মহিনা সাবান নামের এক ধাত্রী জর্ডানের একটি শরণার্থী ক্যাম্পে অল্প বয়সে মেয়েরা যেন পরিবারের একজন বোঝায় পরিনত না হয় সে বিষয়ে সেখানে পরামর্শ দিচ্ছেলেন। তিনি বলছেন, আপনারা হয়তো ১৩ অথবা ১৭ বছর বয়সের মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু রান্না থেকে শুরু করে ঘর-সংসারের অনেক কাজ তারা জানে না। যখন তাদের খেলাধুলার কথা তখন তাদের সময় দিতে হয় স্বামীর সেবায়। কিন্তু তারা তো এসবের জন্য প্রস্তুত নয়। অসেন ক্ষেত্রে এসব কারণে বিচ্ছেদ হয়ে থাকে।
জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে দেশছাড়া শরণার্থী মেয়ে-শিশুদের জোর করে বিয়ে দেবার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ইউনিসেফ বলছে, জর্ডানে অবস্থিত শরণার্থী কেন্দ্রে যেসব নারীদের বিয়ের ঘটনা ঘটছে তার এক-তৃতীয়াংশই ১৮ বছরের কম বয়সী। অনেক পরিবারই সেখানে কন্যা-শিশুদের নিরাপত্তার কারণে অল্পবয়সে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিরিয়ায় বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছে দারিদ্র্যের কারণে।
জর্ডানের শরণার্থী ক্যাম্পে এক শিশুর জন্ম। তার কিশোরী মা আমলার বিয়ে হয়েছে মাত্র ১৬ বছর বয়সে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুধু তাকে গৃহহীনই করেনি। ছিনিয়ে নিয়েছে তার শৈশবও। একজন ধাত্রী আমলাকে মাতৃত্ব বিষয়ে কিছু ধারণা দিচ্ছিলেন। আমলা বলছেন, এই সময় হয়তো তার স্কুলে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার বাবা মা তার বিয়ে দিয়ে দেয়। এক বছর আগে। চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে বালি দিয়ে তৈরি বেঞ্চে বসে আছেন অনেক মহিলা। তার মধ্যে ১৬ বছরের এক শিশু বসে আছেন তার সন্তান নিয়ে। ১৫ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর এখন সে এক কন্যা সন্তানের মা। কিন্তু সন্তানকে হারানোর আশংঙ্কায় দিন কাটছে তার। সে বলছে, যা ঘটছে তা আসলে ঠিক নয়। একটি শিশুর পক্ষে আর একটি শিশুকে বড় করে তোলা কি করে সম্ভব? এখানকার অনেক পরিবারই আর্থিক সংঙ্কটের মধ্যে আছে। আমি ডির্ভোস চাওয়ায় আমার স্বামী আমার মেয়েকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আমি আমার মেয়েকে হারাতে চাই না।
সিরিয়ার যুদ্ধের কারণে ঘর ছাড়া লোকদের আশ্রয় এই শরণার্থী কেন্দ্রটি। সিরিয়ার লোকজনের মাঝে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেয়া সংস্কৃতি আগে থেকেই রয়েছে। আর এর সাথে এখন অনেকেই বলছেন, গৃহযুদ্ধের কারণে তারা মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই বাধ্য হচ্ছেন বিয়ে দিতে। ক্যাম্পের বাইরে অনেক মেয়েকেই একরকম বিক্রি করে দেয়া হয়। এখানে আশ্রয় নেয়া লোকজন বলছেন, দরিদ্র পরিবার তাদের অল্প বয়সি মেয়েদের বয়স্কদের কাছে বিয়ে দিলে তাদেরকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয়। যার কারণে এখানে কন্যা শিশুদের নিয়ে একরকম কেনাবেচা চলছে। আর এইসব পুরুষদের টার্গেট অল্প বয়সি মেয়েরা।
মালিহার (ছদ্দনাম) বয়স ১৪ বছর। তার একটি পুত্র সন্তান আছে। ১৩ বছর বয়সের সময় তাকে ৫০ বছর বয়সের এক ব্যাক্তির সঙ্গে বিয়ে দেয় তার মা। এরপর যখন সে গর্ভবতী হয় লোকটি তাকে ফেলে চলে যায়। শিশু পুত্রটি নিয়ে তার এখন অনিশ্চিত ভবিষৎ। সে বলেন, একটি মেয়ের জন্য নিসন্দেহে তার খুশির দিন হচ্ছে তার বিয়ের দিন। কিন্তু আমার জীবনে সব চেয়ে কষ্টের দিন ছিল সেটি। সবাই সে দিন বলছিল, একটু হাসো। কিন্তু আমার মধ্যে সব সময় একটি ভিতি কাজ করছিল। আর এই ভয়টা শুরু হয়েছিল আমাদের বাগদানের দিন থেকে। বাবা না থাকায় তাদের পরিবারের সাতজনের থাকা- খাওয়ার দায়িত্ব নিতে হয়েছে তার বিধবা মাকে। তার মা বলেন, অভাবের কারনে বাধ্য হয়েছি আট হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে মেয়েকে ৫০ বছরের এক ব্যাক্তির সঙ্গে বিয়ে দিতে। অন্য কোন উপায় ছিল না। তবে এভাবে আর কোন শিশুকে বলি দিতে চাইনা। এরকমই অবস্থায় ক্যাম্পের ভেতরে দেখা গেল এক শিশু কন্যার বিয়ের আয়োজন চলছে। সংঘাতের কারণে এসব বিয়েতে আয়োজন নামমাত্র। বিয়ের কনেকে দেখে মনে হচ্ছে, সে যেন খেলতে খেলতে নববধূর সাজে সেজেছে। কারণ তার যা বয়স তাতে বিয়ে ব্যাপারটার মানে তার কাছে হয়তো কোন খেলা ছাড়া কিছুই নয়।
জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে দেশছাড়া শরণার্থী মেয়ে-শিশুদের জোর করে বিয়ে দেবার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ইউনিসেফ বলছে, জর্ডানে অবস্থিত শরণার্থী কেন্দ্রে যেসব নারীদের বিয়ের ঘটনা ঘটছে তার এক-তৃতীয়াংশই ১৮ বছরের কম বয়সী। অনেক পরিবারই সেখানে কন্যা-শিশুদের নিরাপত্তার কারণে অল্পবয়সে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিরিয়ায় বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছে দারিদ্র্যের কারণে।
জর্ডানের শরণার্থী ক্যাম্পে এক শিশুর জন্ম। তার কিশোরী মা আমলার বিয়ে হয়েছে মাত্র ১৬ বছর বয়সে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুধু তাকে গৃহহীনই করেনি। ছিনিয়ে নিয়েছে তার শৈশবও। একজন ধাত্রী আমলাকে মাতৃত্ব বিষয়ে কিছু ধারণা দিচ্ছিলেন। আমলা বলছেন, এই সময় হয়তো তার স্কুলে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার বাবা মা তার বিয়ে দিয়ে দেয়। এক বছর আগে। চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে বালি দিয়ে তৈরি বেঞ্চে বসে আছেন অনেক মহিলা। তার মধ্যে ১৬ বছরের এক শিশু বসে আছেন তার সন্তান নিয়ে। ১৫ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর এখন সে এক কন্যা সন্তানের মা। কিন্তু সন্তানকে হারানোর আশংঙ্কায় দিন কাটছে তার। সে বলছে, যা ঘটছে তা আসলে ঠিক নয়। একটি শিশুর পক্ষে আর একটি শিশুকে বড় করে তোলা কি করে সম্ভব? এখানকার অনেক পরিবারই আর্থিক সংঙ্কটের মধ্যে আছে। আমি ডির্ভোস চাওয়ায় আমার স্বামী আমার মেয়েকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আমি আমার মেয়েকে হারাতে চাই না।
সিরিয়ার যুদ্ধের কারণে ঘর ছাড়া লোকদের আশ্রয় এই শরণার্থী কেন্দ্রটি। সিরিয়ার লোকজনের মাঝে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেয়া সংস্কৃতি আগে থেকেই রয়েছে। আর এর সাথে এখন অনেকেই বলছেন, গৃহযুদ্ধের কারণে তারা মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই বাধ্য হচ্ছেন বিয়ে দিতে। ক্যাম্পের বাইরে অনেক মেয়েকেই একরকম বিক্রি করে দেয়া হয়। এখানে আশ্রয় নেয়া লোকজন বলছেন, দরিদ্র পরিবার তাদের অল্প বয়সি মেয়েদের বয়স্কদের কাছে বিয়ে দিলে তাদেরকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয়। যার কারণে এখানে কন্যা শিশুদের নিয়ে একরকম কেনাবেচা চলছে। আর এইসব পুরুষদের টার্গেট অল্প বয়সি মেয়েরা।
মালিহার (ছদ্দনাম) বয়স ১৪ বছর। তার একটি পুত্র সন্তান আছে। ১৩ বছর বয়সের সময় তাকে ৫০ বছর বয়সের এক ব্যাক্তির সঙ্গে বিয়ে দেয় তার মা। এরপর যখন সে গর্ভবতী হয় লোকটি তাকে ফেলে চলে যায়। শিশু পুত্রটি নিয়ে তার এখন অনিশ্চিত ভবিষৎ। সে বলেন, একটি মেয়ের জন্য নিসন্দেহে তার খুশির দিন হচ্ছে তার বিয়ের দিন। কিন্তু আমার জীবনে সব চেয়ে কষ্টের দিন ছিল সেটি। সবাই সে দিন বলছিল, একটু হাসো। কিন্তু আমার মধ্যে সব সময় একটি ভিতি কাজ করছিল। আর এই ভয়টা শুরু হয়েছিল আমাদের বাগদানের দিন থেকে। বাবা না থাকায় তাদের পরিবারের সাতজনের থাকা- খাওয়ার দায়িত্ব নিতে হয়েছে তার বিধবা মাকে। তার মা বলেন, অভাবের কারনে বাধ্য হয়েছি আট হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে মেয়েকে ৫০ বছরের এক ব্যাক্তির সঙ্গে বিয়ে দিতে। অন্য কোন উপায় ছিল না। তবে এভাবে আর কোন শিশুকে বলি দিতে চাইনা। এরকমই অবস্থায় ক্যাম্পের ভেতরে দেখা গেল এক শিশু কন্যার বিয়ের আয়োজন চলছে। সংঘাতের কারণে এসব বিয়েতে আয়োজন নামমাত্র। বিয়ের কনেকে দেখে মনে হচ্ছে, সে যেন খেলতে খেলতে নববধূর সাজে সেজেছে। কারণ তার যা বয়স তাতে বিয়ে ব্যাপারটার মানে তার কাছে হয়তো কোন খেলা ছাড়া কিছুই নয়।