অবিশ্বাস্য কলম্বিয়া! অসাধারণ জেমস রদ্রিগেস। দৃষ্টিনন্দন দু’টি গোল। আর এরই মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো কলম্বিয়া। তাও যেনতেন দল নয়, উরুগুয়ের মতো শক্তিশালী দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ কলম্বিয়া ও উরুগুয়ে। উরুগুয়ে দু’বার বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী দল হলেও কলম্বিয়া চারবারের প্রচেষ্টায় সর্বোচ্চ দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার রেকর্ড ছিল ১৯৯০ সালে। তবে এদিন মিডফিল্ডার জেমস রদ্রিগেসের দৃষ্টিনন্দন নৈপুণ্যে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো তারা। শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ব্রাজিল, যারা শনিবার শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে চিলিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। লুইস সুয়ারেজবিহীন উরুগুয়ে যে ম্যাড়মেড়ে হবে তা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল। দ্বিতীয় রাউন্ডে তার প্রমাণ আবারও হাতেনাতে পাওয়া গেল। গত বিশ্বকাপ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইসহ উরুগুয়ে ২২ ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে হেরেছে মাত্র পাঁচ ম্যাচে। এই পাঁচ হারের চারটিতেই সুয়ারেজ মাঠে ছিলেন না। আর এখন কামড়-কর্মের পর ৯ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়ে দেশে ফিরে গেছেন সুয়ারেজ। এই সুযোগে দারুণ করে দেখালো কলম্বিয়া। কলম্বিয়ার এ জয়ের নায়ক জেমস রদ্রিগেজ। ম্যাচের দু’টি গোলই এসেছে তার পা থেকে। এই নিয়ে বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচে গোল করলেন তিনি। এর আগে সর্বশেষ ২০০২ বিশ্বকাপে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিল ব্রাজিলের রোনালদো ও রিভালদো। আর বিশ্বকাপ অভিষেকে টানা চার ম্যাচে গোল করার রেকর্ডটিও ছুঁয়েছেন রদ্রিগেস। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে নিজের অভিষেকে টানা চার ম্যাচে গোল করেছিলেন ইতালির ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েরি। রদ্রিগেস এই ২ গোলের মাধ্যমে এ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সোনার বুট জেতার লড়াইয়ে এগিয়ে গেলেন। ৪ ম্যাচে ৫ গোল করে সবার ওপরে আছেন তিনি। আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, ব্রাজিলের নেইমার আর জার্মানির টমাস মুলার চার গোল করে আছেন তার পরে।
এদিন ম্যাচের ২৮ মিনিটের মাথায় অসাধারণ এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন রদ্রিগেস। বক্সের বাইরে থেকে আবেল আগিলারের হেড বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের দর্শনীয় ভলিতে মোনাকো মিডফিল্ডার করেন বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোল। এ গোলটি শুধু এই বিশ্বকাপেই নয়, হয়তো ঠাঁই পাবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা গোলের তালিকায়ও। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় কলম্বিয়া-উরুগুয়ে। বিরতির চার মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে কলম্বিয়া। এবারও গোলদাতা সেই রদ্রিগেস। বাঁ প্রান্ত থেকে পাবলো আমেরোর ক্রসে হেড করে রদ্রিগেসের দিকে বল বাড়িয়ে দেন হুয়ান কুয়াদ্রাদো। গোলবারের ঠিক ছয় গজ দূর থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ডান পায়ের শটে রদ্রিগেস বল পাঠান উরুগুয়ের জালে। এদিন লুইস সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে উরুগুয়ের আক্রমণভাগ ম্যাচের বেশিরভাগ সময়েই ছিল নখদন্তহীন। সুযোগ তৈরি করেছে অনেকবার কিন্তু কাছে লাগাতে পারেনি একবারও। কলম্বিয়ার গোলমুখে এদিন তারা ১৬ বার শট নেয়। যার মধ্যে ৪টিই ছিল অন টার্গেটে। কিন্তু কাজে আসেনি একটাও। অন্যদিকে কলম্বিয়া উরুগুয়ের গোলবারে ৯টি শট নিয়ে ৪টিই অন টার্গেটে পাঠায়। আর এর মধ্যে দু’বার তারা সাফল্য পায়। উরুগুয়ে সেরা সুযোগ বলতে ৮৪ মিনিটে এডিনসন কাভানির জোরালো শট। যেটা কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভ অসপিনা ফিরিয়ে দেন দুর্দান্ত দক্ষতায়। এদিন রদ্রিগেসের দ্বিতীয় গোলের যোগান দেন কুয়াদ্রাদো। ইতিহাসে ঢুকে গেছেন তিনিও। ২০০৬ বিশ্বকাপে ইতালির ফ্রান্সিসকো টোট্টি ও আর্জেন্টিনার হুয়ান রিকুয়েলমে এক বিশ্বকাপে চার গোলের অ্যাসিস্ট করেন। আর কলম্বিয়ার কুয়াদ্রাদো এবার চার ম্যাচেই সে রেকর্ড ছুঁলেন।
এদিন ম্যাচের ২৮ মিনিটের মাথায় অসাধারণ এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন রদ্রিগেস। বক্সের বাইরে থেকে আবেল আগিলারের হেড বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের দর্শনীয় ভলিতে মোনাকো মিডফিল্ডার করেন বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোল। এ গোলটি শুধু এই বিশ্বকাপেই নয়, হয়তো ঠাঁই পাবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা গোলের তালিকায়ও। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় কলম্বিয়া-উরুগুয়ে। বিরতির চার মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে কলম্বিয়া। এবারও গোলদাতা সেই রদ্রিগেস। বাঁ প্রান্ত থেকে পাবলো আমেরোর ক্রসে হেড করে রদ্রিগেসের দিকে বল বাড়িয়ে দেন হুয়ান কুয়াদ্রাদো। গোলবারের ঠিক ছয় গজ দূর থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ডান পায়ের শটে রদ্রিগেস বল পাঠান উরুগুয়ের জালে। এদিন লুইস সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে উরুগুয়ের আক্রমণভাগ ম্যাচের বেশিরভাগ সময়েই ছিল নখদন্তহীন। সুযোগ তৈরি করেছে অনেকবার কিন্তু কাছে লাগাতে পারেনি একবারও। কলম্বিয়ার গোলমুখে এদিন তারা ১৬ বার শট নেয়। যার মধ্যে ৪টিই ছিল অন টার্গেটে। কিন্তু কাজে আসেনি একটাও। অন্যদিকে কলম্বিয়া উরুগুয়ের গোলবারে ৯টি শট নিয়ে ৪টিই অন টার্গেটে পাঠায়। আর এর মধ্যে দু’বার তারা সাফল্য পায়। উরুগুয়ে সেরা সুযোগ বলতে ৮৪ মিনিটে এডিনসন কাভানির জোরালো শট। যেটা কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভ অসপিনা ফিরিয়ে দেন দুর্দান্ত দক্ষতায়। এদিন রদ্রিগেসের দ্বিতীয় গোলের যোগান দেন কুয়াদ্রাদো। ইতিহাসে ঢুকে গেছেন তিনিও। ২০০৬ বিশ্বকাপে ইতালির ফ্রান্সিসকো টোট্টি ও আর্জেন্টিনার হুয়ান রিকুয়েলমে এক বিশ্বকাপে চার গোলের অ্যাসিস্ট করেন। আর কলম্বিয়ার কুয়াদ্রাদো এবার চার ম্যাচেই সে রেকর্ড ছুঁলেন।