সন্তান ধারণ বা যৌন সমস্যা শুধুই মহিলাদের হবে এমন নই৷ পুরুষরাও এই ধরণের সমস্যায় জর্জরিত৷ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা ও জীবনশৈলীর পরিবর্তনের কারণে পুরুষদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে৷পুরুষের পৌরুষত্ব কমে আসতে থাকে। এই সমস্ত সমস্যার এমন কিছু কারণ অনেকেই অজানা৷
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বন্ধ্যাত্বের জন্য প্রায় ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষরা দায়ী থাকেন৷ কিন্তু, সচেতনতা ও চিকিৎসার অভাবে এর প্রতিকার করা হয় না৷ এমনই কিছু কারণ উঠে এসেছে গবেষণায়৷
স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত এমন কিছু পরিস্থিতি রয়েছে, যা পুরুষের বীর্য কোষকে প্রভাবিত করে৷ এতে বীর্যকোষের ভেতরের কোষে সংকোচন, রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া, প্রদাহ ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়৷ এতে বীর্যের গুণগত মানের উপরেও প্রভাব পড়ে৷ কিছু ক্ষেত্রে বীর্য কোষে ক্যানসারের কারণেও পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে৷
ডায়াবেটিসের ফলেও পুরুষের বীর্যের গুনগত মানের উপর প্রভাব পড়তে পারে৷ এতে শরীরে ইনসুলের ভারসাম্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে৷ এরফলেও পুরুষের যৌনজীবনের উপর বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে৷
অতিরিক্ত উচ্চ তাপমাত্রার ফলেও বীর্যের উৎপাদনের উপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে৷ তাই যারা উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকারক হতে পারে৷
মানসিক চাপের ফলেও পুরুষরা বন্ধ্যাত্বের শিকার হয়ে থাকেন৷ মনে করা হয়, অবসাদের ফলে তার প্রভাব কেবল মানসিক পরিস্থিতির উপরেই পড়ে৷ কিন্তু এতে সারা শরীরের উপরেই খারাপ প্রভাব পড়তে পারে৷ অবসাদের কারণে সেক্স হরমোনের উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায় যা পৌরুষত্বকে প্রভাবিত করতে পারে৷
ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোশিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত ধূমপানের ফলেও পুরুষরা বন্ধ্যাত্বের শিকার হন৷ এতে বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে৷ এছাড়াও ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টর্লিটি’র একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে যারা কাজ করেন, তাদের বীর্যের গতি এবং ডিএনএ-এর উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে৷