মেয়েরা যেমন একটু রোগা হওয়ার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করে যান, ছেলেদের ক্ষেত্রে কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো। ছেলেরা রোগা হলে ভীষণ বাজে লাগে দেখতে, আর তারা নিজেরাও ভীষণ একটা হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন। আপনি কি খুব রোগা? লোকে তালপাতার সেপাই বলে খেপায়? মন খারাপ করার কারণ একদমই নেই। কারণ কেবল মাত্র সঠিক পোশাক পরেই নিজের এই রোগা ভাবটা একেবারেই ঢেকে ফেলতে পারবেন। কীভাবে? আসুন জেনে নেই দারুণ কিছু টিপস।
১) আপনি যদি বেশি রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে চেষ্টা করবেন ফর্মাল লুকে ইন করে শার্ট না পরতে। এতে আপনাকে আরও বেশি রোগা লাগবে। অফিসে তো শার্ট ইন করতেই হয়। সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন খুব বেশি টাইট করে ইন না করতে।
২) কখনও ফুল হাতা শার্ট পরে হাতার বোতাম লাগিয়ে রাখবেন না। বরং হাতা খানিকটা ভাঁজ করে রাখুন। এতে আপনাকে বেশ স্বাস্থ্যবান মনে হবে, হ্যাংলা লাগবে না।
৩) কখনোই হাফ হাতা শার্ট বা টি শার্ট পরবেন না। হাতগুলো রোগা হলে তো একেবারেই না। এটা হবে বিশাল ফ্যাশন মিসটেক।
৪) শার্টের নিচে সবসময় একটি গোল গলা টি শার্ট পরুন, এমনভাবে যেন গলাটা দেখা যায়। এতে আপনার ওজন অনেকটাই বেশি দেখাবে। টি শার্ট বেছে নিন সাদা বা কালো রঙের। খুব বেশি উজ্জ্বল রঙ দরকার নেই।
৫) লম্বালম্বি স্ত্রাইপ পোশাক একেবারেই পরবেন না। এতে আরও রোগা দেখাবে। পরতে চাইলে আড়াআড়ি স্ত্রাইপ পরুন।
৬) গাঢ় রঙ বাদ দিয়ে যতটা সম্ভব হালকা রঙ পরুন। এতে ওজন বেশি দেখায়।
৭) বড় বড় চেক শার্ট পরুন। এতে ওজন অনেকটাই বেশি লাগবে।
৮) তরুণরা বড় বড় প্রিন্টের বা টাই ডাই করা টি শার্ট পরতে পারেন। এতেও ওজন বেশি দেখাবে।
৯) ভুল করেও স্কিন টাইট জিন্স বা শর্ট প্যান্ট পরবেন না। একটু ঢোলা, ক্যাজুয়াল লুকের ট্রাউজারস পরুন। হাল ফ্যাশনে এগুলো খুব মানাবে। ফর্মাল প্যান্ট একেবারে না পারতে পরুন, এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
১০) ফুল হাতা শর্ট শার্ট পরুন ইন না করে। এতে মোটা দেখানোর পাশাপাশি লম্বাও দেখাবে।
১১) পাঞ্জাবী বা ফতুয়া পরতে চাইলে ভুলেও গোল গলা বা এক রঙা পাঞ্জাবী বেছে নেবেন না। শুধু বুকের ওপরে কাজ, এমন পোশাকও পরবেন না। পুরো কাপড় জুড়ে মিহি সুতার কাজ করা বা প্রিন্টের পাঞ্জাবী বেছে নিন।
১২) চোখা, সরু মাথার জুতো পরবেন না। রোগা ছেলেদের এটা মানায় না।