মেহেরপুরে গাংনীতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ১২ ঘন্টা পর জীবিত করার আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহকে আগুনে ঝলসিয়ে জীবিত করার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়েছে কথিত কবিরাজ। বিশ্ময়কর এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হাজারো মানুষ। কবিরাজের কোন জারিজুরি কাজে না আসায় অবশেষে মৃতদেহ জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করেছে পরিবারের সদস্যরা।
সরোজমিনে ঘটনাস্থলে পৌছে শোনা গেল কবিরাজ আজিল হোসেনের গুনের কথা। এর আগে সাপের কামড়ে মৃত কয়েকজনকে তিনি জীবিত করেছেন। এমনকি সাপের কামড়ে মৃত্যুর তিনদিন পরেও ফতায়পুর গ্রামের একজনকে জীবিত করেছেন, তিনিও আছেন এই আসরে এমন প্রচার উপস্থিতদের মুখে মুখে সরব হয়ে উঠেছে। মানুষের ভিড় ঠেলে কাছে গিয়ে দেখা গেল গা শিউরে উঠার মত দৃশ্য।
কবিরাজ আজিল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহের পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বাঁচানো সম্ভব বলে দাবী করে বসে। তার কথামত মৃতদেহ থেকে কাফনের কাপড় খুলে লুঙ্গি পরিয়ে প্রথমে লেপ দিয়ে ঢেকে রাখা হয় ২০ থেকে ২৫ মিনিট। এরপর কাঠ জ্বালিয়ে ধুপ ছিটিয়ে মৃতদেহ কলার পাতায় রেখে আগুনের উপর ঝলসানোর জন্য দেওয়া হয় ২০ মিনিট মত। এরপর কবিরাজের নির্দেশে মৃতদেহ লেপে জড়ানো অবস্থায় হাতদিয়ে ঘোরাতে থাকে ৭/৮জন। এতেও কোন ফল না পেয়ে এবারে ৭/৮ জন মিলে লেপের উপর ঝাকুনি দিতে থাকে মৃতদেহকে।
কবিরাজ আজিল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহের পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বাঁচানো সম্ভব বলে দাবী করে বসে। তার কথামত মৃতদেহ থেকে কাফনের কাপড় খুলে লুঙ্গি পরিয়ে প্রথমে লেপ দিয়ে ঢেকে রাখা হয় ২০ থেকে ২৫ মিনিট। এরপর কাঠ জ্বালিয়ে ধুপ ছিটিয়ে মৃতদেহ কলার পাতায় রেখে আগুনের উপর ঝলসানোর জন্য দেওয়া হয় ২০ মিনিট মত। এরপর কবিরাজের নির্দেশে মৃতদেহ লেপে জড়ানো অবস্থায় হাতদিয়ে ঘোরাতে থাকে ৭/৮জন। এতেও কোন ফল না পেয়ে এবারে ৭/৮ জন মিলে লেপের উপর ঝাকুনি দিতে থাকে মৃতদেহকে।
আগুনের তাপে ইতিমধ্যেই মৃতদেহের বিভিন্ন স্থান আগুনে পুড়ে গেছে। হঠাৎ কবিরাজের মুখ থেকে শোনা গেলে ৮০ ভাগ বেচে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। নাক মুখ দিয়ে রক্তক্ষরন হচ্ছে, আরো জোরে ঝাঁকুনি দিতে হবে। কিছুক্ষন পর কবিরাজ মৃতদেহের মুখ ও মাথা পরীক্ষা করে ১০ মিনিট সময় চাইলেন স্থানীয় মানুষের কাছে। ততক্ষনে আশা ছেড়ে দিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। মৃত মানুষ জীবিত হবে এমন খবর শুনে বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজারো নারী, পুরুষ ,শিশু, কিশোররা ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। সকলের চোখ মৃত ব্যাক্তির দিকে কখন কবিরাজ তাকে জীবিত করবে এই ভেবে। কিন্তুু সকলকেই হতাশ করে কবিরাজ নিরবে ঘটনাস্থল ছাড়লেন কোন প্রকার বাক বিতন্ডা ছ্ড়াাই।
মৃত মানুষকে জীবিত করা হবে এমন খবর শুনে দেখতে আসা আলাউদ্দিন কবীর পিন্টু কবিরাজের নানা তৎপরতা দেখে বলেন, শুনেছি মরার উপর খাড়ার ঘা কোন দিন চোখে দেখেনি আজ দেখলাম মরার পর মৃতদেহ নিয়ে কি করা হচ্ছে। অমানবিক ছাড়া কিছুই না।
কবিরাজ আজিল হোসেনের সহযোগী চেংগাড়া গ্রামের নুরু জানান, কামরুলকে সাপে কামড়ে দেওয়ার পর সে স্ট্রোক করে মারা যাওয়ায় তাকে বাচাঁনো সম্ভব হয়নি। তবে কবিরাজ তাকে বাঁচানোর সর্বত্মক চেষ্টা করেছে।
কবিরাজ আজিল হোসেনের সহযোগী চেংগাড়া গ্রামের নুরু জানান, কামরুলকে সাপে কামড়ে দেওয়ার পর সে স্ট্রোক করে মারা যাওয়ায় তাকে বাচাঁনো সম্ভব হয়নি। তবে কবিরাজ তাকে বাঁচানোর সর্বত্মক চেষ্টা করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, জেলার গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের নওদা ছাতিয়ান গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি কামরুল ইসলাম (৩৪) বুধবার রাতে নিজ ঘরেই তাকে সাপে কামড়ে দেয়। তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।