অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এতে কিছুটা হলেও পাকিস্তানের অশান্ত রাজনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে উত্তরণে আজও সংলাপের প্রক্রিয়া চলমান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিটিআই’র নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশি। গতকাল দুই পক্ষের বৈঠকের পর তিনি বলেন, সংলাপের প্রথম দফায় পিটিআই প্রতিনিধিবর্গ ৬ দফা দাবি সংবলিত একটি সনদ সরকারের প্রতিনিধিবর্গের কাছে পেশ করেছেন। আজ উভয় পক্ষই নিজেদের আপত্তির বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং আমরা আগামীকাল (শনিবার) আবার বৈঠকে বসবো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। বৈঠকটি কোথায় হয়েছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে রাজধানী ইসলামাবাদের একটি স্থানে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিবর্গ আলোচনায় বসেছেন বলে জানা গেছে। কুরেশি, জাভেদ হাশমি, পারভেজ খাট্টাক, আসাদ উমর, আরিফ আলভি ও জাহাঙ্গীর তারীন পিটিআই’র প্রতিনিধিত্ব করেন। অন্যদিকে, সরকার পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর চৌধুরী মোহাম্মদ সারওয়ার, আহসান ইকবাল, পারভেজ রশিদ ও ডক্টর আবদুল কাদির বেলুচ। পিটিআই’র প্রেসিডেন্ট মাখদুম জাভেদ হাশমি সরকারি প্রতিনিধিবর্গকে বলেছেন, নওয়াজ শরীফের উচিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ দলের অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সহ-সভাপতি আসিফ আলি জারদারিকে বুঝতে হলে একটি ‘পিএইচডি’ ডিগ্রি থাকা দরকার বলেও মন্তব্য করেন। গতকাল পিটিআইয়ের ৩৪ জন জাতীয় পরিষদ সদস্যের সবাই পদত্যাগ করার পর এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ছিল না এবং ক্ষমতাসীন দল ভোট-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিল বলে অভিযোগ পিটিআইয়ের। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নির্বাচনী সংস্কার ও নির্বাচন কমিশনে পরিবর্তন দাবি করেছে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন দলটি।