মুশফিকুর রহিমের জন্য মায়াই হয়। অধিনায়ক হয়ে কী বিপদেই না পড়েছেন! তার ওপর তাঁকে নিয়ে সংবাদ-মাধ্যমের একটা অভিযোগ, গত্বাঁধা কিছু কথার বাইরে কিছু বলতে জানেন না। কিন্তু তিনি নতুন করে আর কীইবা বলবেন। প্রতিটি ম্যাচের গল্পই যে একই রকম। ব্যর্থতার উপাখ্যান। কখনো বোলারদের, কখনো ব্যাটসম্যানদের।
অধিনায়ক হয়েছেন বলে তাঁকেই তো সবার ব্যর্থতার ফিরিস্তি নিয়ে হাজির হতে হয় সংবাদ মাধ্যমের। চোখে যা দেখা যায়, অনেক কিছু হয়তো বলাও যায় না। ব্যাটসম্যানরা বারবার ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে নিয়ে আসতে হয় ‘খারাপ সময়ে’র কথা, অফ ফর্মের কথা। কিন্তু কালকের ম্যাচে পরাজয়ের পর সোজা-সাপ্টাই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ব্যাটসম্যানদের দিক, ‘ব্যাটসম্যানরাই এই হারের জন্য দায়ী। ব্যাটসম্যানরাই দলকে বারবার ডোবাচ্ছে।’
এটাও তো সেই গত্বাঁধা কথাই। অন্তত, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রে। এই ব্যাটসম্যানদের জন্য বাংলাদেশ কত ম্যাচ হেরেছে, সেটা বোধ হয় হিসেব কষে বের করার সময় এসে গেছে। কালকের ম্যাচটার কথাই ধরা যাক, বোলারদের তৃপ্তি দায়ক পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরটা যেখানে তিনশ’র কাছাকাছি না পৌঁছে ২৪৭-এই আটকে গেল, তখন সেই ম্যাচটা জয়ের কোনো তাড়নাই অনুভূত হলো না ব্যাটসম্যানদের মধ্যে!
অসহায়ভাবে একে একে তাদের আত্মসমর্পণ বড় দৃষ্টিকটু হয়েই ধরা দিল। আগের দিন ৩৬ রানে ৫ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেভাবে জুটি গড়ে বাংলাদেশের রান তাড়া করেছিল, সেখান থেকেও কিছু শিখতে পারল না মুশফিকের দল!
১৩ রানে শেষ সাত উইকেটের পতন? তবে কি ব্যাটিংয়ের অ-আ-ক-খই বলে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শুধু এক ম্যাচ হার বলে এমনটা বলা হচ্ছে না। বাংলাদেশ যে একের পর এক ম্যাচে এভাবে অসহায় আত্মসমর্পন করেই চলেছে!
মুশফিকও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার গল্পটা সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন বরং অনেকটাই নরম সুরে। এই ব্যর্থতার আসলে কোনো সহানুভূতি হয় না। এটাকে ‘একটি-দুটি ম্যাচের ব্যর্থতা’ বা ‘বাজে দিন’ বলে কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এদেশের ক্রিকেট যে আবার অন্ধকার পথেই হাঁটা শুরু করেছে, সেটা নিয়ে মুশফিকুর রহিমদের ভাবার সময় বোধহয় এসেই গেছে।
এসব নিয়ে অধিনায়ক ভাবছেন কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি। তিনি এই মুহূর্তে পাখির চোখ করছেন পরের ম্যাচটিতে। পরের ম্যাচ নিয়েই তাঁর এই মুহূর্তের সব ভাবনা, পরের ম্যাচে ভালো করে প্রমাণ করতে চাই আমরা এত খারাপ দল নই।’ কিন্তু আর কত! পুরো ২০১৪ সালেও যে দল নিজেদের ‘ভালো দল’ হিসেবে তুলে ধরতে পারেনি, তারা একটি ম্যাচেই সব কিছু পাল্টে দেবে!
অধিনায়ক হয়েছেন বলে তাঁকেই তো সবার ব্যর্থতার ফিরিস্তি নিয়ে হাজির হতে হয় সংবাদ মাধ্যমের। চোখে যা দেখা যায়, অনেক কিছু হয়তো বলাও যায় না। ব্যাটসম্যানরা বারবার ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে নিয়ে আসতে হয় ‘খারাপ সময়ে’র কথা, অফ ফর্মের কথা। কিন্তু কালকের ম্যাচে পরাজয়ের পর সোজা-সাপ্টাই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ব্যাটসম্যানদের দিক, ‘ব্যাটসম্যানরাই এই হারের জন্য দায়ী। ব্যাটসম্যানরাই দলকে বারবার ডোবাচ্ছে।’
এটাও তো সেই গত্বাঁধা কথাই। অন্তত, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রে। এই ব্যাটসম্যানদের জন্য বাংলাদেশ কত ম্যাচ হেরেছে, সেটা বোধ হয় হিসেব কষে বের করার সময় এসে গেছে। কালকের ম্যাচটার কথাই ধরা যাক, বোলারদের তৃপ্তি দায়ক পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরটা যেখানে তিনশ’র কাছাকাছি না পৌঁছে ২৪৭-এই আটকে গেল, তখন সেই ম্যাচটা জয়ের কোনো তাড়নাই অনুভূত হলো না ব্যাটসম্যানদের মধ্যে!
অসহায়ভাবে একে একে তাদের আত্মসমর্পণ বড় দৃষ্টিকটু হয়েই ধরা দিল। আগের দিন ৩৬ রানে ৫ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেভাবে জুটি গড়ে বাংলাদেশের রান তাড়া করেছিল, সেখান থেকেও কিছু শিখতে পারল না মুশফিকের দল!
১৩ রানে শেষ সাত উইকেটের পতন? তবে কি ব্যাটিংয়ের অ-আ-ক-খই বলে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শুধু এক ম্যাচ হার বলে এমনটা বলা হচ্ছে না। বাংলাদেশ যে একের পর এক ম্যাচে এভাবে অসহায় আত্মসমর্পন করেই চলেছে!
মুশফিকও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার গল্পটা সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন বরং অনেকটাই নরম সুরে। এই ব্যর্থতার আসলে কোনো সহানুভূতি হয় না। এটাকে ‘একটি-দুটি ম্যাচের ব্যর্থতা’ বা ‘বাজে দিন’ বলে কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এদেশের ক্রিকেট যে আবার অন্ধকার পথেই হাঁটা শুরু করেছে, সেটা নিয়ে মুশফিকুর রহিমদের ভাবার সময় বোধহয় এসেই গেছে।
এসব নিয়ে অধিনায়ক ভাবছেন কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি। তিনি এই মুহূর্তে পাখির চোখ করছেন পরের ম্যাচটিতে। পরের ম্যাচ নিয়েই তাঁর এই মুহূর্তের সব ভাবনা, পরের ম্যাচে ভালো করে প্রমাণ করতে চাই আমরা এত খারাপ দল নই।’ কিন্তু আর কত! পুরো ২০১৪ সালেও যে দল নিজেদের ‘ভালো দল’ হিসেবে তুলে ধরতে পারেনি, তারা একটি ম্যাচেই সব কিছু পাল্টে দেবে!