সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৪

নতুন বছরে নতুনরূপে আলিয়া?

এরই মধ্যে বলিউডে বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন মহেশ ভাট কন্যা আলিয়া ভাট। সর্বশেষ ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়শৈলী দেখিয়েছেন তিনি। রূপ, গ্ল্যামার, নাচ, পারফরমেন্স, অভিনয়, শারীরিক সৌন্দর্য- সবদিক দিয়ে অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে তিনি। বিগ বি অমিতাভ বচ্চন তো এই সময়ের সুঅভিনেত্রী হিসেবেই অভিহিত করেছেন আলিয়াকে। সব মিলিয়ে বেশ ভাল একটি সময় পার করছেন তিনি। তবে চলতি বছর আলিয়া অভিনীত কোন ছবি আর মুক্তি পাচ্ছে না। আলিয়াকে নতুন বছরের শুরুতে নতুনরূপে দেখা যাবে। ছবির নাম ‘শানদার’। 
পরিচালনা করেছেন বিকাশ বেহল। এখানে প্রথমবারের মতো শহিদ কাপুরের বিপরীতে দেখা যাবে আলিয়া ভাটকে। এরই মধ্যে ছবির বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মজার বিষয় হলো, এ ছবির জন্য যখন শহিদকে জানানো হলো তার বিপরীতে আলিয়া অভিনয় করবেন, তখন অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। সবেমাত্র ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ মুক্তি পেয়েছে তার। কিন্তু ছবিটি দেখেননি শহিদ। পরবর্তীতে ছবিটি দেখার পর রাতারাতি আলিয়ার ভক্ত হয়ে যান তিনি। এরপর আলিয়ার সব ক’টি ছবিই দেখেছেন তিনি। এদিকে ‘শানদার’ ছবিতে বেশ ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন শহিদ-আলিয়া। শুধু তাই নয়, এই ছবিতে প্রথমবারের মতো বিকিনি পরেছেন আলিয়া। তাও আবার একাধিক দৃশ্যে। বিষয়টি উপভোগও করেছেন খোদ আলিয়া। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আগে শুধু 
পত্রিকায় খবর দেখতাম অমুক নায়িকা বিকিনি পরেছেন অথবা বিকিনি পরে বিতর্কের মুখে অমুক নায়িকা। বেশ মজাই লাগতো আমার কাছে। আমি মনে করি শারীরিক গঠন যদি সঠিক হয় তবে বিকিনি পরাটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার কিছু নেই। আমি নিজেও ‘শানদার’ ছবিতে বিকিনি পরেছি। বেশ এনজয় করেছি দৃশ্যগুলো। আশা করছি দর্শকরাও মুগ্ধ হবেন। 

সানির চ্যালেঞ্জ?

বর্তমানে বলিউডে বেশ চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন সানি লিওন। পর্নো জগত থেকে অল্প সময়ের মধ্যে বলিউডে নিজের অবস্থান জানান দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত যত ছবিতে সানি অভিনয় করেছেন, সবক’টিতেই তার সেক্সসিম্বল ইমেজটাকেই উপস্থাপন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর বাইরে আইটেম গার্ল হিসেবেও শীর্ষে রয়েছেন তিনি। পর পর তিনটি আইটেম গানে সফলতার পর এখন সানি খুব বেছে বেছে কাজ করছেন। খুব শিগগিরই হানি সিংয়ের একটি গানেও তাকে দেখা যাবে মডেল হিসেবে। সব মিলিয়ে নিজের হট ইমেজ দিয়ে বলিউডে ভালই জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন সানি। তবে এবার নিজেকে ভাঙছেন সানি। অর্থাৎ একই ইমেজে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখছেন না। ছবিতে সব সময় শরীর প্রদর্শনে ব্যস্ত সানিকে এবার দেখা যাবে কমেডি চরিত্রে। বিষয়টি শুনে অনেকের কাছে অবাক লাগলেও হচ্ছে তেমনটাই। নতুন একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সানি। ছবির নাম ‘মাস্তিজাদি’। পরিচালনা করছেন মিলাপ জাভেরি। মহারাষ্ট্রের একজন তরুণীর চরিত্রে এখানে সানিকে পাওয়া যাবে। ছবিতে খোলামেলা হয়ে অভিনয় করলেও এখানে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে তার কমেডি চরিত্রটিই। এরই মধ্যে ছবির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন সানি। নিজেকে এই চরিত্রে উপযোগী করার জন্য যা যা করা দরকার তাই করছেন। ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করবেন সানি। সব মিলিয়ে এবার কমেডিতেই নিজেকে ভালভাবে ঝালিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে সানি লিওন বলেন, আমি অপেক্ষায় ছিলাম নতুন কোন চরিত্রের। এই ছবিটির মাধ্যমে সেটা পাচ্ছি। তাই সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই। এটি একটি কমেডি ছবি। আমাকেও মানুষ হাসাতে হবে! এটা খুব কঠিন বিষয়। তবে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছি। নিজেকে সেভাবে তৈরি করছি। দেখা যাক কি হয়।

মাথায় হিজাব, শরীরে আঁটসাঁট ?

বিষয়টি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ ইদানীং সে দেশে হিজাব পরা নারীর সংখ্যা বেড়েছে৷ কিন্তু তাদের শরীরে থাকছে আঁটসাঁট পোশাক – মুসলিম পণ্ডিতরা যেটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন৷ ইন্দোনেশিয়ায় এ ধরনের পোশাক জিলবুবস নামে পরিচিতি পেয়েছে৷ শব্দটা আলাদা দুটো শব্দের মিশ্রণ৷ জিল এসেছে জিলবাব থেকে৷ ইন্দোনেশিয়ায় হিজাবের আরেক নাম এটি৷ আর স্তন শব্দের প্রচলিত স্ল্যাং বা অপশব্দ হচ্ছে বুবস৷ আঁটসাঁট পোশাক হচ্ছে সেটা, যা পরলে স্তন আর পেছনের দিকটা প্রকাশিত হয়ে যায়৷
আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ান কাউন্সিল অফ মুসলিম স্কলারস সম্প্রতি জিলবুবস পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ সংস্থার ডেপুটি চেয়ারম্যান মারুফ আমিন বলেন, নারীরা যে জিলবাব পরছে সেটাকে আমরা স্বাগত জানায়৷ কিন্তু অনেকে দেখা যাচ্ছে তার সঙ্গে এমন পোশাক পরছে যেটা শরীরের বিশেষ অংশ বের করে দিচ্ছে৷ আমরা (কাউন্সিল) এটা একেবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি৷
এই সংস্থার কোনো নিয়ম জনগণ মানতে বাধ্য নয়৷ তাই ইন্দোনেশীয়রা এতদিন কাউন্সিলের ঘোষণাগুলো উপেক্ষাই করে এসেছে৷
তবে কাউন্সিলের এবারের সিদ্ধান্তে ইন্দোনেশিয়ার নারীদের মধ্যে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ কেউ এটাকে সমর্থন করছেন, কেউ তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ আবার একটা অংশ আছে যাঁরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মজার সমালোচনা করেছেন৷
নারীবাদী লেখক জুলিয়া সুরিয়াকুসুমা জাকার্তা পোস্ট-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে মুসলিম পণ্ডিতদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের নিন্দাজানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, জিলবুবস হচ্ছে ধর্ম বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বায়িত চেতনার সংমিশ্রন....একটা ফ্যাশন ট্রেন্ড৷
মুসলিম লেখক আসমা নাদিয়া মনে করেন, জিলবুবস নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেটা মুসলিম রীতি যাঁরা পালন করছেন সেসব নারীদের জন্য একটা সতর্কবাণী৷ মুসলিম নারী যাঁরা শরীর ঢাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁদের পোশাক পরায় আরেকটু সাবধান হওয়া উচিত৷
তিনি মনে করেন, শালীনতাবোধটাই যদি মূল বিবেচ্য বিষয় হয় তাহলে ফ্যাশন আর শালীনতাবোধ একসঙ্গে চলতে পারে৷ এদিকে ফেসবুকে একটি পেজ খোলা হয়েছে যেখানে মেয়েরা তাঁদের জিলবুবস পরা ছবি পোস্ট করছেন৷ ফেব্রুয়ারি মাসে খোলা এই পেজে ইতিমধ্যে প্রায় ৪২ হাজার লাইক পড়েছে৷

মধ্যরাতে গোপন প্রণয়ে দীপিকা?

মধ্যরাতে কার সঙ্গে গোপন প্রণয়ে দীপিকা?দীপিকার যে কী হয়েছে, সেটা আজকাল অনেকেই ভাবছেন। ওম শান্তি ওমের সেই মিষ্টি মেয়েটি, যে কিনা রণবীরের প্রতারণার পর ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ফেলেছিলেন, সেই দীপিকা আজকাল বড্ড বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। অনেকেই বলছেন যে দীপিকা এখন রীতিমত উড়নচণ্ডী! একের পর এক বিতর্ক তৈরি করে এবার মধ্যরাতে অভিসারে গিয়ে খবরের শিরোনাম হলেন দীপিকা পাড়ুকোন।
অবশ্য প্রেমিক অভিনেতা রণবীর সিংয়ের সঙ্গে অভিসার করতে গিয়েই ফেঁসেছেন তিনি। কিন্তু বলিউডে সকলেই জানে যেন দীপিকার প্রেমিকের চরিত্র আসলে কেমন! অনেক দিন থেকেই চুটিয়ে প্রেম চলছে তাদের মধ্যে। কিন্তু বলিউডের প্রেমের চিরায়ত রীতি মেনে এখনো পর্যন্ত প্রেমের কথা মুখে স্বীকার করেননি তারা। তবে ঘন ঘন একসঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মধ্যরাতে একসঙ্গে নৈশভোজে গিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন রণবীর-দীপিকা। সম্প্রতি ফাইন্ডিং ফ্যানি ছবির প্রদর্শনীতে একসঙ্গে হাজির হন রণবীর ও দীপিকা। শুধু তা-ই নয়, লুকোচুরি না খেলে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আলোকচিত্রীদের ছবি তোলারও সুযোগ করে দেন। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ছবি দেখা শেষ করে একসঙ্গে নৈশভোজের উদ্দেশে প্রেক্ষাগৃহ ত্যাগ করেন তারা।
সূত্র জানিয়েছে, প্রদর্শনী শেষে গাড়িতে চেপে দীপিকার পছন্দের একটি রেস্তোরাঁয় যান তারা। অবশ্য রেস্তোরাঁয় প্রবেশের সময় বেশ সতর্ক ছিলেন। তারা সেখানে একসঙ্গে না ঢুকে আলাদা-আলাদাভাবে প্রবেশ করেন।

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪

স্তন ক্যান্সার বোঝার জন্য ইলেকট্রনিক স্কিন

শরীরে ব্রেস্ট ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে কি না তা বোঝার জন্য এবার ইলেকট্রনিক স্কিন নিয়ে এলেন চিকিত্‍সকরা। স্তনে কোনও অতিরিক্ত লাম্প হয়েছে কি না তা অনেক সময় হাত দিয়ে বোঝা না যেতে পারে। কিন্তু, ইলেকট্রনিক স্কিন সন্ধান দেবে সেই ছোট্ট লাম্পের।
চিকিত্‍সক রবি এফ সরফ ও চিউ ভ্যান নিগুয়েন জানান, স্তনের ক্যান্সার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে রোখা যেতে পারে যকৃতে সংক্রমণ। সাধারণত লাম্প যদি ২১ মিলিমিটারের থেকে ছোট হয় তবে তা ধরা পড়ে না হাতে। কিন্তু ইলেকট্রনিক স্কিন খুঁজে বের করতে পারে তার থেকেও ছোট লাম্প। লাম্পের গতিপ্রকৃতি বিচার করে সময় মতো চিকিত্‍সা শুরু করলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা ৯৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
ন্যানোপার্টিকল ও পলিমারের সাহায্যে তৈরি এই ইলেকট্রনিক স্কিন ৫ মিলিমিটার থেকে ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত ছোট লাম্পও খুঁজে বের করতে পারে।

পুরুষ ধর্ষণের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষ ধর্ষণের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। যৌন অপরাধের মাত্রা জানতেই এ জরিপ চালানো হয়, সে জরিপেই দেখা গেছে, পুরুষ ধর্ষণের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০১১ সাল থেকে যৌন অপরাধ সংক্রান্ত ওই জরিপ পরিচালনা করা হয়। এ জরিপে টেলিফোনে ১২ হাজার ৭২৭ জন নারী-পুরুষের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। তাদের সবার বয় ১৮ থেকে ৫০। জরিপ থেকে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৫ জন নারীর একজন জীবনের কোনো না কোনো সময় ধর্ষণের শিকার হন।
অর্থাৎ শতকরা হিসাবে সেখানে প্রায় ২০ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ৩০ লাখ নারী বাস করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১৯ লাখ নারীই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
অন্যদিকে পুরুষরাও ধর্ষণের শিকার হন ১.৭ শতাংশ। এ সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেশি। তবে ওই প্রতিবেদনে পুরুষ ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে তেমন কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

মা হওয়া নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় কারিনা

দীর্ঘদিন ধরেই এক নম্বর নায়িকার তকমাটি ধরে রেখেছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। যদিও এই তকমাটি সম্প্রতি বেশ নড়বড়ে হয়ে গেছে। বছরখানেক আগে জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খানকে বিয়ে করার পর যেন পড়তির দিকে চলে যায় কারিনার ক্যারিয়ার। অবশ্য সম্প্রতি কারিনা অভিনীত ‘সিংহাম রিটার্নস’ ছবিটি ভাল ব্যবসা সফলতা পেয়েছে। তারপরও কারিনার ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলছেন কারিনার যাত্রা এখান পর্যন্তই। এখন শুধু পড়তির দিকেই যেতে থাকবেন তিনি। এদিকে কারিনা নিজে সংশয়ে রয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। আর অন্য একটি বিষয় নিয়ে দারুণ সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন তিনি। সেটি হচ্ছে মা হওয়া। নবাব পরিবারের বৌ হিসেবে এরই মধ্যে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে মা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কারিনাকে ভাবতে বলা হয়েছে। সাইফ নিজেও এখন চাচ্ছেন বাবা হতে। শাশুড়ি শর্মিলা ঠাকুর সম্প্রতি কারিনাকে সরাসরি সন্তান নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। এদিকে বড় বোন কারিশমা কাপুরও এই পর্যায়ে এসে কারিনাকে মা হওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন। এখন নতুন আরও দুটি ছবি হাতে রয়েছে কারিনার। সেই ছবিগুলোর জন্য অপেক্ষা নাও করতে পারেন এই অভিনেত্রী। সবার অনুরোধে হয়তো চলতি বছরই তার মা হতে যাওয়ার সুখবর আসতে পারে। তবে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। নিজের সিদ্ধান্তহীনতার বিষয়টি নিয়ে অতি কাছের মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এখন সামনের সময়ই বলে দেবে কারিনা সহসা মা হতে যাওয়ার ঘোষণা, নাকি ক্যারিয়ারকে আরও কিছুটা সময় দেবেন।

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৪

ক্যাটরিনা নির্লজ্জ আর নোংরা মানসিকতার-সোনম

তাকে মানা হয় বলিউডের ফ্যাশন আইকন। অভিনয়ও করেন দুর্দান্ত। যদিও নিজের কোন ছবিই তেমন হিট না করায় তাকে আদর করে ডাকা হয় ফ্লপ ছবির হিট নায়িকা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে নানা সময় তিনি সহকর্মীদের সম্বন্ধে আজেবাজে মন্তব্য থাকেন। আর সম্প্রতি তিনি ক্যাটরিনা কাইফকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে আবার এসছেন আলোচনায়। বলছি সোনম কাপুরের কথা।
পর্দায় আবেদনময় উপস্থাপন দিয়ে বর্তমান সময়ে বলিউডের সবচেয়ে সফল নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। আর সেই সেই ক্যাটরিনা কাপুরকেই সোনম কাপুর নির্লজ্জ বলে তাচ্ছিল্য করলেন! আনুপমা চোপড়ার জনপ্রিয় টক শো ‘ফ্রন্ট রো’তে এসে এমন মন্তব্য করেন সোনম কাপুর।
শুধু তাই নয় অনুষ্ঠানটিতে সোনম আনুপমাকে আরো বলেন, তিনি ক্যাটরিনা কাইফকে একটি ফুলের তোরা উপহার দিতে চান। আর জানতে চাইবেন কী করে তিনি এমন একটি কাজ করতে সক্ষম হলে। কেননা নির্লজ্জ আর নোংরা মন মানসিকতার না হলে তিনি এই কাজ করতে পারতেন না।
তবে ধারণা করা হচ্ছে বুম সিনেমাতে ক্যাটরিনার খোলামেলা উপস্থাপন আর সাবেক প্রেমিক রণবীর কাপুরের সাথে বিকিনি পরিহিত অবস্থায় ক্যাটরিনার ক্যামেরাবন্দী হওয়ায় এমন মন্তব্য করেছেন সোনম। তবে রণবীরের সাথে ক্যাটরিনাকে সহ্য করতে না পারায় যে এমন মন্তব্য করেছেন তা খুব স্পষ্ট।

দেহব্যবসায় জড়িত অভিনেত্রীরা আতঙ্কে!

দেহব্যবসায় জড়িত অভিনেত্রী এবং খদ্দেররা আতঙ্কে!অনৈতিক কাজে জড়িত (দেহব্যবসা) থাকার অভিযোগে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলিউডের বেশ কিছু অভিনেত্রী। গ্রেফতার হওয়ার পর শ্বেতা বলেছেন অনেক অভিনেত্রীই দেহব্যবসায় জড়িত।
তাদের নাম ফাঁস করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গোপনে দেহব্যবসায় জড়িত অভিনেত্রী এবং শ্বেতার খদ্দেররা। গত ৩১ আগস্ট রাতে হায়দরাবাদের বাঞ্জারা হিলসের একটি হোটেল থেকে শ্বেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তার সঙ্গে যে ব্যবসায়ীরা ছিলেন তাদেরকে প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ।
ধারনা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ। দক্ষিণী ফিল্মের কাস্টিং ডিরেক্টর এসএম স্বামী জানিয়েছেন, তেলেগু, তামিল, কন্নড় ও মালয়ালম ফিল্মের অনেক নায়িকাই এখন প্রার্থনা করছেন, তাদের নাম যেন ফাঁস না করেন শ্বেতা।

সালমান খানের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য!

সালমান খানের বলিউড যাত্রা শুরু আশির দশকের শেষে, মাত্র ২৩ বছর বয়সে। ১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে রূপালি পর্দায়। পরের বছরই মুক্তি পায় তার সাড়াজাগানো ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। সেখানে ‘প্রেম’ চরিত্রে অভিনয় করে হাজারো তরুণ-তরুণীর হৃদয়ে রীতিমতো ঝড় তোলেন সালমান। ছবিতে তার অনবদ্য অভিনয় প্রশংসিত হয় নানামহলে। এই ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে ‘সেরা নবাগত অভিনেতা’ হিসেবে ঘরে তোলেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। একইসাথে বছরের ‘সেরা অভিনেতা’ হিসেবেও পান মনোনয়ন তিনি। পাঠকদের জন্য আজ থাকছে বলিউডের এই হার্টথ্রব হিরোর কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য-
১. সালমান খান একজন বড় হৃদয়ের মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রায়ই অসুস্থ শিশুদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং তাদের জন্য প্রায়ই রক্ত দান করেন।
২.লন্ডন শহরে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন সালমান।
৩.সালমান খান একজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী। তার মাও একজন শিল্পী।

৪. কর্মজীবনের শুরুতে সালমানের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ১০ লাখ রুপি উপার্জন করা।

৫.সালমান প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কোনো সিনেমায় কারো ঠোঁটে চুমু খাবেন না। এ কাজটি তিনি দুটি সিনেমায় করতে অস্বীকারও করেছেন।

৬.সালমানের ছবি তোলার বিষয়ে খুবই আগ্রহ রয়েছে। তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের প্রচুর ছবি তুলেন তিনি।

৭.বিভিন্ন ধরনের সাবানের প্রতি সালমানের খুবই আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ফলের নির্যাসসমৃদ্ধ সাবার তার খুবই প্রিয়।

৮. জুতার ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর এর দায়িত্ব পালন করলেও বাড়িতে খালি পায়ে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী এ তারকা অভিনেতা।

৯. গাড়ি চলাতে খুবই পছন্দ করেন সালমান। বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ এবং ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির প্রতি তার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে।

১০. নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচিতেও অংশ নেন তিনি।

একান্তে হৃতিক-দীপিকা!

দীপিকা, যেকোন পুরুষের পুরুষক্ত তন্ত্রী সমূহে শিহরণ জাগায়। উচ্ছ্বসিত প্রশংসা আর ইচ্ছাপ্রকাশ যেন সব এককেন্দ্রীক হয়ে এই বলি সুন্দরীর মাঝে। আর হৃতিক রোশন! নাচে-অভিনয়ে-চেহারায় নারীহৃদয় জয় করার এক্কেবারে পারফেক্ট পারসন৷
বলিউডে কোনও জুড়ির আভাস মিললে তা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়৷ কিন্তু নতুন যে জুড়ির আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তা অনেকটাই অপ্রত্যাশিত৷ শুনলে অবাক হবেন, আপাতত আমরা হূতিক রোশন আর দীপিকা পাড়‌ুকোনের কথাই বলছি৷ এমনিতে দু'জন যে যার জায়গায় বেশ উজ্জ্বল৷
বলিউডের নায়িকা লাইন-আপে নিশ্চয় প্রথম আসনের দাবিদার দীপিকা৷ আর হূতিক নাচে-অভিনয়ে-চেহারায় নারীহূদয় জয় করার এক্কেবারে পারফেক্ট পারসন৷ আর এই দু'জনকে নিয়েই আপাতত শুরু হয়েছে চর্চা৷ হয়েছে কি, দীপিকার নতুন ছবি 'ফাইন্ডিং ফ্যানি'-এর বিশেষ প্রদশর্নীতে বলিউড সেলেবদের আমন্ত্রণ ছিল৷ তারকা অতিথিদের তালিকায় ছিলেন হৃতিক রোশনও৷
'ফাইন্ডিং ফ্যানি' দেখে নাকি একেবারে মোহিত হয়ে যান হৃতিক৷ নিজে উঠে গিয়ে তিনি দীপিকাকে কনগ্র্যাচুলেট করেন৷ এরপর দু'জনের একান্তে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়৷ এরপরই হৃতিক ইচ্ছাপ্রকাশ করেন দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে একটি ছবি করার৷ বিবাহ বিচ্ছেদের পর গুজব চলছিল হৃতিকের সঙ্গে নাকি ক্যাটরিনা কাইফের গাঢ় বন্ধুত্ব রয়েছে৷
অন্যদিকে দীপিকা নাকি নিয়মিত ডেট করছেন রণবীর সিং-এর সঙ্গে৷ কিন্ত্ত সাম্প্রতিক ছবিটা বেশ অন্যরকম৷ আপাতত দু'জনের স্ক্রিন-কেমেস্ট্রি কেমন হয়, তারজন্যই অপেক্ষা করা যাক৷

সবাইতো সুখী হতে চায়’-রেলমন্ত্রী

‘সবাইতো সুখী হতে চায়’ সংসদে রেলমন্ত্রীর মধুর গানরেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জীবনের পড়ন্ত বেলায় ৬৭ বছর বয়সে বিয়ের ঘোষণা দিয়েছেন । বুধবার তিনি সংসদে এসেছিলেন লাল টুকটুকে পাঞ্জাবী পরে। সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এসময় বেশিরভাগ সদস্য তাকে অভিনন্দন জানান। গানের সুরে তাদের অভিন্দনের জবাব দেন মন্ত্রী।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নকর্তা সরকারি ও স্বতন্ত্র দলীয় সংসদ সদস্যরা বিলম্ব হলেও বিয়ের ঘোষণা দেয়ায় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রেলমন্ত্রীর চার্মিং চার্মিং ভাব। উনি এখন চার্মিং মুডে চলছেন।’ এ সময় সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালে মুজিবুল হক গানের সুরে বলেন, ‘সবাই তো সুখী হতে চায়...।’
এ সময় সবাই হাসিতে ফেটে পড়েন। সরকারি দলের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকায় চাষাড়া থেকে আদমজী পর্যন্ত ডবলগেজ রেলপথ স্থাপনের দাবি জানান। জবাব দিতে উঠে মন্ত্রী বলেন, ‘সত্যিই বলেছেন আমার চার্মিং চার্মিং ভাব। কিন্তু মনে রাখবেন- সবাইতো সুখী হতে চায়। আমিও চাই।
এরপর প্রশ্ন করতে গিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, বিলম্ব হলেও রেলমন্ত্রীর শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ায় তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। সেই সপ্তম সংসদ থেকে আমরা তাকে বিয়ে দেয়ার জন্য কতই না চেষ্টা করেছি। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেও সক্ষম হইনি। তাকে আমরা অনেকদিন ধরে চিনি। কিন্তু এতো সুন্দর রঙের লাল টুকটুকে পাঞ্জাবী পরে আসতে কখনও দেখিনি। উনি একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। রাজনীতিতে তিনি সার্থক হয়েছেন, আশা করি নতুন জীবন সঙ্গীনি পেয়ে জীবন যুদ্ধেও সার্থক হবেন। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি।
জবাব দিতে উঠে রেলমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, কোন ভাল কাজ একবারে না হওয়ার চেয়ে দেরীতে হওয়া ভাল। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম হিন্দীতে একটি উক্তি করে পুরো সংসদে হাসির খোরাক যোগান।

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৪

ক্যাটরিনার চেয়ে ইসাবেল বেশি মেধাবী!

ক্যাটরিনা-সালমান-ইসাবেলসাবেক প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফকে দেওয়া কথা রাখতে নিজের প্রযোজিত ‘ড. ক্যাবি’ ছবিতে ক্যাটের ছোটবোন ইসাবেল কাইফকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন ‘বিগহার্ট লাভারবয়’ সালমান খান। সম্প্রতি ইসাবেল কাইফের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সালমান। তাঁর মতে, ক্যাটরিনার চেয়ে ইসাবেল বেশি মেধাবী।

সম্প্রতি কানাডায় ‘ড. ক্যাবি’ ছবির অডিও অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নেন সালমান। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ক্যাটরিনার চেয়ে ইসাবেল বেশি মেধাবী’। ইসাবেল সম্পর্কে এই মন্তব্য ক্যাটরিনা হয়তো ভালো ভাবে নেবেন না বলেও জানান খান সাহেব। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

‘ড. ক্যাবি’ ছবির অডিও অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ইসাবেলের সঙ্গে নাচতেও দেখা গেছে সালামানকে।

‘ড. ক্যাবি’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইসাবেল কাইফ, কুনাল নায়ার, লিলি সিং, বিনয় বিরমনি প্রমুখ। ছবিটির মুক্তির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর।

এদিকে ইংরেজি ভাষায় নির্মিত ‘ড. ক্যাবি’ ছবি হিন্দিসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষায় ডাবিং করে ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন সালমান খান।

‘ডক্টর ক্যাবি’ ছবিটি প্রযোজনার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন বলিউডের প্রভাবশালী এ অভিনেতা, প্রযোজক ও টিভি সঞ্চালক। ছবিটির পরিচালকের আসনে রয়েছেন কানাডীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা জ্যঁ-ফ্রাসোয়া পলিয়ট।

নিজের নগ্ন ছবি ফাঁস না হওয়ায় অপমানিত!

নিজের নগ্ন ছবি ফাঁস না হওয়ায় অপমানিত হয়েছেন হেলেনবয়স হলেও হলিউড অভিনেত্রী হেলেন মিরেনের হাসিতামাশার রসবোধ এখনো রয়ে গেছে। সম্প্রতি হলিউড তারকাদের নগ্ন ছবি ফাঁস হওয়ার ঘটনায় অনেক তারকাই উদ্বিগ্ন আছেন। কিন্তু দুষ্ট হ্যাকাররা এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ছবি ফাঁস করেনি বলে অপমানিত বলে জানান তিনি।

ম্যাজিক এফএম রেডিওর এক অনুষ্ঠানে এমন ক্ষোভের কথাই জানালেন এই অভিনেত্রী।
৬৯ বছর বয়সী মিরেন বলেন, ‘কী অপমানজনক কথা, আমার ফোনটি হ্যাক করার মতো কি কেউ ছিল না! যাদের ছবি হ্যাক হয়েছে সেই তালিকায় বার বার নিজের নাম খুজছিলাম, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি।’

খানিক বিদ্রুপের স্বরে তিনি বলেন, যদি ফোনই না হ্যাক করলো, তাহলে আপনি কীসের তারকা। তবে নিজের নগ্ন ছবি কেউ ফোনে কেন রাখে সেটা বুঝতে পারছি না বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স, কেট আপ্টন, গায়িকা রিয়ান্না, সেলেনা গোমেজসহ বেশ কিছু তারকার নগ্ন ছবি ফাঁস হয়ে যায়। সেসকল অভিনেত্রীর ভীড়ে তার নাম নেই বলে কষ্টই পেয়েছেন মিরেন।

বিয়ে না করেই মা জ্যাকসন কন্যা!

বিয়ে না করেই মা হচ্ছেন জ্যাকসন কন্যা প্যারিস!বিয়ে না করেই মা হচ্ছেন জ্যাকসনের কুমারী কন্যা প্যারিস জ্যাকসন। প্রয়াত পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের কুমারী কন্যা অন্তঃসত্ত্বা বলে মার্কিন মুল্লুকে জোর গুঞ্জন উঠেছে। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের। ১৬ বছর বয়সী প্যারিস শুক্রবার তার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার সময় ভক্তরা বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তার ছেলেবন্ধুর নাম জানা যায়নি।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চটুল সাইটগুলোতে চলছে তুমুল আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ সাইটে একজন লিখেছেন, ছেলেবন্ধুর সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার সময় দুবার মদের পরিবর্তে টক জাতীয় পানীয় পান করেন প্যারিস। উপস্থিত অনেকেই জানিয়েছেন, প্যারিসের পেট স্বাভাবিকের চেয়ে স্ফীত ছিল।
লরিয়েন নামের একজন অনলাইনে লিখেছেন, ‘প্যারিস সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছেন। আমি তাকে নিয়ে গর্বিত।’ কেলি নামের আরেকজন লিখেন, ‘মাইকেল যদি বেঁচে থাকত, তাহলে এ সংবাদটি তার পরিবারের জন্য সবচেয়ে আনন্দের সংবাদ হতো।’ প্যারিস ছেলেবন্ধুর সঙ্গে বাগদান সেরেছেন বলে এর আগে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।
বছর দুয়েক মিডিয়া থেকে নিজেকে আড়াল রেখেছেন জ্যাকসনকন্যা। এটি গুঞ্জন না সত্যি, সেই বিষয়ে মুখ খুলেননি প্যারিসের মুখপাত্র। তবে তিনি জানান, ‘তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। বিষয়টি পরে জানা যাবে তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না।’

এবার ভক্তদের ‘ডাবল মজা’ দিতে আসছেন সানি লিওন

এবার ভক্তদের ‘ডাবল মজা’ দিতে আসছেন সানি লিওনএবার সানি লিওন আসছেন বলিউড ভক্তদের ‘ডাবল মজা’ দিতে । রাগিনী এমএমএস টু এর পরে এ সাবেক পর্নো তারকা এবারে তুষার কাপুরকে সঙ্গে নিয়ে রূপালি পর্দায় হাজির হবেন সেক্স কমেডি ফিচার ফিল্ম নিয়ে। ‘বেবি ডল’খ্যাত এ অভিনেত্রী এবারের ছবি মাস্তিজাদি’তে ডাবল চরিত্রে অভিনয় করবেন। খবর জি নিউজ
প্রিতিশ নন্দী কমিউনিকেশন প্রযোজিত ছবিতে তিনি লাইলা ও লিলি নামের দুই জমজ বোনের চরিত্রে অভিনয় করছেন। আর এটিই হবে সানি লিওনে কোনো সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়। খবরটি নিশ্চত হওয়া গেছে ছবিটির অফিসিয়াল টুইটার পেজ থেকে। এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ক্রেজিয়েস্ট, দ্য ফানিয়েস্ট অ্যান্ড দ্য হটেস্ট দুই বোনের সঙ্গে পরিচিত হোন! সানি লিওন একাই লাইলা এবং লিলি!
এই অভিনেত্রী নিজেও তার টুইটার অ্যাকাউন্টে একই পোস্ট দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে এই ছবিতে সানি লিওনকে দুটি ভিন্ন রূপে দেখা যাবে। তুষার ও সানি লিওন ছাড়াও এই ছবিতে দেখা যাবে বীর দাসকে। আর ছবিটি পরিচালনা করবেন গ্রান্ড মাস্তি ছবির নির্মাতা মিলাপ জাভেরি।
আর এ ছবিটির মধ্য দিয়ে প্রথম বারের মতো কোনো সেক্স কমেডিতে দেখা যাবে সানি লিওনকে। অন্যদিকে তুষার কাপুর এ ধরণের আরও দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ছবি দুটি হলো কেয়া কুল হায় হাম এবং এর সিক্যুয়াল কেয়া সুপার কুল হ্যান হাম।

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৪

যে অসুখে দাম্পত্য জীবন ব্যাহত হয়

ক্লামাইডিয়া পুরুষের অতি সাধারণ যৌনবাহিত সংক্রমণ। অনেক পুরুষ সচরাচর জানেন না তাদের ক্লামাইডিয়া সংক্রমণ রয়েছে, কারণ তাদের কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। যা হোক, ক্লামাইডিয়া মহিলা যৌন সঙ্গিনীকে সংক্রমিত করতে পারে এবং মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায় এ জটিলতা সৃষ্টি করে। নবজাতক শিশুরাও এই জটিলতার শিকার হয়।
কীভাবে সংক্রমণ ঘটে?
যে জীবাণুটি সংক্রমণ ঘটায় তা রনাম ক্লামাইডিয়া ট্রাকোমাটিস। এই জীবাণুগুলো ব্যাকটেরিয়ার মতো একই ধরনের। সংক্রমণ সাধারণত যৌন সঙ্গমের সময় একজনের কাছ থেকে আরেক জনের কাছে ছড়ায়। এগুলো অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পায়ু এলাকায়ও হতে পারে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে ক্লামাইডিয়া সাধারণত মূত্রনালীকে সংক্রমিত করে। মূত্রনালী হচ্ছে একটা নল যা পুরুষাঙ্গের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। মূত্রনালীর মধ্য দিয়ে প্রস্রাব ও যৌন রস (বীর্ষ) বেরিয়ে যায়। মূত্রনালীর সংক্রমণকে বলে ইউরেথ্রাইটিস।
ক্লামাইডিয়া এপিডিডাইমিস কিংবা প্রোস্টেট গ্রন্থিকেও সংক্রমিত করতে পারে। এপিডিডাইমিস হলো একটি ছোট গ্রন্থি যা অন্ডকোষের সাথে সংযুক্ত থাকে। এটা শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোস্টেট গ্রন্থি থাকে পুরুষাঙ্গের গোড়ায়। এটা শুক্রাণুর জন্য পুষ্টি উপাদান তৈরি করে। এপিডিডাইমিসের সংক্রমণকে বলে এপিডাইমাইটিস। প্রোস্টেটের সংক্রমণকে বলে প্রোস্টেটাইটিস।
পায়ুপথে সঙ্গম করলে মলদ্বার এবং মলনালীও সংক্রমিত হতে পারে।
উপসর্গগুলো কী কী?
সচরাচর কোনো উপসর্গ থাকে না। যদি মূত্রনালী সংক্রমিত হয় তাহলে আপনার এসব উপসর্গ থাকতে পারে :
০ পুরুষাঙ্গের মাথা থেকে রস নিসৃত হওয়া
০ প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করা
০ এপিডিডাইমিস সংক্রমিত হলে অনডকোষে ব্যথা করে
০ প্রোস্টেট গ্রন্থি সংক্রমিত হলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয় সেসব হচ্ছে:
০ মূত্রনালী থেকে নিঃসরণ
০ প্রস্রাব করার সময় কিংবা প্রস্রাব করার পর ব্যথা বা জ্বালাপোড় করা অথবা অস্বস্তি বোধ করা
০ যৌন সঙ্গমের সময় কিংবা যৌন সঙ্গমের পরে ব্যথা করা
০ পিঠের নিম্নভাগে বা কোমরে ব্যথা করা।
কখনো কখনো প্রোস্টেট কিংবা এপিডিডাইমিসের সংক্রমণ হঠাৎ ও তীব্র হয়। এ ধরনের সংক্রমণের ফলে জ্বর হয় অথবা অসুস্থতার অন্য লক্ষণগুলো দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
পায়ুপথ সংক্রমিত হলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়
০ পায়ুপথের চারপাশে জ্বালাপোড়া করা
০ পায়খানা করার সময় ব্যথা করা
কীভাবে রোগ নির্ণয় করবেন?
রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রথমেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। মূত্রনালীর সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য মূত্রনালীর মুখের নিঃসরণ পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের মাথায় মূত্রনালীর মুখে একটা সরু সোয়াব ঢোকানো হয়। ক্লামাইডিয়ার জন্য আপনাকে একটা প্রস্রাবের পরীক্ষাও করানো হতে পারে। যদি আপনার পায়ুপথে উপসর্গ থাকে তাহলে আপনার পায়ুপথের নিঃসরণ পরীক্ষা করাতে হবে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যাবে আপনার সংক্রমণে কী এবং কোন অ্যান্টিবায়োটিক সবচেয়ে ভাল কাজ করবে। তবে সচরাচর এপিডিডাইমিস ও প্রোস্টেট গ্রন্থির সংক্রমণের জন্য দায়ী জীবাণুকে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
কী চিকিৎসা দেবেন?
সাধারণত সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে সংক্রমণ সেরে যায়। বেশিরভাগ মূত্রনালীর সংক্রমণে সাত দিন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের প্রয়োজন। কখনো কখনো একক মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সংক্রমণের চিকিৎসা করা যেতে পারে। প্রোস্টেট গ্রন্থির সংক্রমণের জন্য ২ থেকে ৪ সপ্তাহ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

যৌনতার বাধানিষেধ

যদিও অনেক প্রাণীর মধ্যে সমকামিতার যৌনখেলা বর্তমান। তাদের যৌনতার পরিচালনা হয় বেশিরভাগই উর্বরতাবৃত্তের সময়ে। সাধারণত নারী পশুরাই তাদের গর্ভধারণের সময়কালে পুরুষ পশুদের সাথে মিলিত হওয়ার আগ্রহ দেখায়। পশুদের এই মিলনপর্বের সময়টাকে অর্থাৎ তাদের উর্বরতাবৃত্তের পিরিয়ডকে প্রায়ই বলা হয়ে থাকে এসট্রুস। নারী পশুর গাত্র থেকে এই সময়ে একটা গন্ধ ছড়ায়, যা পেয়ে পুরুষ পশুরা যৌনভাবে উত্তেজিত হয়। এই গন্ধ ছড়ানো শুরু হলেই বুঝতে হবে মাদী পশু এখন এসট্রুস অবস্থায় আছে। এই ধরনের যৌন উত্তেজনার গন্ধকে বলা হয়ে থাকে ফেরোমোন।
অনেক শ্রেণীর পশুদের মধ্যে মাদী পশু প্রায় একই সময়ে সবগুলোর এসট্রুস হয়ে থাকে। তখন ফেরোমোনসের গন্ধে বাতাস পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে, যার কারণে মর্দ পশুদের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায়, যাকে বলা হয়ে থাকে রুট।
বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি যে, ফেরোমোনস মানুষের যৌনতার ক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখে। আমরা নিশ্চিত করে জানি যে, যদিও নারী ও পুরুষের কোনো এসট্রুস বা রুট পিরিয়ড বলে কিছু নেই। এটাই হলো মানুষ ও পশুদের মধ্যে একটা বড় পার্থক্য­ আমাদের যৌন পরিচালনা শুধু প্রজননের জন্যই সীমিত নয়। আমরা যে কোনো সময়েই যৌন জাগৃতির ইচ্ছা করতে পারি, যৌনাঙ্গ চালনা করতে পারি এবং যৌনানন্দ উপভোগ করতে পারি। তাতে নারী উর্বর হোক বা না হোক তা কোনো ব্যাপার নয়। আমাদের মানুষের যৌন পরিচালনা আরো আমাদের সম্ভব করে তোলে ব্যাপক আকারের বিবিধ প্রক্রিয়ায় যৌন জাগরণ ও আনন্দ উপভোগ করা। এসব মানুষের যৌনখেলা পশুদের মতো এতটাই সীমিত আকারের নয়। যদিও আমাদের রয়েছে অনেক বেশি যৌন আনন্দের ক্ষমতা অন্যান্য বেশিরভাগ পশুর চেয়ে, আমাদের যৌন পরিচালনা অনেক বেশি নিষিদ্ধ হতেও পারে।
যেসব বাধানিষেধ যা মানুষের যৌন পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তা সাধারণত শারীরিক অপারগতার কারণে নয়, যেভাবে অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে হয় আমাদের যৌনতার বাধানিষেধগুলো হচ্ছে সাধারণত সামাজিক। তারা সেরিব্রাল করটেক্সের মধ্যে বাণীবদ্ধ হয়ে থাকে। ব্রেনের এই অংশের মধ্যেই আমাদের যৌনতার পরিচিতি ও ভালোবাসার মানচিত্র উন্নতি লাভ করে। তারা গঠিত হয় আমাদের জীবন আরো আমাদের পরিবারের সঙ্গে জীবনের অভিজ্ঞতা এবং আমাদের সম্প্রদায়ের সামাজিক ও যৌনতার আদর্শ দ্বারা। এখানেই আমাদের যৌনতার অনুভব বসবাস করে। এই অনুভবগুলো প্রভাবিত করে যে, কীভাবে আমরা যৌনতায় মিলিত হই, কতটা বৈচিত্রতায় আমাদের যৌনতার আচরণ আমরা উপভোগ করতে পারি এবং কতটা আনন্দ আমরা পেতে পারি।
অনেকগুলো অনুভব যা আমাদের আছে তা হচ্ছে যৌনতা সম্বন্ধে বাধা-নিষেধ। এসব বাধানিষেধের অনেকগুলোই আমাদের নিজেদের ও আমাদের সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকই অন্যকে আমাদের সাথে জবরদস্তি যৌনমিলনের জন্য বাধা অনুভব করি। অন্যদিকে অনেকগুলো বাধা-নিষেধ আছে যা অনুভব করি তা শুধু নিজেদের যৌনভাবে উপভোগ করায় বাধা দেয়। উদাহরণস্বরূপ আমরা চাইতে পারি যে আমাদের সঙ্গী আমার বিশেষ কোনো অঙ্গ স্পর্শ করুক কিন্তু হয়তো আমরা জানি না সেটা জিজ্ঞেস করা সঠিক কি না।
আমাদের যৌনতার বেশিরভাগ নিষেধ জড়িত রয়েছে আমাদের দেহের কল্পনায়, আমাদের আত্মসম্মানের সাথে, ঈর্ষা, হোমোফোবিয়া এবং আমাদের আন্তরিক হওয়ার সামর্থের সাথে।

যৌনাঙ্গ পরিচালনা

আমাদের সব ধরনের যৌন অনুভব সৃষ্টি হয় আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে, যা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় যৌনাঙ্গ। আমাদের যৌন অনুভূতির জন্য ব্রেনের দুটো আলাদা অংশ দায়ী­তার একটি হচ্ছে ‘হাইপোথ্যালামাস’ অন্যটি হচ্ছে ‘সেরিব্রাল করটেক্স’। আমাদের ব্রেনের পেছনের সূক্ষ্ম হাইপোথ্যালামাস আমাদের মূল চাহিদাকে প্রভাবিত করে। খাদ্য খোঁজ করে, বিপদ থেকে পলায়ন করে, আমাদের সুরক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করে এবং যৌনসঙ্গম ঘটায়। এগুলো হচ্ছে আমাদের মূল চাহিদা, যা আমরা অন্য প্রাণীদের সাথে সমভাবে ভাগ করে নিই।
বৃহৎ সেরিব্রাল করটেক্স যা থাকে আমাদের ব্রেনের সম্মুখভাগে, যা দ্বারা আমরা শিখি এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করি। এটা আমাদের বুঝতে শেখায় যে কীভাবে আমরা চিন্তা করি, কীভাবে অনুভব করি এবং যৌনতার বিষয়ে ভূমিকা পালন করি। এটা হচ্ছে ব্রেনের সেই অঞ্চল যা আমাদের যৌন অনুভূতি সম্বন্ধে জ্ঞাত করায়। হাইপোথ্যালামাস আমাদের যৌনতাকে পরিচালনা করে। অনেক সময় এটাকে বলা হয় লিবিডো। কিছু সংখ্যক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, হাইপোথ্যালামাস আমাদের যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতাকে যৌনাঙ্গ পরিচালনার জন্য গঠন করতে সাহায্য করে।
সেরিব্রাল করটেক্স আমাদের লিবিডোকে ভদ্রতা শেখায়। এটাই সেই স্থান যেখানে আমাদের মধ্যের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাসমূহ, আমাদের সামাজিক ও যৌন আচরণসমূহ বসবাস করে। এটা আমাদের যৌনাঙ্গকে পরিচালনার ব্যবস্থা করে যৌনতার খবরাখবর আদান-প্রদানের মাধ্যমে। যৌনতার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যৌনতার স্মৃতি মন্থন করে, যৌনতার কল্পনাকে উন্নত করে এবং যৌনতার ঝুঁকিকে মূল্যায়ন করে। এটা সেই সংবাদটি ধারণ করে রাখে যা আমাদের যৌনতার ধারণা, অনুভব এবং আচার-আচরণকে গঠন করে।
যৌনতার মনস্তত্ত্ব হচ্ছে আমাদের সেই জ্ঞান ব্যবস্থা যে, কীভাবে আমাদের যৌন পরিচালনা, যৌন অনুভূতিসমূহ, কল্পনাসমূহ, স্মৃতিসমূহ এবং চিন্তা একসাথে কাজ করে আমাদের মনে এবং আমাদের যৌন আচরণকে প্রভাবিত করে।

যৌন মিলনে বডি ফিটনেস বাড়ে!

যৌন মিলন দাম্পত্য জীবনে সুখের অনুভূতি এনে দেয়৷ এতে সম্পর্ক এতটাই মধুর হয় যে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারেন না৷ এক কথায় বলা যায় সুস্থ স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কই হল দাম্পত্যের জীবনের সুখের চাবিকাঠি৷ তবে জানেন কি শারীরিক মিলন শুধু শারীরিক ও মানসিক সুখানুভূতিই এনে দেয় না৷ এর সঙ্গে বডি ফিটনেস বাড়াতেও সাহায্য করে৷
প্রতিদিন আপনি যদি নিয়মিত আপনার সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হতে পারেন তাহলে আপনার বডি ফিটনেস বাড়বে৷ এর সঙ্গে মনে স্ফূর্তিও বজায় থাকবে৷ এ কথা জানিয়েছেন হলিউডের হট গায়িকা মেলাইন ব্রাউন৷ মেলাইন তাঁর স্বামীর সঙ্গে বেশীর ভাগ সময়ে সপ্তাহে পাঁচবার মিলিত হন৷ আর তাঁর বডি ফিটনেসটা সেই কারনেই একেবারে পারফেক্ট রয়েছে৷

যৌন মিলনে পরম তৃপ্তি!

কিছুদিন আগেই বৃটেনে সেক্স নিয়ে একটা সমীক্ষা চালানো হযেছিল৷ সমীক্ষার মূল বিষয়টা ছিল দম্পতিরা কোন সময়ে তাদের যৌন মিলনে পরম তৃপ্তি লাভ করেছেন? এতে বিভিন্ন প্রেমিক-প্রেমিকা এবং দম্পতিদের মতামত ভোটের মাধ্যমে জানা হয়৷ এতে বেশীরভাগই জানিয়েছেন একসঙ্গে চার বছর কাটানোর পরেই তারা জীবনে যৌন মিলনের চরম তৃপ্তিটা লাভ করেছেন৷ এই সমীক্ষায় মোট 3000 ভোট পড়েছে৷
এতে এক চতুর্থাংশ এর মতে কয়েক বছর একসঙ্গে কাটানোর পরেই তারা শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে বেশী পারদর্শী হতে পেরেছেন৷ অপরদিকে 60 শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তারা এখনও নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করছেন৷ এক দশমাংশের মতে বিয়ের পরেই যৌন মিলনের বিষয়ে তারা বেশী পরিমাণে শিখতে পেরেছেন৷
এই প্রসঙ্গে সার্ভের অধিকর্তা জানিয়েছেন ‘ সেক্স হল জীবনের অন্যান্য সম্পর্কের মত একটা অংশ৷ সময়ের উপরেই এর বৃদ্ধি এবং উন্নতি নির্ভর করে৷’

যৌন মিলনের চারটে গোপণ সূত্র

আপনার পার্টনারের সঙ্গে যৌন মিলনকে মধুর করতে হলে আপনাকে চারটে নিয়ম মেনে চলতে হবে৷ আপনি যদি এই চারটে নিয়মকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মেনে পার্টনারের সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হন তাহলে আপনি প্রকৃত অর্থে সহবাসের সুখ লাভ করবেন৷
‘দ্য ফোর সিক্রেটস অফ আমাজিং সেক্স’ এই গ্রন্থে লেখক জর্জিয়া ফস্টার এবং বেভারলি এনি ফস্টার চারটে নিয়মের কথা বলেছেন৷ তাদের মতে যৌন মিলনের আগে শরীরের তুলনায় মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়াটা জরুরি৷ মানসিক ভাবে আপনি যদি যৌন মিলনের জন্য তৈরি থাকেন তাহলেই আপনি এর চরম সুখ লাভ করতে পারবেন৷ যৌন মিলনের জন্য চারটে গোপণ তথ্যের প্রথমটা হল :
সিডাকশান: বেশীরভাগ মানুষই মনে করে যৌন মিলনের আগে নিজেদের যৌন উত্তেজনা বাড়াতে হবে৷ না সেটা একেবারেই ভুল ধারনা৷ আগে মনে প্রাণে যৌন চেতনা জাগান৷ যৌন মিলনের আগে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিন৷ আপনি কখনই ভাববেন না আপনার পার্টনারের যৌন উত্তেজনা নিমেষেই বেড়ে যাবে৷ মানসিক ভাবে অনুভব করার পরেই এটা বাড়ানো সম্ভব৷
সেনসেশান: যৌন মিলনের ক্ষেত্রে সিক্স সেনস একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়৷ সেক্ষেত্রে আপনি এবং আপনার পার্টনার উভয়েরই ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করতে হবে৷ কারণ যৌন মিলনের সময়ে প্রচুর এনার্জীর প্রয়োজন জয়৷ এনার্জী লাভের জন্য ষষ্ট ইন্দ্রিয়কে জাগানো জরুরি৷
সারেন্ডার: তৃতীয় চাবিকাঠিটা হল নিরাপত্তা৷ যৌন মিলনের সময় আপনি যদি নিশ্চিন্তে আপনার পার্টনারের কাছে নিজেকে সপে দিতে পারেন তাহলেই আপনার যৌন মিলন সফল হবে৷ এর জন্য পার্টনারের কাছে আপনি যে নিরাপদ রয়েছে সেই মানসিক ভাবনাটা থাকা জরুরি৷
রিফ্লেকশান: আপনি যদি প্রথম তিনটে নিয়্ম ভ্রুনাক্ষরে পালন করে তাহলে আপনি আপনার অভিজ্ঞতাতেই এর প্রতিবিম্বটা খুঁজে পাবেন৷ পুণরায় যৌন মিলনের আগ্রহ আপনার মনে জাগবে৷


রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট

টালিগঞ্জের নায়ক অঙ্কুশ আর বাংলাদেশের নায়িকা মাহিয়া মাহি। দুই বাংলার এই দুই তারকা এবার একসঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করতে যাচ্ছেন। ছবির নাম রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট। পরিচালনা করছেন অশোক পাতি। দুই দেশের দুই তারকাকে নিয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে কলকাতা থেকে ফোনে অশোক পাতি বলছিলেন, ‘অঙ্কুশের সঙ্গে তো আমার অনেক কাজ হয়েছে। আমি মাহির অগ্নি ছবিটি দেখেছি। তাঁর কাজ আমার ভালো লেগেছে।’
প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত মাহি। তাঁর অনুভূতি, ‘আমি খুব খুশি। আবার কিছুটা ভয়ও পাচ্ছি। কেননা, নতুন জায়গায় কাজ করতে হবে। চেষ্টা করব আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভালো কিছু করার।’
এদিকে কলকাতা থেকে অভিনেতা অঙ্কুশ মুঠোফোনে তাঁর অনুভূতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মাহির খুব বেশি কাজ আমি দেখিনি। শুনেছি, মাহি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ভালো অভিনেত্রী। অগ্নি ছবির কিছু ফুটেজ আমি দেখেছি।’
মাহি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর কলকতা রওনা হওয়ার কথা তাঁর। কলকাতা ছাড়াও ছবির বেশ কিছু দৃশ্য ধারণের কাজ হবে লন্ডনে। ছবিটিতে গান থাকবে পাঁচটি। গানের সুর ও সংগীত করছেন কলকাতার শ্রীপ্রীতম ও বাংলাদেশের ইমন সাহা।

মেয়েরা পুরুষের কাছে যা চায়

নারী এবং পুরুষ পরস্পর ভিন্ন এই দুটি সত্ত্বার পার্থক্য অনেক বেশি। বিপরীত লিঙ্গ হওয়ার কারণে পরস্পরের প্রতি দুর্বার আকর্ষণ থাকা সত্তেও হরমোনজনিত কারণে এদের মানসিকতা অনেক বেশি আলাদা। ফলে একিপথে চলতে-ফিরতে মানিয়ে চলাটা খুব বেশি জরুরি। আর বিশেষ ক্ষেত্রে ছেলেরা যদি নিজে উদ্যোগী হয়ে নারীকে বুঝতে যায়, তাহলে সম্পর্কটা হয়ে যায় আরো মধুর। মেয়েরাও চায় এই বিষয়গুলো সঙ্গী নিজে বুঝুক এবং করুক। আসুন জেনে নেই পুরুষের কাছে নারীর এমন দশটি চাওয়া-
আবেগী হোন:
ধরুণ, আপনি আপনার সঙ্গীনিকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। কিন্তু কখনো এই আবেগ প্রকাশ করলেন না। তাতে কী লাভ হলো। হয়তো বলবেন, সবসময় কী এসব প্রকাশ করা যায় নাকি! কিন্তু বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, সঙ্গীনি আপনার কাছে আবেগের এই প্রকাশ চায়। তাই বলে আপনি আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে একদম আবেগপ্রবণ হয়ে যাবেন, তা কিন্তু কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয় সঙ্গীনির কাছে।
কথা বলুন:
অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান চলে আসে শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমে। আবার ঠিকভাবে কথা না বলায়ও সৃষ্টি হতে পারে বড় বড় সমস্যার। সম্পর্কের ক্ষেত্রে কথা বলাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। আপনি একটা কিছু মনে রেখে দিলেন সঙ্গীনিকে প্রশ্ন না করেই, তাহলে কোনো এক সময় এই নীরবতাই সম্পর্কে টেনে আসবে তিক্ততার। আর তাই মেয়েরা চায় আপনি কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করুন এবং তার সাথে কথা বলুন সব বিষয়ে।
সে যখন কথা বলে, মন দিয়ে শুনুন:
বেশিরভাগ ছেলেই সঙ্গীনি কথা বললে নিজ ব্যস্ততার কারণে বা গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে মন দিয়ে শোনেন না। কাজটা অত্যন্ত ভুল। সঙ্গীনি আপনার কাছে কোনো প্রতিউত্তর আশা করে না। সে চায়, আপনি শুধু মন দিয়ে শুনুন। তাতেই সে খুশী। এবং আপনার কাছে তার এই প্রত্যাশা সে কখনো মুখ ফুটে বলবেও না। নীরবে অপেক্ষা করবে, চাইবে আপনি এর প্রয়োজনীয়তা বুঝে নিজেই উদ্যোগী হবেন তার কথা শুনতে।
আরো বেশি সহানুভূতিশীল হোন:
মানুষ মাত্রই রাগ-দুঃখ-অভিমান ইত্যাদি আবেগে সমৃদ্ধ। কারোর প্রকাশ একটু বেশি, কারোর কম। তবে রাগ প্রকাশের ক্ষেত্রে ছেলেরা একটু বেশি এগিয়ে। অনেক সময় দেখা যায়, অন্যের ওপরের রাগও প্রিয়জনের ওপর ঝেড়ে দেয় ছেলেরা। কিন্তু আপনি কী জানেন, আপনার এই কাজ কতখানি আঘাত করতে পারে আপনার সঙ্গীনিকে? মেয়েরা একটু বেশি অভিমানী হয়। আপনার এক মুহূর্তের এই ভুল আচরন সম্পর্ককে ঠেলে দিতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে। কাজেই সহনুভূতিশীল হোন, সঙ্গীনির মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন।
নিজেকে উন্নত করুন:
মেয়েরা সবসময়ই সঙ্গীকে নিয়ে নিজ পরিবারে, বন্ধুমহলে, পরিচিতদের কাছে গর্ব করতে ভালোবাসে। আপনাকে যদি গর্ব করার কোনো বিষয়ই খুঁজে না পান সঙ্গীনি, তাহলে কোনো এক সময় সম্পর্কে হয়তো তিক্ততাও নেমে আসতে পারে। একারণে মেয়েরা চায়, সঙ্গী নিজ চেহারা থেকে শুরু করে সববিণয়ে নিজেকে আগের চেয়ে আরো উন্নত করুক। কিন্তু হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই আপনি কষ্ট পাবেন বলে তারা তা প্রকাশ করে না। তারা চায়, আপনি এবিষয়টা নিজেই বুঝে নিন।
রান্না করুন:
পুরুষ রান্না করতে পারুক আর না পারুক- মেয়েরা চায়, সঙ্গী মাঝে মধ্যে তাকে রান্নাঘর থেকে ছুটি দিক। নিজে রান্না করে তাকে খাওয়াক। সে জানে, আপনি রাঁধুনি হিসেবে খুবই খারাপ। হয়তো সে খাওয়ার সময় আপনার রান্নার সমালোচনা করবে। তবু হলফ করে বলে দেওয়া যায়, সঙ্গীনি আপনার কাছে এই ব্যাপারটা প্রত্যাশা করে মনেপ্রানে। কিন্তু এবিষয়েও তারা অপ্রকাশিত। তারা চায়, আপনি নিজ দায়িত্বে বুঝে নিন এটা।
আস্তে গাড়ি চালান:
আপনি হয়তো গতি ভালোবাসেন। কিন্তু আপনার সঙ্গীনি সবসময়ই চায়, আপনি আস্তে ড্রাইভ করবেন। আপনার আনন্দের কথা মাথায় রেখে হয়তো এবিষয়েও কিছু বলবে না কিন্তু প্রত্যাশা করবে, আপনি ব্যাপারটা বুঝুন।
স্বৈরতান্ত্রিক অভ্যাস পরিত্যাগ করুন:
সঙ্গীনি আপনার কাছে নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে কিন্তু আপনার স্বৈরশাসকের মতো আচরণ পছন্দ করে না। সে আপনার সম্পত্তি নয়, সঙ্গীনি- কথাটা মাথায় রাখতে হবে আপনার। কাজেই তার ওপর কিছু চাপিয়ে দিয়ে সম্পর্কের তিক্ততা ডেকে আনবেন না।
সৎ হোন:
এই বিষয়টি সর্বশেষে আনা হলেও এটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সঙ্গীনি কখনোই চাইবে না, আপনি মিথ্যে কথা বলুন তার সাথে। হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই সে আপনার মিথ্যে বুঝতে পেরেও নীরব থাকবে, প্রত্যাশা করবে আপনার সত্য বলার। কিন্তু একবার অবিশ্বাস জমে গেলে সম্পর্কের জন্য তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। কাজেই মেয়েরা সবসময় প্রত্যাশা করেন, আপনি সত্যবাদী হোন।
রোমান্টিক হতে চেষ্টা করুন:
মেয়েরা খুব বেশি রোমান্স প্রিয় হয়। কাজেই আপনি যতই কাঠখোট্টা হবেন, তত বেশি অসন্তোষ জমবে সম্পর্কে। কিন্তু এই প্রত্যাশার ব্যাপারেও সঙ্গীনি সবসময় নীরব থাকবে। সে চাইবে, ব্যাপারটা আপনি নিজে বুঝে নিন।

ফ্যানদের হতাশ করব না, বলেছেন পুনম পান্ডে

বহু কাঠখড় পুড়িয়ে এবার বলিউডে তাঁর দ্বিতীয় সিনেমা করতে চলেছেন বিতর্কিত মডেল তথা অভিনেত্রী পুনম পান্ডে। ২০১৩-তে ‘নাশা’ মুক্তি পাওয়ার পর এতদিন তাঁর হাতে কোনও সিনেমা ছিল না। নতুন ফিল্মের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত পুনম।
তাঁর দাবি, নাশা-র পর তাঁর কাছে অনেক সিনেমার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু চিত্রনাট্য পছন্দ না হওয়ায় সেই সব সিনেমায় কাজ করেননি তিনি। কিন্তু যখন ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের প্রস্তাব পেলাম তখন মনে হল, আমার দ্বিতীয় ছবির ডন্য এটাই সঠিক।

পুনমের দাবি, নাশা ভালো মার্কেটিং না হওয়ার শিকার হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ছবির ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

খোলামেলা পোশাকে অভ্যস্ত পুনমকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই সিনেমাতে শরীরী-দৃশ্যের আধিক্য থাকবে কিনা? প্রশ্নের জবাবে পুনম বলেছেন, আমার ফ্যানদের হতাশ করব না। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, শুধু শরীর নয়। এতে অভিনয়েরও সুযোগ রয়েছে। খুব স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েই সিনেমাটি হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

প্রেম করতে গিয়ে ধরা খেলেন সালমান-জ্যাকুলিন

সিনেমার মতো পর্দার বাইরেও প্রেম করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন সালমান খান ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ! তাও আবার রাতের অন্ধকারে।
সম্প্রতি সালমান এক বন্ধুকে ফোন করে বলেন তার বাসায় আসবেন তিনি। সে সময় রাত প্রায় তিনটা বাজছিল কিন্তু বন্ধুটি দেখলেন, সালমান একা নন, সঙ্গে জ্যাকুলিনও আছেন।
তার বন্ধু আরো জানান, সালমান আর জ্যাকুলিন ‘কিক’ এর শুটিং এর সময়ই বন্ধু হয়ে ওঠে। সিনেমার প্রচার চলাকালে একে অন্যের প্রতি ভালো লাগাটা তারা খোলাখুলিভাবেই প্রকাশ করেছে। আর এ ইঙ্গিতও দিয়েছে যে তারা কেবল সহকর্মী নয়।
‘কিক’ সিনেমার প্রচার চলাকালেই সালমানের কণ্ঠে শোনা গেছে জ্যাকুলিনের প্রশংসা। এমনকি জ্যাকুলিনকে এ সময়ের জিনাত আমান বলেও অভিহিত করেন তিনি। এদিকে সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ট সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছাড়াও এক অনুষ্ঠানে তাকে প্রকাশ্যে চুমুও খেয়েছেন জ্যাকুলিন। আর তখন থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন। এমনকি রিয়েলিটি শোতে জ্যাকুলিনকে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ খান বলেও ডাকেন সালমান!
এমনও শোনা গিয়েছিল যে ২৯ বছর বয়সী এই শ্রীলঙ্কান সুন্দরীকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল‍্য্যাট উপহার দিয়েছেন ৪৮ বছর বয়সী সালমান।