর আইন থাকলে সেটি অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এদিকে, ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন আজ মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত হবার পর এটি সংসদে যাবে। সংসদে পাশ হবার পর এই আইন কার্যকর হবে। সংসদের চলতি অধিবেশনেই এই আইন পাশ হবার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। (বিবিসি বাংলা)

অস্ত্র-লগ্নির মধু খুঁজতে মোদীর কাছে!

প্রথমে রাশিয়া। সোমবারই ফ্রান্স। খুব শীঘ্রই আমেরিকা ও ব্রিটেন।
একের পর এক রাষ্ট্রনেতাদের বিমান দিল্লির পথ ধরছে। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার পর নতুন সরকারের সঙ্গে নতুন করে বন্ধুত্বটা ঝালিয়ে নিতে চান সকলে। এই সব সফরের প্রধান লক্ষ্য, ভারতের সমরাস্ত্র ও নতুন প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাজার ধরা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলে দিতে চায় মোদী সরকার। পাশাপাশি, মনমোহন-জমানায় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি আটকে ছিল। অরুণ জেটলির নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এ বার সেই সব চুক্তিতেও সিলমোহর দিতে চাইছে। সমরাস্ত্র সরবরাহের বরাত পেতে এবং ভারতে প্রতিরক্ষা শিল্পে নতুন সুযোগের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় সব দেশই তৎপর হয়ে উঠেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হিসেব, গত এক দশক ধরে প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার চুক্তি আটকে রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বড় অঙ্কের চুক্তি হল ২ হাজার কোটি ডলারের ১২৬টি বহুমুখী যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত। একই যুদ্ধবিমান দিয়ে আকাশ পথে হামলা, নজরদারি, সমুদ্রের উপর নজরদারি এবং ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখে দেওয়ার জন্য এই যুদ্ধবিমান কিনতে চায় ভারত। প্রায় দু’বছর ধরে ফরাসি সংস্থা ডাসল্ট-এর তৈরি রাফায়েল বিমান কেনার বিষয়ে দর কষাকষি চলছে। মোদী জমানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চুক্তির সইসাবুদ সেরে ফেলতে চাইছে।
ফ্রান্সের দিক থেকেও একই ভাবে তৎপরতা শুরু হয়েছে। সোমবারই দিল্লি আসছেন ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী লরেন্ট ফ্যাবিয়াস। নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ফ্যাবিয়াসের সফরে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকছে যুদ্ধবিমান চুক্তিই। পরের সপ্তাহে দিল্লিতে আসছেন মার্কিন সেনেটর জন ম্যাককেইন। যিনি মার্কিন সেনেটে বলেছেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি দিয়ে ভারতকে সাহায্য করতে পারে। ভারত তার সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক করে তুলতে চাইছে। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতায় দু’দিকের প্রতিরক্ষা শিল্পই লাভবান হবে বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। ম্যাককেইন যে কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন, সেই অ্যরিজোনাতেই বোয়িং, রেথেওন-এর মতো সংস্থার সদর দফতর। তাঁর সফরের পিছনে স্থানীয় রাজনীতির অঙ্কও কাজ করছে। মার্কিন সেনেটরের পরে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ এবং অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্নও ভারতে আসতে পারেন। এদের সকলের আগে দিল্লি এসে ঘুরে গিয়েছেন রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজিন। ডলারের অঙ্কে রাশিয়াই এত দিন ভারতের সব থেকে বড় সমরাস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকা তাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ভারত যখন ১০ হাজার কোটি ডলারের সমরাস্ত্র কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করার পথে, তখন কোনও দেশই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকতে চাইছে না।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, সমরাস্ত্র, যুদ্ধবিমান বা অন্যান্য সরঞ্জামের ক্ষেত্রে মোদী সরকার নীতির বদল চাইছে। গত বছর ভারত প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র আমদানি করেছিল। অন্য দেশের উপর এই নির্ভরতা কমাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, সমরাস্ত্র আমদানির বদলে ভারত নিজেই তা তৈরি করুক। ভারত নিজেই বড় মাপের সমরাস্ত্র নির্মাণকারী দেশ হয়ে উঠুক। কিন্তু শুধু দেশীয় লগ্নি বা প্রযুক্তির মাধ্যমে তা হওয়ার নয়। সেই কারণেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিদেশি রাষ্ট্রনেতারাও এই বিষয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে চাইছে। বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দিলে বহুজাতিক প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির সামনে এ দেশে লগ্নির সুযোগ তৈরি হবে। বিদেশি সংস্থাগুলি এখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত লগ্নি করতে পারে। কিন্তু বহু বিদেশি সংস্থাই এর ফলে পিছিয়ে গিয়েছে। বিদেশি সংস্থাগুলি মনে করছে, অন্তত ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া উচিত। বাণিজ্য মন্ত্রক আলোচনার জন্য যে খসড়া নোট তৈরি করেছে, তাতে অত্যাধুনিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নিরই ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেখানে বিদেশি সংস্থাগুলি দেশীয় সংস্থাগুলিকে কোনও প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করবে না, সেখানে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি লগ্নি আসতে পারবে। প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করলে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি লগ্নির অনুমতি থাকবে।

কলম্বিয়া ভাল হবে ব্রাজিলের জন্য কিন্তু তারপর ?

বক্তার নাম ক্লদিও ইব্রাহিম ভাজ লাল। ফুটবলবিশ্ব চেনে ব্র্যাঙ্কো নামেই। ভাঙা ভাঙা বললেও ইংরেজি বলতে পারেন। শনিবার চিলি ম্যাচের আগে তাঁর সঙ্গে এক-আধ মিনিট কথা হয়েছিল। মূল সাক্ষাৎকারটা নেওয়া খেলার শেষে যখন টিভি ভাষ্য ছেড়ে একা বেরিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু মুখচোখের এমনই কম্পিত অবস্থা ঠিক ইন্টারভিউ দেওয়ার মতো মনে হচ্ছিল না। তাঁর পিছন পিছন কার পার্ক অবধি হাঁটতে হাঁটতে ইন্টারভিউটা নিতে হল...
দুপুরে ম্যাচ শুরুর আগে 
প্রশ্ন: কলকাতার কথা মনে পড়ে? একটা টিভি চ্যানেলের হয়ে ক’দিন তো কোচিং করিয়েছিলেন ওখানে?
ব্র্যাঙ্কো: হ্যাঁ করিয়েছিলাম। কলকাতা খুব ভাল অভিজ্ঞতা। কিন্তু তার পর যোগাযোগ নেই।

প্র: সব বিশেষজ্ঞকেই একটা প্রশ্ন করা হচ্ছে— সুয়ারেজের শাস্তি। আপনি কী বলেন?
ব্র্যাঙ্কো: বাড়াবাড়ি হয়েছে।

প্র: ব্রাজিলের সম্ভাবনা কী দেখছেন?
ব্র্যাঙ্কো: ফাইনাল হবে ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা।

প্র: তাই?
ব্র্যাঙ্কো: একদম তাই।

প্র: ব্রাজিল?
ব্র্যাঙ্কো: কোনও উত্তর নেই।

প্র: বলছি ব্রাজিলের সম্ভাবনা?
ব্র্যাঙ্কো: উফ যা গেল! আর সম্ভাবনা!

প্র: দুপুরে তো আপনি বলে গেলেন ব্রাজিল ফাইনাল খেলবে?
ব্র্যাঙ্কো: আজকের ম্যাচটা দেখার পর আর বলছি না।

প্র: তা হলে?
ব্র্যাঙ্কো: সেমিফাইনালে যাবে। আমার মনে হয় কলম্বিয়া-উরুগুয়ে ম্যাচে কলম্বিয়া জিতবে। (তখন মারাকানার খেলা শুরু হব হব)। কলম্বিয়া সামনে পড়লে আজকের অবস্থা হবে না।

ফ্রেড (বাঁ দিকে)  বিশ্বকাপ দলে থাকুন চান না ব্র্যাঙ্কো।
প্র: কেন বলছেন?
ব্র্যাঙ্কো: চিলি ভয়ঙ্কর টাইট ম্যাচ খেলেছে। ওরা যে পর্যায়ে ব্রাজিলকে রুখেছে ভাবাই যায় না। কিন্তু কলম্বিয়া অনেক ওপেন খেলে। ওরা এই টাইটনেস দেখাতে পারবে না। বিপক্ষ ওপেন খেললে ব্রাজিলের সুবিধে হবে।

প্র: সেমিফাইনাল?
ব্র্যাঙ্কো: আর কিছু বলতে পারছি না। যা হওয়ার হবে।

প্র: আপনি খেলতেন লেফট ব্যাকে। সেই জায়গাটা দিয়েই আজকের গোলটা হল। সমস্যা কি ব্রাজিল ডিফেন্সে?
ব্র্যাঙ্কো: না, সমস্যা ডিফেন্স নয়। দাভিদ লুইজ আর থিয়াগো সিলভা দারুণ। প্রবলেমটা আমাদের ফরোয়ার্ড লাইন। গোল করার লোক একা নেইমার।

প্র: নেইমার আপনাদের চুরানব্বইয়ের বিশ্বকাপজয়ী টিমে ঢুকতেন?
ব্র্যাঙ্কো: নিঃসন্দেহে। ওকে দেখলে সোনার ব্রাজিল মনে পড়ে।

প্র: আর ফ্রেডকে দেখলে?
ব্র্যাঙ্কো: ফ্রেডকে দেখলে মনে হয় এখুনি বাদ দাও। স্কোলারির উচিত কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম মিনিট থেকে উইলিয়ানকে খেলানো।

প্র: ‘ওকে’ এটাই লাস্ট- আপনি বলেছিলেন চুরানব্বইয়ের কাপ জিততে সেক্স আর মদ্যপান ব্রাজিলকে খুব সাহায্য করেছিল। আপনার স্ত্রী নাকি ম্যাচের মধ্যে একটা অফ ডে-তেই সান ফ্রান্সিস্কোতে গর্ভবতী হন?
ব্র্যাঙ্কো: হ্যাঁ বলেছি। সেক্স টেনশন কমায়। আর একটু-আধটু বিয়ার খেলেও অসহ্য টেনশন থেকে মনটা দূরে থাকে।

প্র: এই ব্রাজিল টিমের জন্য কি একই প্রেসক্রিপশন হওয়া উচিত?
ব্র্যাঙ্কো: (এই প্রথম একটা রাগত চাহনি হেনে) আমার নাম ফিলিপাও নয়!

নেইমার নিয়ে নতুন আশা আশঙ্কার হৃদ্স্পন্দনে ব্রাজিল

নেইমার দ্য সিলভা গতকাল যখন সেন্টার সার্কল থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন পেনাল্টি স্পটে বল বসানোর জন্য, তাঁকে অতিক্রম করতে হল মোটামুটি ৪৮ গজ।
নেইমার পরে কবুল করেছেন, ওই দূরত্বটা তখনকার মতো তাঁর কাছে মনে হয়েছিল দশ কিলোমিটার! এতটাই কম্পিত আর উদ্বিগ্ন ছিলেন।
টিম ব্রাজিলেরও এক অবস্থা। ফোর্তালেজায় তাদের কলম্বিয়া ম্যাচের কিক অফ হতে আরও সাড়ে চার দিন।
কিন্তু মনে মনে তাদের মনে হচ্ছে বোধহয় অনন্তের অপেক্ষা। ব্রাজিলীয় ফুটবলাররা কাল মিক্সড জোনে স্বীকার করেছেন, নেইমারের থাইয়ের অবস্থা থেকে শুক্রবারটা ঠিক কবে গুলিয়ে যাচ্ছে!
বিখ্যাত মার্কিন নেটওয়ার্ক গতকাল রাতেই একটা অনুষ্ঠান দেখাচ্ছিল— ১৯১৪ আর ২০১৪-এ কী অদ্ভুত মিল। তাতে সিআইএ-র প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল বলছিলেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ঠিক যেমন প্ররোচনামূলক পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছিল, পাকেচক্রে একশো বছর বাদে ইরাক-ইস্যু এক প্ররোচনা শুরু করেছে! আবার না একটা মহাযুদ্ধ বাঁধে!
১৯৬৬ আর ২০১৪-এ তফাত একশো বছরের নয়! কিন্তু অবিকল একই যেন ছবি। সে বার পেলেকে মেরে মেরে বিশ্বকাপের বাইরে করে দিয়েছিল ঘাতক ডিফেন্ডাররা। এ বার নেইমারের জন্য যেন একই ভাগ্যলিপি তৈরির তোড়জোড় চলছে। মেসির সঙ্গে নেইমারের তফাত হল, যেহেতু নীচে নেমে ডিফেন্স করেন, অনেকটা বেশি জায়গা জুড়ে দৌড়োন, তাঁকে মারার সুযোগ আসে বেশি। আর ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ থেকে তাঁরই যেন সুযোগ নিচ্ছে ডিফেন্ডাররা। এক এক সময় অবাকই লাগছে তাঁর চেহারা যদি হাল্ক বা রোনাল্ডোর মতোও হত, মারটা সহ্য হত। বিশ্বকাপের জন্য দশ কেজি ওজন বাড়ানো আর পেশি উন্নত করলেও ফুটবলীয় মাপে তাঁকে প্যাংলাই বলবে লোকে।
ছয় মিনিটেই চিলি তাঁকে যে মারাত্মক ফাউল করে সেটা দেখে লুই ফিলিপ স্কোলারির কী সবর্নাশা আতঙ্ক হয়েছিল, পরে সাংবাদিক সম্মেলনে স্বীকার করলেন। তিনি পর্তুগাল কোচ থাকার সময় ডাচ ডিফেন্ডার এমনই মেরেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। রোনাল্ডো খানিকক্ষণ মাঠে থাকার চেষ্টা করেও বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। “নেইমারকে জিজ্ঞেস করলাম, পারবে? ও বলল ঠিক পারব। অতুলনীয় সাহস ছেলেটার। বললাম তো, বয়স বাইশ। কিন্তু মাথাটা পঁয়ত্রিশের।” আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছেন স্কোলারি।
ওই রকম ফোলা নিয়ে নেইমার পেনাল্টি মারতে অস্বীকার করলেও কিছু বলার ছিল না। ডান পায়ে অবিরাম লাগছে। ওই পায়ের তো ফ্লেক্সিবিলিটি থাকার কথা নয় পেনাল্টির মতো সুক্ষ্ম প্লেসিংয়ের কাজে। তার ওপর ওই চাপের মুহূর্তে। এর আগে বিশ্বকাপে জিকো, প্লাতিনি, বাজ্জোরা পর্যন্ত টেনশনে পেনাল্টি মিস করেছেন। সাঞ্চেজ অবধি পারলেন না। কিন্তু নেইমার দেখা গেল মানসিক ভাবে অন্য ধাতুর। সীমাহীন চাপও নিজের ভেতরকার প্রেশার কুকারে ঠিক সেদ্ধ করে নিতে পারেন। স্কোলারি তো বললেনই, “দেখে মনে হল সান্তোসে পেনাল্টি মারছে বা বন্ধুর বাড়ির বাগানে।”
মিক্সড জোনে নেইমার অবশ্য স্বীকার করে গেলেন, নিজের প্রচণ্ড নার্ভাসই লাগছিল। কিন্তু বলটা এক বার পায়ে পেয়ে যেতে আর কোনও টেনশন নেই। এমনিতে ম্যাচ থেকে উঠে তাঁর মনে হচ্ছে ফুটবলজীবনের কঠিনতম দিন কাটিয়ে উঠলেন। “প্রচুর চুল এক দিনে পেকে গেল। এক এক সময় মনে হচ্ছে মারাই বুঝি গিয়েছি,” এতই ক্লান্ত যে জয়োচ্ছ্বাসটা সে ভাবে নেই।
তাঁর অভিনেত্রী বান্ধবী আর বোন দু’জনেই কাল ছিলেন মাঠে। নেইমার যখন পেনাল্টি মারছেন, বান্ধবী চোখ বন্ধ করে কেমন প্রার্থনারত ছিলেন, রোববার ব্রাজিলের সব কাগজে তার ছবি।
এ বার গোটা ব্রাজিল জাতির প্রার্থনার সময়, নেইমার যেন শুক্রবার নামতে পারেন। মৃত্যুর মুখ থেকে জীবনে প্রত্যাবর্তন— এ ভাবে চিলি ম্যাচ ব্যাখ্যা করছে ব্রাজিলীয় মিডিয়া।
কিন্তু নেইমার খেলতে না পারা মানে তো এই লঝ্ঝড়ে ব্রাজিলের ফের মৃত্যুর দিকেই এগিয়ে যাওয়া।

এবার আই প্যাডেই মিলবে রতিসুখ!

আই প্যাডের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক! এও কি সম্ভব? হলিউডি কোনও ফ্যান্টাসি নয়, বাস্তবে জীবন্ত যৌন সঙ্গীর অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করতে চলেছে 'ফ্লেশলাইট লঞ্চপ্যাড'। সৌজন্যে সেক্স টয় প্রস্তুতকারী সংস্থা 'ইন্টারঅ্যাক্টিভ লাইফ ফর্মস'। 

বান্ধবীর অভাবে 'একা বোকা' থাকার দিন এবার ফুরোল। হাতে থাকা স্মার্টফোন আর ট্যাবলেটের দৌলতে পছন্দসই বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমালাপ করার সুবিধা মিলেছিল আগেই। সম্প্রতি সেই অনুভূতি আর এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগে বাজারে আসছে 'ফ্লেশলাইট লঞ্চপ্যাড'। নির্মাতাদের দাবি, এর সাহায্যে আই প্যাডের পর্দায় ভেসে ওঠা প্রেমিকার ছবি দেখতে দেখতে তাঁর সঙ্গে যৌন মিলনের সুখও পাওয়া যাবে। 

কী ভাবে সম্ভব হবে এই কাণ্ড? সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আই প্যাডের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যাবে যোনির আকারের এক অ্যাটাচমেন্ট। এই কৃত্রিম যোনির সাহায্যেই সঙ্গিনীর সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করার সময় যৌন তৃপ্তিতে মেতে উঠতে পারবেন ব্যবহারকারী। জানানো হয়েছে, ফেসটাইম বা স্কাইপে বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শরীরী মিলনের স্বাদও দেবে 'ফ্লেশলাইট অভিজ্ঞতা'। 

চলতি সপ্তাহেই বাজারে আসছে এই লঞ্চপ্যাড। মাত্র ২০ পাউন্ডের বিনিময়ে সুখের চাবিকাঠি অতএব হাতের মুঠোয়। বলা বাহুল্য, আপাতত তা থাকছে পুরুষদেরই একচেটিয়া।

আপনার শরীরে কোনও জন্ম-চিহ্ন আছে? জেনে নিন তাত্‍‌পর্য

কপালে জন্ম-চিহ্ন বা আঁচিল থাকলে- কোনও ব্যক্তির কপালে বা দুই ভুরুর মাঝখানে জন্মচিহ্ন থাকলে, সেই ব্যক্তি দয়ালু এবং সকলকে সাহায্য করতে ভালোবাসেন। এঁরা খুব আত্মবিশ্বাসী। নিজের চেষ্টায় সাফল্য লাভ করেন। তবে কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারেন না। কারও কার্যকলাপে বাধাসৃষ্টি করাও পছন্দ করেন না। এঁরা কোনও ব্যক্তির ফায়দা তোলেন না। পরিবারের সঙ্গে সুখে বাস করেন। এই ব্যক্তিরা খুব নীতিবান। শান্তি, ন্যায়, ধর্ম এবং ঐতিহ্য ভালোবাসেন।

স্কাল বা কপালের মিডিয়ান লাইনে জন্ম-চিহ্ন থাকলে- হেয়ারলাইন থেকে কপালে ভুরুর মাঝে এবং নাকের ওপর পর্যন্ত এই লাইনটি থাকে। কোনও ব্যক্তির এমন রেখা থাকলে, তিনি আনন্দ-ফূর্তি করতে ভালোবাসেন। লোকেদের সঙ্গে মেলামেশা করতেও ভালোবাসেন এঁরা। অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেন। খুব ধনী না-হলেও, শিল্পের ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেন। বিদেশ ভ্রমণের সম্ভাবনা থাকে। আত্মনির্ভর এবং স্বাধীনচেতা।


বাম বা ডান টেম্পলে আঁচিল বা জন্মচিহ্ন থাকলে- এঁরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নম্র-ভদ্র, শান্ত এবং ধার্মিক। যাঁদের এই স্থানে জন্ম-চিহ্ন বা আঁচিল থাকে, তাঁরা জ্ঞানী, ভাবুক, বাস্তববাদী হয়ে থাকেন। শিশুকালে খুব ভালো জীবন যাপন করেন। কিন্তু কিশোরাবস্থায় প্রেম এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে নানবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ২২ বছর পার করার পর তাঁদের জীবনে সুখ আসে। অনেকেই তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।

দুই ভুরুর মাঝখানে আঁচিল বা জন্ম-চিহ্ন থাকলে- এঁরা খুব সতর্ক থাকেন। কঠিন ভাবে সত্‍‌ এবং ন্যায়প্রিয়। সহ্যশক্তিখুব বেশি। চেষ্টা করলে ভাগ্য সব সময়ে এঁদের সঙ্গে থাকে। কিশোরাবস্থা পর্যন্ত জীবন সুখে কাটে না। কিন্তু স্বনির্ভর হওয়ার পর এঁদের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে ভালোবাসেন। খুব গভীর চিন্তা-ভাবনা করেন। কোনও কাজ করার আগে অনেক ভাবেন।

বাম বা ডান ভুরুতে আঁচিল বা জন্ম-চিহ্ন থাকলে- এঁরা নিজের জীবনে সবকিছুইশ্রেষ্ঠ চান। কখনও কখনও খুব অসংযত আচরণ করেন। কোনও পুরুষের ডান বা বাম ভুরুতে জন্ম-চিহ্ন থাকলে, একাধিক মহিলার সংস্পর্শে আসেন তাঁরা। মহিলাদের কারণে জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এঁদের। এঁরা শিল্পপ্রিয়। অর্থ আয়ে সমর্থ। কিন্তু উপার্জিত এঁদের হাতে টেকে না। সুখেই কিশোরাবস্থায় কাটে। তবে মাঝে-মধ্যে অসুস্থ থাকেন।

হৃত্বিকও হলিউডে?

অনিল কাপুর, ঐশ্বর্য রাই, ফ্রিডা পিণ্টোর পর হৃত্বিকও হলিউডে? সম্প্রতি এমনই এক খবরে তোলপাড় বি টাউন৷ শোনা যাচেছ, অভিনয়ের পাশাপাশি ছবিটি সহ প্রযোজনাও করবেন রোশনেরা৷ সম্প্রতি ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস', ‘দ্য ডেলাইট' খ্যাত পরিচালক রব কোহেনেকে দেখা গেল বান্দ্রার এক রেস্তোরাঁয়, হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে৷ ছিলেন হৃত্বিকের বাবা-মাও৷ এর আগে ‘কাইটস' ছবির মাধ্যমে রোশনরা হলিউডে পাড়ি জমাবার চেষ্টা করলেও ছবিটি ইণ্টারন্যাশনাল মার্কেটে তেমনভাবে ব্যবসা করতে পারেনি৷ ফলে যথেষ্টই হতাশ হয়েছিলেন হৃত্বিকের বাবা প্রযোজক-পরিচালক রাকেশ রোশন৷ তাই এবার কোনওরকম ভুল করতে চান না তিনি৷ সেজন্যই এবার ইণ্টারন্যাশনাল মার্কেটে হৃত্বিকের পাশাপাশি নিজেদের প্রযোজনা সংস্হাকেও দাঁড় করাতে চেষ্টার কসুর করছেন না রাকেশ রোশন৷ 
অপরদিকে সাম্প্রতিক বিবাহ বিচ্ছেদের পর হৃত্বিকও সম্পূর্ণভাবে মন দিতে চান তাঁর ফিল্ম কেরিয়ারে৷ 

বলিউডের সেরা বিকিনি সুন্দরী!

দীপিকা, ক্যাটরিনা, সানি, আলিয়া- সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া l দেহবল্লরীর সৌন্দর্য্যে বাকিরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খেয়েছে পিগি চপসের কাছে l বলিউডের সেরা বিকিনি সুন্দরী তিনি৷ ‘মেরি কম বায়োপিক' নিয়ে প্রবল ব্যস্ত প্রিয়ঙ্কা চোপড়া৷ সঙ্গে বাড়বাড়ন্ত মিউজিক কেরিয়ার৷ একের পর এক সিঙ্গলস হিট৷ তারই মধ্যে দেশি গার্লের নতুন খবর৷ সেক্সিয়েস্ট বিকিনি ভোটের আয়োজন করে একটি জনপ্রিয় ওয়েব পোর্টাল৷ সেখানেই সমসাময়িকদের হারিয়ে দিয়েছেন ‘হটেস্ট বডি'-র মালকিন পিগি চপস৷ মোট প্রাপ্ত ২৩,৭৭৫ ভোটের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা একাই পেয়েছেন ২২,৫৫২ ভোট৷ অর্থাত্‍ প্রিয়াঙ্কার ভাঁড়ারে এসেছে মোট ভোটের ৯৫ শতাংশ৷ বাকি পাঁচ শতাংশ ভাগাভাগি করে পেয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফ, সানি লিওন, আলিয়া ভাট ও অনুষ্কা শর্মা প্রমুখ৷

সোনমের মুকুটে নতুন পালক!

সোনমের মুকুটে নতুন পালক l এথান হকে, মনিকা বেলুচি, কার্ল লাজেরফিল্ড, ইভা লঞ্জোরিয়া, অভরিল ল্যাভিজনে, ভিন ডিজেল প্রমুখের সঙ্গে যুক্ত হল তাঁর নাম৷ বলিউডে আসর জমাতে না পারলেও আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ও বিনোদন দুনিয়ার নক্ষত্রদের সঙ্গে দিব্যি জায়গা করে নিয়েছেন সোনম কাপুর৷ সম্প্রতি আন্তর্জাতিকখ্যাত লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘হংকং' কভারে এসেছেন সোনম এবং সেটাও প্রথম ভারতীয় হিসাবে৷ সেই কভারের থিম হল ‘বলিউড রয়ালটি'জ নিউ সেক্সি'৷ ম্যাগাজিনের সম্পাদক জন ওয়াল বলেছেন, "সোনম শুধু একজন কভারের মডেল হিসাবে ফটোগ্রাফারদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন তা নয়৷ তিনি একজন বুমিতী, মেধাবী, গভীর ভাবনাসমৃদ্ধ নারী৷"

ফুটবলের দেবতা নাকি ব্রাজিলীয়! -সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

অনেকেই বলেন, ফুটবলের দেবতা নাকি ব্রাজিলীয়! শনিবার রাতে ব্রাজিল-চিলি ম্যাচে বারবারই মনে হল, দেবতা যথার্থই ব্রাজিলের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন৷ 
আসলে যে কোনও খেলাতেই যাবতীয় পরিশ্রম, পরিকল্পনা বা প্রচেষ্টার পরও একটা ব্যাপার হাতে থেকে যায়৷ চান্স ফ্যাক্টর৷ যাকে চলতি কথায় ভাগ্য বলা হয়৷ যেটা ব্রাজিলের সঙ্গে ছিল৷ না হলে, ১১৯ মিনিটের মাথায় চিলির ফরোয়ার্ডের শট বারে লেগে ফেরে না৷ যদি এক সেণ্টিমিটার নিচেও বলটা থাকত, তা হলে এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অভিযানের ওখানেই ইতি হয়ে যেত৷ 
কিন্ত্ত, বাস্তবটা হল চিলি ওই একবার নয়, টাইব্রেকারেও আরেকবার পোস্টে বল লাগাল৷ এবং বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল৷ আর ব্রাজিল গোটা ম্যাচে নজর না কেড়েও শেষ পর্যন্ত টুর্নামেণ্টে ভেসে রইল৷ 
যে ঝলমলে খেলার জন্য ব্রাজিল ফুটবলের ফ্যান দুনিয়া জুড়ে, এই ব্রাজিল দল অবশ্যই সেটা এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেনি৷ নেমারের মধ্যে বিশাল প্রতিভা আছে, নিঃসন্দেহে৷ কিন্ত্ত, বাকি দলটা? যেদিন নেমার মার্কিংয়ে আটকে যাবে, কিংবা তেমন ছন্দে থাকবে না, সেদিন বাকি দলটা প্রতিপক্ষর উপর কোনও প্রভাবই ফেলতে পারবে না৷ অন্তত চিলির বিরু‌দ্ধে ম্যাচে সেটাই বারবার করে চোখে পড়ল৷ 
খুব মনে পড়ছে, ১৯৯০-এর বিশ্বকাপে মারাদোনার কথা৷ প্রতি ম্যাচেই ওকে বোতলবন্দি করে রাখার পরিকল্পনা ছিল প্রতিপক্ষ রক্ষণের৷ সঙ্গে ছিল কড়া ট্যাকল, পা লক্ষ্য করে বুটের আঘাত ইত্যাদি৷ কিন্ত্ত, তার মধ্যেও একটা বা দু'টো ম্যাজিক মুহূর্তে গোটা রক্ষণ টপকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিল, যার থেকে ক্যানিজিয়া বা বুরুচাগা গোল করে ম্যাচ বের করেছিল৷ নেমারের বয়স অনেক কম৷ আশা করব, আরেকটা পরিপক্ক হয়ে ভবিষ্যতে ওই স্তরে নিজেকে নিয়ে যেতে পারবে৷ কিন্তু শুধুমাত্র চিলি ম্যাচ দিয়ে যদি বিচার করতে হয়, তা হলে বলতে হবে এখনও পর্যন্ত ওই গুণটা রপ্ত করতে পারেনি৷ অর্থাত্, খারাপ দিনেও একটা বা দু'টো ম্যাচ জেতানোর মুহূর্ত বের করা৷ 
নেমারের একার দোষ অবশ্য নয়৷ ওর সতীর্থরাও সেই মাপের নয়৷ যেদিন নেমার আটকে যাবে, সেদিন কী হবে সেই নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা দলের বা কোচের আছে বলে মনে হয়নি৷ 
দ্বিতীয় এমন কাউকে চোখে পড়েনি, যে ওইরকম দিনে ম্যাচ বের করে নিয়ে যেতে পারবে৷ এই ব্রাজিলকে কখনওই স্পেশাল বলা যাবে না৷ ফ্রেড বা তার বদলি জো-কে নিতান্তই সাধারণ বলে মনে হয়েছে৷ ফলে ব্রাজিল এমন একটা দলে পরিণত হতে চলেছে, যাদের নেমার ছাড়া দ্বিতীয় কোনও স্ট্রাইকার নেই৷ বিপজ্জনক ব্যাপার হল, এটা বাকি দলগুলো ভালই জেনে গিয়েছে৷ ফলে ওদের সবারই টার্গেট এবার থেকে হবে নেমার৷ ফ্রেড বা জো-কে এই জায়গা থেকে গোলের রাস্তা খুঁজে বের করতেই হবে৷ কিংবা হাল্ককে৷ যাকে দেখে মনে হল প্রচুর পরিশ্রম করছে৷ কিন্ত্ত, প্রতিপক্ষ রক্ষণে সেই দাঁত ফোটানোর ব্যাপার ওর মধ্যেও নেই৷ 
অনেকটা দু'জন ভাল ওপেনার ছাড়া একটা ক্রিকেট দলের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে এই ব্রাজিলের৷ যদি ভাল ওপেনিং জুটি না থাকে, তা হলে ইনিংসের ভিত্তিটাই তৈরি হয় না, যার উপর নির্ভর করে একটা দল ভাল রান করতে পারে৷ সেই হিসাবে ক্রিকেট দলে দুই ওপেনারের যা ভূমিকা, ফুটবল দলে দুই স্ট্রাইকারেরও তাই৷ প্রতিপক্ষ তোমায় যতই কঠিন মার্কিংয়ে রাখুক না কেন, একটা হাফ চান্স পেলেই তুমি গোল করে দেবে৷ স্ট্রাইকার এই স্তরের হওয়া দরকার৷ তা হলে গোটা দলই বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়ে যায়৷ এই বিশ্বাসটা থাকে যে, যদি গোল খেয়েও যায়, তা হলেও ঠিক গোল করে দেবে৷ 
এতটা হতাশা হচেছ কারণ, এই ব্রাজিল দলকে প্রচুর মিস পাস করতে দেখা গেল৷ যেটা আগে দেখা যায়নি৷ এমনকী, বেশিক্ষণ বল ধরেও রাখতে পারছে না৷ যাতে প্রতিপক্ষকে ইচছামতো খেলানো যায়৷ এমনটা তো আগে হয়নি৷ নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকলেই এটা সাধারণত হয়৷ এই ব্রাজিল তারকাদের কি সেটা নেই? মনে হয় না৷ এরাই তো ইউরোপের সেরা দলগুলোয় খেলে৷ তা হলে? হতে পারে, ঘরের মাঠে প্রত্যাশার মাত্রাতিরিক্ত চাপে ওরাও পরপর ভুল করে ফেলছে৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বল রিলিজ করে দিচেছ৷ যার ফলে বলের দখলও হারাচেছ৷ 
এর পরও ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে গেল৷ ওদের গোলকিপার সিজারকে ধন্যবাদ দিতেই হবে, টাইব্রেকারে দু'টো অসাধারণ সেভ করার জন্য৷ ওই কারণেই টাইব্রেকারে চিলির উপর সারাক্ষণ চাপ থেকে গেল৷ 
এর পরও একটা কথা থেকে যায়৷ সেটা হল, বড় দলগুলি নাকি বড় জায়গায় আসল খেলা বের করে আনে৷ খেলোয়াড়রাও সেরাটা দেয়৷ আমি ব্রাজিল ফুটবলের ফ্যান৷ আশা করব, পরের ম্যাচগুলোতে ওরা সেই সাম্বা ফুটবলটা বের করে আনবে, যা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষায়৷ 

ম্যাচের আগেই ১৯৮২ সালের ‘গিজনের লজ্জা'র বিষয়টা উঠে আসছে !

ম্যাচের আগেই কথার যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ভুল হল যুদ্ধ নয়৷ কারণ, একদিক থেকে যখন তোপ দেগে চলেছে আলজেরিয়া, তখন জার্মানির ছবিটা অন্যরকম৷ সেখানে রীতিমতো সমীহ করা হচ্ছে আফ্রিকার দেশটিকে৷ ফিলিপ লাম যেমন বলেই দিলেন, "আলজেরিয়াকে চাইনি৷ ওরা খুব মারাত্মক প্রতিপক্ষ৷"
অঘটন মাঝেমধ্যে হয়৷ তবে এবারের বিশ্বকাপে সেটা নিত্যকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ইতালি, ইংল্যান্ড, উরুগুয়ের মতো দল বিদায় নিয়েছে ইতিমধ্যেই৷ ভাগ্য সহায় না থাকলে হল্যান্ডকেও হয়তো বাড়ি ফিরে যেতে হত৷ শেষ ষোলোর লড়াইয়ের আগে সেই বিষয় গুলিই কি ঘুরছে জার্মান ফুটবলারদের মাথায়? হয়তো তাই৷ জোয়াকিম লোয়ের দলকে ভাবাচ্ছে ইতিহাসও৷ এখনও পর্যন্ত দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছে দু'বার৷ সব বারই জিতেছে আলজেরিয়া৷ দুই দেশের ম্যাচে গোল হয়েছে পাঁচটি৷ চারটি করেছে আলজেরিয়া৷ একটি জার্মানি৷ সেই কারণেই হয়তো ভয় পাচেছন লাম৷ বলে দিলেন, "ভাল করেই জানি সামনে কী রকম কঠিন চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে৷ আলজেরিয়ার বিরু‌দ্ধে জিততে হলে আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে হবে৷ মানে শুরু থেকেই আক্রমণের পথে যেতে হবে৷ আমরা হয়তো একটা ছোট দেশের বিরু‌দ্ধে নামব৷ কিন্ত্ত ওরা অঘটন ঘটানোর ব্যাপারে ওস্তাদ৷" শেষ ষোলোর দুই ম্যাচে টাইব্রেকারে ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে৷ তাদের পরিকল্পনাও কি সেদিকেই? উড়িয়ে দিচেছন লাম৷ বলে দিলেন, "ওদের খেলার ভিডিও দেখেছি৷ ম্যাচটা ৯০ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে৷ কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া চলবে না৷ যা পরিস্হিতি তাতে এখানে ভাল খেলতে না পারলে বাড়ি চলে আসতে হবে৷"
দুয়ের পাতায়
ম্যাচের আগেই ১৯৮২ সালের ‘গিজনের লজ্জা'র বিষয়টা উঠে আসছে৷ সেই ঘটনা দিয়েই দলকে তাতানোর চেষ্টায় রয়েছেন আলজেরিয়া কোচ৷ তাঁর কথায়, প্রতিশোধের আগুন৷ হালিহডজিক বলে দিলেন, "১৯৮৩ সালের সেই ঘটনার পর থেকে জার্মানি-আলজেরিয়া ম্যাচ নিয়ে এখনও কথা হয়৷ ব্যাপারটা আমরা ভুলিনি৷ এবার প্রতিশোধ নিতে হবে৷" ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে ইউরোপের কয়েকটি বড় দেশ বিদায় নিয়েছে৷ কেন? আলজেরিয়া কোচের মতে, জেতার খিদেটাই হারিয়ে গিয়েছে ইউরোপের দেশগুলির৷ আর সেই কারণেই এই ফল৷ ইংল্যান্ড, স্পেনের খেলা দেখে মনে হল, ওদের বেশ কিছু ফুটবলার খেলতেই ইচছুক নয়৷ এরকম দায়বহীনতা দেখালে, যেরকম রেজাল্ট হওয়ার কথা সেটাই হয়েছে৷ তবে আমি এতে অবাক৷" জার্মানি ম্যাচেও কি সেরকম অঘটন কিছু অপেক্ষা করছে? মিডফিল্ডার নবিল জানিয়েছেন, "এবার আমাদের নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পালা৷ সেটা এই ম্যাচ জিতেই করতে চাই৷"
আলজেরিয়ার কোচ থেকে ফুটবলার সবই যখন ইতিহাসের কথা সামনে এনে দলকে তাতাতে ব্যস্ত বা শুধু প্রতিশোধের কথা বলছেন, তখন লো-এর মুখে অন্য কথা৷ প্রতিপক্ষ শিবিরের মনোভাব দেখে বেশ বিস্মিত তিনি৷ "ম্যাচের আগে এসব কথা এখন কেন উঠছে বুঝতে পারছি না৷ এবার বিরক্ত লাগছে৷ গিজনের ব্যাপারটা তো অনেক আগের ঘটনা৷ হতে পারে সেই ঘটনার কথা সামনে এনে আলজেরিয়া ফুটবলারদের তাতানোর চেষ্টা চলছে৷" এরপরেই অবশ্য আলজেরিয়া নিয়ে সতর্কতা৷ জানালেন, "ওরা কী করতে পারে সেটা আবার দেখা গিয়েছে৷ ওরা কবে কী করবে কেউ জানে না৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রি-কোয়ার্টারে আমরা সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছি৷ তবে মানছি না৷ আলজেরিয়াকে হালকাভাবে নিলে ভুগতে হবে আমাদেরই৷" 

দুধের শিশু দুধ খায় না !

দুধের শিশু দুধ খায় না৷ কারণ দুধ খেলে নাকি তার পেট, মন কিছুই ভরে না৷ সকালে উঠেই তার কান্না এক বোতল বিয়ারের জন্য৷ দুপুরে খাওয়ার পর আবার চাই একটু ওয়াইন৷ একবোতল বিয়ার সে নাকি অনায়াসেই খেয়ে ফেলে৷ নেশা করেও তার পা একটুও টলমল করে না৷ দিব্যি ছুটে বেড়ায় গোটা বাড়ি৷ দুই বছরের এই শিশু চিনে ‘ওয়াইন বিবার' নামেই খ্যাত৷ আসল নাম চিং চিং৷ মাত্র দশমাস বয়সেই নাকি প্রথম চেখে দেখেছিল ওয়াইন৷ তারপর থেকেই সে দুধ ছেড়ে প্রেমে পড়ে যায় ‘অ্যালকোহল'-এর৷ বাড়িতে  খাবার টেবিলের উপর রাখা ছিল সেই ওয়াইনের বোতল৷ মার কাছে সেই বোতল হাতে নেওয়ার বায়না ধরে চিং চিং৷ তখন সে ওয়াইন খেয়েছিল নিজের অজান্তেই৷ কিন্তু এখন সে খায় জেনে বুঝেই৷ তার মা-বাবা বলেন, ‘‘ছেলে এতো জেদি যে বারণ করলেও কথা শোনেনা৷ ওয়াইন বা বিয়ার কিছু একটা না দিলে সে কোনও খাবারই খেতে চায় না৷'' ছেলের ভয়ে বিয়ার, ওয়াইনের বোতল প্রায় বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়৷ তবুও রক্ষে নেই৷ মনবীদদের মতে, বাড়ির বড়দের দেখেই শিশুদের মনে নেশা করার আগ্রহ যাগে৷ তাদের কাছ থেকে যতবেশি লুকিয়ে রাখা হবে তত বেশি করে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে৷ এই সমস্যার সমাধান হিসাবে তাঁরা জানিয়েছেন, ওয়াইনের বোতলের মধ্যেই চিং চিংয়ের খাবার ঢেলে রাখা উচিত৷ তাহলে যদি কিছুটা সমস্যার সমাধান হয়৷ চিং চিং কে নিয়ে শিশুচিকিত্সকের কাছেও গিয়েছেন তার বাবা-মা৷ তার শারীরিক বিভিন্ন্ পরীক্ষাও করা হয়েছে৷ কিন্তু কোনও রকম সমস্যাও ধরা পরেনি৷ এখন সারাদিন বিয়ার-ওয়াইনেই ডুবে থাকে চিং চিং৷ সকালে উঠে ঘুম ঘুম চোখে এখন সে নিজেই হাতে নেয় বিয়ারের বোতল৷ পরোয়া করে না কারও৷  

বলিউডে একে অপরের দুশমনগণ!

বলিউড জগতের অভিনেত্রীরা একে অপরের ছায়া মাড়ান না। কারণ তারা এক জন আরেক জনের দুশমন! বলিউডের সিনেমা জগতটি আসলেই নিষ্ঠুর, এমনই মন্তব্য করেন অনেকে। এখানে তারকারা প্রতিনিয়ত বন্ধুত্বের সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তো আরেকজনের সঙ্গে ঘটছে বিচ্ছেদ।
বর্তমানে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন ও ক্যাটরিনা কাইফ, যার একমাত্র কারণ রণবীর কাপুর। এখানে দেখে নেওয়া যাক এমনই তারকাদের কথা যারা একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে চান না।
ঐশ্বরিয়া রাই তার নামের পাশে বচ্চন জুড়ে নেওয়ার আগে প্রেমিকা ছিলেন সালমান খানের। তাদের এক সময়ের গভীর প্রেমের পরিণতি ঘটে বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে। তারপর অভিতাভের পুত্র অভিষেকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর এই দুই তারকা আর একসঙ্গে কাজ করেন না।
সোনাক্ষী সিনহাকে নিয়ে একবার রণবীর মন্তব্য করেছিলেন যে, সোনাক্ষীকে এতো বয়স্ক দেখায় যে রণবীরের মায়ের চরিত্রে হয়তো তাকে মানিয়ে যাবে। তাদের একসঙ্গে কাজ না করার পেছনে এই একটি মন্তব্যই যথেষ্ট।
দীপিকা আর ক্যাটের দ্বন্দ্বের মাঝে রয়েছেন দুজনেরই প্রেমিক রণবীর। দীপিকা তার সাবেক প্রেমিকা হলেও এখন সময় কাটাচ্ছেন ক্যাটের সঙ্গে। তাই এই মুহূর্তে দীপিকা-ক্যাট একে অপরের ছায়াও মাড়ান না। আর কাজ করা তো পরের কথা।
নিজ নিজ ক্ষেত্রে শাহরুখ খান ও আমির খান বিশাল তারকা। তাদের সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছে বহু বছর ধরে। এর চরম পরিণতি আসে যখন আমির তার কুকুরের নাম রাখেন শাহরুখ।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এক কসমেটিক ব্র্যান্ডের মুখপাত্র ছিলেন ঐশ্বরিয়া। কিন্তু তার স্থানটি নিয়ে নেন সোনম কাপুর। তার ওপর এক অনুষ্ঠানে সোনম নাকি ঐশ্বরিয়াকে আন্টি বলেও ডেকেছেন। ব্যস, দুজনের একসঙ্গে কাজ করার সব দুয়ার বন্ধ।
'এইত রাজ' ও 'ডন' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার পর কারিনা আর কাজ করতে আগ্রহী নন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই প্রিয়াঙ্কা আলোচনার কেন্দ্রে এসে পড়ছেন।
সালমান আর বিবেক ওবেরয়ের মাঝে ঝামেলা শুরু হয় ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে। এরপর থেকেই বেচারা বিবেকের সিনেমা ক্যারিয়ারটা শেষ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে শেষ হয় সালমানের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা।
পুরনো প্রেমিক শহীদ কাপুরের সামনাসামনি হন না কারিনা কাপুর। দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ভাঙার পর তারা আর মুখোমুখি হন না।
দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমে বিচ্ছেদের পর বিপাশা বসু একবার জন আব্রাহামকে নিয়ে বলেছিলেন, আমি তার অস্তিত্ব রয়েছে বলে মনে করতে চাই না।
কারিশমা কাপুরের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের এনগেজমেন্ট হয়েছিল যা পরে ভেঙে যায়। এর পর থেকে তারা আর এক হননি।
কারিনা আর বিপাশার মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয় 'আজনবি' ছবিতে। সেখানে কারিনা নাকি বিপাশার গালে চড় মেরে বাজে মন্তব্য করেছিলেন। এরপর থেকে সব বন্ধ।
'ওয়াক্ত' ছবি করতে গিয়ে অক্ষয় আর প্রিয়াঙ্কা প্রেমের আবেশে জড়িয়ে পড়েছেন বলে ঝড় ওঠে। পরে অক্ষয়ের স্ত্রী টুইংকল খান্না স্বামীকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করান যে তিনি আর প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কাজ করবেন না।
এক সময়ের আন্তরিক বন্ধু সালমান ও শাহরুখের মধ্যে আর সম্পর্ক নেই। টানা ছয় বছরের বিরতির পর ২০১৩ সালে হঠাৎ করে এক হলেও আবারো তারা মন্তব্য করেছেন যে, ভবিষ্যতে একে অপরকে আর কোনো সাহায্য করবেন না।

গোবিন্দ কন্যা নর্মদা আহুজা অভিনয় জগতে

বলিউডের অভিনয় জগতে পা রাখতে চলেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা গোবিন্দ কন্যা নর্মদা আহুজা। বিষয়টা নিয়ে তার বাবা। ক্যারিয়ারের শুরুতে একটি পাঞ্জাবি সিনেমায় অভিনয় করছেন নর্মদা। নিজের বিখ্যাত স্ট্রিট ডান্স স্টাইল ও অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বলিউডে নিজের একটি স্থান তৈরি করে নিয়েছেন গোবিন্দ। তাই তিনি চান প্রথম সিনেমার মধ্যে দিয়েই তার কন্যাও অভিনয় জগতে একটি স্বতন্ত্র স্থান তৈরি করুক।
নর্মদা তার প্রথম সিনেমায় পাঞ্জাবি অভিনেতা গিপ্পি গারেওয়ালের বিপরীতে অভিনয় করবেন। গিপ্পি গারেওয়াল পাঞ্জাবি সিনেমার বেশ জনপ্রিয় একজন অভিনেতা। স্মীপ কাংগের পরিচালনায় সিনেমাটি হচ্ছে রোমান্টিক কমেডি ধাচের।
নর্মদা লন্ডনে ফিল্ম স্টাডিস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। পাঞ্জাবি সিনেমায় অভিনয়ের পর এখন নর্মদা খাস বলিউডের সিনেমায় এন্ট্রি নেওয়ার জন্য খুবই ব্যস্ত।
নর্মদা জানিয়েছেন, তার অভিনয় ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে পাঞ্জাবি সিনেমার সাফল্যের মধ্যে দিয়ে। নর্মদা ও গিপ্পি অভিনীত এই সিনেমাটি আগামী আগস্ট মাসে মুক্তি পেতে চলেছে।

সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললেন পুনম

বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী পুনম পান্ডে। যে কি না এতদিন বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের অর্ধনগ্ন ছবি শেয়ার করতেন সেই পুনম পান্ডে লেহেঙ্গা পড়ে নববধূর সাজে ছবি আপলোড করেছেন।
তবে কি সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললেন না কি পুনম।
সম্প্রতি ট্যুইটারে জয়েন করেছেন বড় পর্দায় সরস্কারি বাবা হিসেবে পরিচিত অভিনেতা অলোকনাথ। তাকে সম্মান জানাতেই পুনম এই ছবিটি শেয়ার করেছেন।
পুনম লিখেছেন, তিনি নাকি অলোকনাথের মতো সংস্কারি পিতার দ্বারা অনুপ্রেরিত। যদিও পুনমের এক দিনের বিতর্কের সঙ্গে সংস্কারের ছোঁয়া এতটুকুও পাওয়া যায়নি। হঠাৎ করে কি তবে ভক্তি উছলে উঠল পুনমের নাকি এটাও নেহাতই পাবলিসিটি স্টান্ট?

বিশ্বকাপের চেয়ে রোজাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মুসলিম ফুটবলাররা

বিশ্বকাপে যে ১৬টি দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে তার অনেক দলেই আছে মুসলিম খেলোয়াড়। শেষ ষোলোর খেলা শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। আর রবিবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে। ফলে উভয় সংকটে পড়েছে ওই দলে খেলা মুসলিম ফুটবলাররা।
তবে বিশ্বকাপ আর রোজার মধ্য রোজাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মুসলিম ফুটবলাররা। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা দলগুলোর মধ্য আলজেরিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। তারা সোমবার মুখোমুখি হবে জামানির। এই জামান দলেও আছেন দু’জন মুসলিম খেলোয়াড় মেসুত ওজিল ও সামি খেদিরা। এছাড়া নাইজেরিয়া ও ফ্রান্স দলেও মুসলিম খেলোয়াড় আছেন বেশ কজন।
ধরম পালন করতে গিয়ে তা মাঠের খেলায় কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা সেটা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। আলজেরিয়ার জামেল মেজবাহ বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে। কারণ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্। গুরুত্বের দিক বিবেচনায় নিয়েই আমরা আলোচনা করবো, কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’
আলজেরিয়ার অধিনায়ক মাজিদ বাগুরিয়া বলেন, ‘আমরা যারা ইউরোপিয়ান লিগে খেলি, তাদের এই সমস্যার মুখোমুখি প্রতিবারই হতে হয়। তবে আমার বিশ্বাস রোজা রেখেই আমরা ভালো পারফর্ করতে পারবো।’
ফরাসি তারকা বাকারি স্যাগনা বলেন, ‘একজন মুসলমান হিসেবে আমি জানি, রোজা না রাখার সুযোগ খুব একটা নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি এটা পালন করি আর না করি দলের অন্যদের এই ব্যাপারে স্বাধীনতা আছে। আশা করি অনেকেই সেটা পালন করবে।’
তবে বিশ্বকাপের বিভিন্ন দলে খেলা বেশিরভাগ মুসলিম খেলোয়াড়ই জানিয়েছে, বিশ্বকাপের চেয়ে তাদের কাছে রোজার গুরুত্ব অনেক বেশি। ফুটবলাররা খেলার দিনগুলোর রোজা পরে রাখতে পারবে কিনা সে বিষয়ে ভালোভাবে জানতে আলেমদের সমন্বয়ে একটি বোর্ গঠন করেছে আলজেরিয়া সরকার।

ক্যারিয়ারের সেরা র‌্যাঙ্কিংএ সানিয়া মির্জা

বিশ্ব টেনিসের ডাবলস তালিকায় ষষ্ঠতম স্থান করে ক্যারিয়ারের সেরা র‌্যাঙ্কিংএ অবস্থান করছেন ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। বর্তমানে তিনি ক্যারিয়ার সেরা ৪৩০ র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন।
সোমবার প্রকাশিত বিশ্ব টেনিসের ডাবলস তালিকায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার স্থান ষষ্ঠ। ফ্রেঞ্চ ওপেন টুর্নামেন্ট শেষে এটাই তার ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ র‌্যাঙ্কিং কারা ব্ল্যাককে সাথে করে রোলা গারোর কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছে সানিয়া ৪৩০ র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন। আট ধাপ উঠে এখন তিনি বিশ্বের ৬ নম্বর ডাবলস খেলোয়াড।

র‌্যাঙ্কিং সম্পর্কে সানিয়া বলেন, ‘আমি যখন জানুয়ারীতে এই মৌসুম শুরু করি তখন আমার লক্ষ্য ছিল ক্যারিয়ারের সেরা র‌্যাঙ্কিং অর্জন করার। আজ এই অর্জনের জন্য আমি ভীষণ খুশি।’
সানিয়ার বাবা ও কোচ ইমরান মির্জা জানান, ‘এই মৌসুমে সানিয়া ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে এবং আজ তার ফল পেয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আরো ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে তার।’

ওবামা ও তার স্ত্রী মিশেল মুসলমানদের শুভেচ্ছা

রমজান মাস উপলক্ষে আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তার স্ত্রী মিশেল ওবামা মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওবামা রোজার ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে তা থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে শান্তির পথে আসারও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিবছরের মতো এবারও হোয়াইট হাউসে ইফতার আয়োজনের অপেক্ষায় আছেন বলে বিবৃতিতে জানান ওবামা।

ভারতের বিশাল এলাকা নিয়ে যাচ্ছে চীন!

ভারত নিয়ন্ত্রিত সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশকে নিজেদের ভূখন্ড দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে চীন সরকার।
বেইজিং এমন সময় এই মানচিত্র প্রকাশ করলো যখন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি চীন সফরে রয়েছেন।
অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ১৯৬২ সালে চীনের সাথে এক সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে ভারতের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল।
অরুণাচল নিয়ে ভারতের সঙ্গে চীনের এই টানাপড়েন অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগেও বারবার অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের দেশেরই অংশ হিসেবে দেখিয়েছে বেইজিং। ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ স্টেপলড ভিসার ব্যবস্থা করে চীন।
এবার নরেন্দ মোদির শাসনকালের শুরুতেও সামনে চলে এল অরুণাচল নিয়ে চীনের কড়া মনোভাব।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অরুণাচলের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরির জন্য এবার এমন একটা সময় বেছে নেওয়া হল যা তাৎপর্যপূর্ণ।
দিল্লিতে সরকার বদলের পর এই প্রথম ভারতীয় দূত হিসেবে বেইজিংয়ে গিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। পঞ্চশীল নীতির ষাট বছর উপলক্ষে তার এই পাঁচ দিনের চীন সফর।
ইতিহাস বলছে, যখনই দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা টেবিলে মুখোমুখি বসেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা অরুণাচলের মতো বিষয়গুলিকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার বার্তা দিয়েছে চীন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনাদের প্রবেশ বা স্টেপলড ভিসার মতো ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছে বেইজিং।
তবে চীনের নয়া মানচিত্র নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে,মানচিত্রে যাই আঁকা হোক না কেন, অরুণাচল ভারতের অংশ এবং তাই থাকবে।
অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে এই হইচইয়ের মধ্যেই জানা গিয়েছে, গত তিন মাসে অন্তত দু’বার নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল চীনা ছত্রীসেনার হেলিকপ্টার।
প্রথম ঘটনা ৩০ এপ্রিলের। আর দ্বিতীয়টি এ মাসেরই তেরো তারিখে। আকাশসীমা ভেঙে পূর্ব লাদাখে হামেশাই ঢুকে পড়ে চীনা সেনার কপ্টার।

এতিমদের সাথে ইফতার করলেন খালেদা জিয়া

ওলামা-মাশায়েখ ও এতিমদের সঙ্গে রমজানের প্রথম দিনের ইফতার করলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সোমবার সন্ধ্যায় ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে এতিম ও আলেম-ওলামাদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন তিনি। এসময় খালেদা জিয়া তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও ইফতারে অংশ নেন।
ইফতার মাহফিলে শান্তিনগর এতিমখানা ও মাদ্রাসা, ফকিরেরপুল এতিমখানা ও মাদ্রাসা এবং তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম মিশনের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ ইফতারে অংশ নেন।
আলেমদের মধ্যে নরসিংদীর জামিয়া কাশেমীয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিছ মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরী, চট্টগ্রামের পটিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা মুজাফ্‌ফর আহমেদ, কামরাঙ্গীরচর মাদ্রাসার প্রধান মওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ, লালবাগের বড় কাটারা মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, ছারছিনার ছোট পীর মওলানা আরিফ বিল্লাহ প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন।
ইফতারে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ড. আর এ গনি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলম খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. নেসারুল হক, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে লেডিস ক্লাবের অনুষ্ঠান মঞ্চে আসেন তিনি। ইফতারের আগে খালেদা জিয়া আমন্ত্রিত অতিথি এতিম ও ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ইফতার শুরুর আগে দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

ধূমপান ছাড়ার কতিপয় সহজ উপায়

সিগারেট খাওয়া কোন ভাল গুন নয়। আর এটা কোন স্মার্টনেসও নয়। এটা শুধু শারীরিক ক্ষতি বা অপচয়ই করে না, এটা পুরো পরিবার এমনকি একটা জাতিকেও কুলোষিত করে। তবে সত্য যে ধূমপান একেবারে ছেড়ে দেওয়া কঠিন। কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান ত্যাগ করার জন্য যদি নিজ থেকে কিছু কৌশল রপ্ত করা যায়, তাহলে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই সফল হন। চলুন সে সব কৌশল সম্পর্কে জানি এবং তা নিজের জীবনে প্রয়োগ করে নিজেকে রঙ্গিন এবং সুখীময় করে তুলি।
১) প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন কেন ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য জরুরী। কি কারণে আপনাকে ধূমপান ছাড়তে হবে। ধূমপান করলে কি ক্ষতি হয়।
২) ধূমপানে কী কী স্বাস্থ্য সমস্যা হয়, তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং এর মধ্যে কোন বিষয়টি আপনি সবচেয়ে বেশি ভয় পান, সেটাতে লাল চিহ্ন দিয়ে রাখুন। যেমন, ক্যান্সার ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি ইত্যাদি।
৩)ধূমপান ত্যাগ করলে কী কী লাভ হতে পারে, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। যেমন, শরীর ভালো থাকা, পরিবার সুখী থাকা, অপচয় না হওয়া, মন ভালো থাকা, সম্মান পাওয়া ইত্যাদি।
৪) আর ধূমপান ছাড়ুন বন্ধু-বান্ধব বা প্রেমিককে খুশী করার জন্য নয়, বরং আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যই এটা করেছেন। এমন জোরালো অবস্থান নিন।
৫) কোন ধরনের থেরাপি বা মেডিকেশন ছাড়া ধূমপান ছাড়া ঠিক নয়। কারণ সিগারেটের নিকোটিনের ওপর ব্রেইন অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ছেড়ে দিলেই নানা উপসর্গ শুরু হয়। তাই সিগারেটের বিকল্প থেরাপির কথা চিন্তা করতে হবে। যেমন, নিকোটিনের বিকল্প গাম, লজেন্স ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
৬) নিকোটিনের বিকল্প ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
৭) মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হালকা ম্যাসাজ নিন।
৮) অ্যালকোহল পরিহার করুন।
৯) টেনশন থেকে মুক্তির ভিন্ন উপায় খুঁজে নিন। ব্যায়াম, মেডিটেশন এবং গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
১০) নিজেকে প্রতারিত করবেন না। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, সিগারেট তো ছেড়েই দিয়েছেন কিন্তু আজকের দিনে একটি সিগারেট খেলে এমন কী ক্ষতি হবে। সাবধান এ চিন্তা মাথার মধ্যে আনবেন না। একটা সিগারেট আপনার মধ্যে আরও সিগারেট খাওয়ার প্রলোভন তৈরি করবে।
১১) ধূমপান বন্ধ করে যে আর্থিক সাশ্রয় আপনার হবে তার একটা অংশ হালকা বিনোদনে ব্যয় করুন।
১২) যদি প্রথম চেষ্টায় আপনি সিগারেট ছাড়তে সফল না হন, আবার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ লোক, যারা ধূমপান ছেড়েছেন, তারা চূড়ান্তভাবে সফল হওয়ার আগে কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছেন।
অধিকাংশ ধূমপায়ী ধূমপান ছাড়ার প্রথম তিন মাসের মধ্যেই আবার ধূমপান শুরু করে, এতে আশাহত হবেন না। মনে রাখবেন, অনেকের ক্ষেত্রেই এটি ঘটে কিন্তু সফল হয় নিজের মঙ্গলের জন্য।