শুক্রবার, জুন ২৭, ২০১৪

হেরেও নকআউট পর্বে যুক্তরাষ্ট্র

অন্য ম্যাচের দুই প্রতিপক্ষ ঘানা ও পর্তুগাল কামনা করছিল যুক্তরাষ্ট্রের হারই। কিন্তু এই হার থেকে ফায়দা নিতে পারেনি কোনো দলই। পর্তুগাল ২-১ গোলে ঘানাকে হারালেও গোল পার্থক্যে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে থেকে বাদ পড়ে তারা।
ওই ম্যাচ এক সময় ১-১ গোলে ড্র ছিল। ঘানা আরেক গোল করে স্কোরলাইন ২-১ করে ফেললে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বদলে জার্মানির সঙ্গী হতো তারাই।
জার্মানি-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটি ড্র হলে অন্য ম্যাচে যাই ফল হোকনা কেন, এই দুই দলই যেতো সেরা ষোলোতে। তাই বিশ্বকাপের মঞ্চে আরেকটি ‘সমঝোতার’ ম্যাচের শঙ্কাও ছিল। তবে বৃহস্পতিবার রেসিফির আরেনা পের্নামবুকোতে ম্যাচের শুরুতে দুই দলেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেলতে থাকে।
শুরুতে মাঠের দখল নেয় যুক্তরাষ্ট্র। বেশ কটি ভালো আক্রমণও করে তারা কিন্তু প্রতিপক্ষের ডি বক্সের সামনে গিয়ে বারবারই ছন্দ হারিয়ে ফেলে তারা।
এরপর ছন্দ ফিরে পায় জার্মানি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মতো কয়েকটি ভালো সুযোগও পায় তারা। কিন্তু টমাস মুলার ও মেসুত ওজিলদের শট কখনও ঠেকিয়ে দিন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক হাওয়ার্ড আবার কখনও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তারা।
তবে প্রথমার্ধের শেষ ২০ মিনিটে হঠাৎ করে এলোমেলো খেলা শুরু করে দুটি দলই। ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
আক্রমণ বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লুকাস পোডলস্কির জায়গায় মিরোস্লাভ ক্লোসাকে মাঠে নামান জার্মান কোচ ইওয়াখিম লো। এর দশ মিনিট পর গোলও পেয়ে যায় তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।    
ডান দিক থেকে ডিফেন্ডার পের মেরটেজাকারে হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি হাওয়ার্ড। ফিরতি বল পেয়ে যান প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মুলার। ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বুলেট গতির কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান তিনি।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে মুলারের এটি চতুর্থ গোল। আর সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে এটা তার নবম গোল। গত আসরে পাঁচ গোল করেছিলেন তিনি।
শেষ দিকে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। ফরোয়ার্ড ক্লিন্ট ডেম্পসি একাই অনেকগুলো সুযোগ পান। কিন্তু ব্যর্থতার গণ্ডি থেকে বেরোতে পারেননি তিন।