অতিরিক্ত কথা বলা:
এটি এক ধরণের জটিল রোগ। যাদের এই রোগটি আছে তারা যে প্রতিটি মানুষের কাছে কতটা বিরক্তিকর তা বলে বোঝানো সম্ভব না। বিনা প্রয়োজনে অতিরিক্ত কথা বললেও আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে ফেলে শ্রোতা বন্ধুরা।
মোবাইলে উচ্চ স্বরে কথা বলা:
অনেকে পাবলিক স্থানে, বাসে বা অফিসে উচ্চ স্বরে ফোনে কথা বলে থাকেন। যা কি না ওই ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ সময় পাশের মানুষটি আপনার প্রতি বেশ বিরক্ত হয়ে পড়বেন। এছাড়া আপনার এই ধরণের আচরণ আপনার প্রতি এক প্রকার নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।
পাশের মানুষের সঙ্গে বাজে ব্যবহার :
প্রবাদে আছে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। ব্যবহার দিয়েই জানা যায় একজনের পরিবারের আচরণ আর শিক্ষানীতি। তাই আপনি যদি পাশের মানুষটির সঙ্গে বাজে ধরণের ব্যবহার করেন তাহলেও আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। অনেক জটিল অবস্থাই ভদ্রভাবে পার করা সম্ভব। তাই ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে চাইলে পাশের মানুষটির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন।
দাঁত খোঁচানো:
হয়তো কোনো গল্প, আড্ডা হচ্ছে। এমন মূহুর্তে কিছু কিছু ব্যক্তি সবার সামনেই মুখের আকৃতি বিকৃত করে দাঁত খোঁচানো শুরু করে দেন। এতে করে সামনে থাকা ব্যক্তিরা বিরক্ত বোধ করেন। এর ফলে আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কুৎসা রটানো:
কুৎসা রটাতে অনেকেই বেশ পছন্দ করেন। একজনের নামে আরেকজনকে কোনো কিছু বলতে বেশ মজা পেয়ে থাকেন। এই বদ অভ্যাসটিও আপনার আপনার ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই অন্যের নামে কুৎসা রটানোর আগে একটু ভেবে দেখুন।
অতিরিক্ত প্রশংসা করা:
এই অতিরিক্ত প্রশংসা করাকে আমরা আঞ্চলিক ভাষায় বলে থাকি তেল দেয়া। এমন অনেকেই আছেন যারা নিজের কার্য সিদ্ধির জন্য বিশেষ জনকে তেল দিয়ে থাকেন অর্থাৎ অতিরিক্ত প্রশংসা করে থাকেন। এমনকি এরা নিজের স্বার্থের জন্য অনেক নিচেও নেমে থাকেন। এই বদ অভ্যাসটিও আপনার ব্যক্তিত্ব দারুনভাবে আঘাত করে নষ্ট করে দিচ্ছে।
রাস্তাঘাটে কাউকে কটুক্তি করা:
এটা বর্তমানে আমাদের সমাজে বেশ প্রচলিত একটি ঘটনা। রাস্তাঘাটে কিছু কুরুচিপূর্ণ মানুষ প্রতিনিয়তই কাউকে না কাউকে টিজ করছে। অনেকে খুব শালীনভাবেও টিজ করে থাকেন। তাই আপনিও যদি সেই দলের হন তাহলে ভেবে দেখুন এই বিষয়গুলো আপনার ব্যক্তিত্বকে কিভাবে তাড়া করছে।