অতিরিক্ত সময়ের পেনাল্টি গোলে স্বপ্নচূর্ণ হয়ে গেল মেঙিকোর। আরিয়েন রোবেনকে থামাতে গিয়ে পেনাল্টির ফাঁদে পড়ে উত্তর আমেরিকার দেশটি। খেলায় তখন ১-১ এ সমতা। সবার অপেক্ষা অতিরিক্ত সময়ের। পানি পান ও খেলোয়াড় বদলে নষ্ট হওয়া সময় মেটাতে খেলার পরিধি আরও ছয় মিনিট বাড়িয়ে দেন রেফারি। তারই দ্বিতীয় মিনিটে অপ্রতিরোধ্য আরিয়েন ঢুকে পড়েন মেঙিকান শিবিরে। দু’জন ডিফেন্ডার তাকে ফেরানোর চেষ্টা করেও পারছিলেন না। কর্নার লাইনে গিয়েও রোবেন যখন ফের বল নিয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করছিলেন ঠিক তখন তার সামনে পা বাড়িয়ে দেন রাফায়েল মার্কেস। আর তাতে পড়ে যান রোবেন। বঙের মধ্যে রোবেনকে ফেলে দেয়ার কারণে পেনাল্টির নির্দেশ দেন পর্তুগালের রেফারি পেদ্রো প্রোয়েনসা। হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন রাফায়েল মার্কেসকে। এরপর রেফারির সঙ্গে তর্ক করায় মেঙিকান গোলরক্ষককেও হলুদ কার্ড দেখান তিনি। তবে রোবেনের পড়ে যাওয়ার ধরণে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। ৭৬ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামা ক্লাস-ইয়ান হুন্টলার ঠা-া মাথায় গোল করে উল্লাসে মাতান কমলা শিবিরে। রবিন ফন পার্সির পরিবর্তে মাঠে নামা হুন্টলার সাত বার বলে ছোঁয়া দেন যার ফলে একটি গোল পান এবং একটি গোলে সহায়তা দেন। নাটকীয় এই জয়ে গতবারের রানার্স আপ নেদারল্যান্ডস উঠে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। এ নিয়ে টানা ছয়বার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভাঙলো তাদের। এর আগে মেঙিকো ১৯৯৪ বিশ্বকাপে বুলগেরিয়ার কাছে, ১৯৯৮ সালে জার্মানির কাছে, ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে, ২০০৬ ও ২০১০ সালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে দ্বিতীয রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়। সর্বশেষ ১৯৮৬-তে নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে।
এর আগে ৪৮ মিনিটে দস সান্তসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মেঙিকো। পরে ৮৭ মিনিটের সময় ওয়েসলি স্নেইডারের গোলে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে হল্যান্ড। তার আগ পর্যন্ত ডাচদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল মেঙিকো। কিন্তু হঠাৎ এলোমেলো হয়ে গেল সব। প্রায় ৬০ হাজার দর্শক দারুণ উপভোগ করেন খেলার প্রতিটি মুহুর্ত।
ফোর্তালেজায় এস্তাদিও কাস্তেলাওতে কোন দলই গোল করতে পারেনি বিরতি পর্যন্ত। প্রথমার্ধে মেঙিকোই বেশি আক্রমণ করেছে। গরমে ডাচ খেলোয়াড়রা হাঁপিয়ে উঠলেও মেঙিকানরা তুলনামূলক ভাল ছিল। ৪২ মিনিটের সময় নেদারল্যান্ডসকে একটি নিশ্চিত গোলের হাত রেখে রক্ষা করেন গোলরক্ষক কিলেসেন। অন্তত ছয়বার তারা গোলে শট নেয় আর একবার নেয় ডাচরা। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে সান্তসকে বসিয়ে ভিয়ারিয়ালে তার সতীর্থ হাভিয়ার আকুইনোকে নামান মেঙিকান কোচ হেরেরা। ফরোয়ার্ডকে উঠিয়ে মিডফিল্ডার নামান রক্ষণাত্মক হয়ে যাওয়ার জন্য। তবে প্রথমার্ধে নেদারল্যান্ডসও রক্ষণাত্মক খেলে। মেঙিকান আক্রমণ ঠেকাতে তাদের সাতজনকে দেখা যায় নিচে নেমে খেলতে। রোবেন-রবিন দুজনকেই বেশ নিসপ্রভ মনে হয়। দূরপাল্লার কিছু শট নিলেও তা গোলরক্ষককে বিব্রত করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের মাথায় উত্তর আমেরিকার এ দলকে এগিয়ে দেন ১০ নম্বর জার্সিধারী জিওভানি দস সান্তস। জটলার মধ্য থেকে আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো বল বাড়িয়ে দেন সান্তসকে। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শটে তিনি পরাস্ত করেন ডাচ গোলরক্ষককে। এটি সান্তসের ২ বছরে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। গোল খাওয়ার পর থেকেই মরিয়া খেলতে থাকে নেদারল্যান্ডস। ডিফেন্স ভেদ করলেও গোলরক্ষক ওচোয়া যেন প্রাচীর তুলে দাঁড়ান। ৭৪ মিনিটের সময় গিলার্মো ওচোয়া ফের মেঙিকোকে রোবেনের হাত থেকে রক্ষা করেন। একেবারে ছোট বঙের ভেতর থেকে এমন অবস্থায় শতকরা নিরানব্বই বার গোল করার নজির রয়েছে রোবেনের। ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্ত ওচোয়া রোবেনের শট ফিরিয়ে দেন কর্নারের বিনিময়ে।
৭৬ মিনিটের সময় হাঁপাতে থাকা রবিন ফন পার্সিকে উঠিয়ে নেয়া হয়। এরপরই রেফারি পানি পানের বিরতি দেন ফের। খেলা যখন শেষের দিকে তখন গোল পরিশোধ করে হল্যান্ডকে খেলায় ফেরান ১০ নম্বর জার্সী ধারী ওয়েসলি স্নেইডার। এটি ছিল বিশ্বকাপে স্নেইডারের ১৫তম খেলা আর পার্সির ১৪তম।
পানি পানের বিরতি: ক্রিকেটে পানি পানের বিরতি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু ফুটবলে এটা ব্যাতিক্রমই। গতকাল ৪০ ডিগ্রি সেলসিযাস তাপমাত্রায় ভর দুপুরে খেলোয়াড়দের জন্য ‘কুলিং ব্রেক’-এর বিকল্প ছিল না। খেলার ৩২ মিনিটের সময় প্রচ- গরমের কারণে খেলা থামিয়ে পানি খাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় খেলোয়াড়দের। কোচদের এ সময় মাঠের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও পানি পানের বিরতি দেয়া হয়। তখন অবশ্য কোচদের দেখা যায় খেলোয়াড়দের পাশে।
বিস্ময়কর পরিবর্তন: খেলার মাত্র নবম মিনিটেই নেদারল্যান্ডস কোচ লউস ফন গাল খেলোয়াড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। নাইজেল ডি জংকে উঠিয়ে মাঠে নামানো হয় ব্রুনো মার্টিনো ইন্ডিকে। নাইজেল আঘাত পেয়েছেন বলেও মনে হয়নি। এজন্য বের হওয়ার সময় তার মুখে বিরক্তির ছাপ দেখা গেছে। দর্শকদের মধ্যে বিষয়টি বিস্ময়ের সৃস্টি করে।
এর আগে ৪৮ মিনিটে দস সান্তসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মেঙিকো। পরে ৮৭ মিনিটের সময় ওয়েসলি স্নেইডারের গোলে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে হল্যান্ড। তার আগ পর্যন্ত ডাচদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল মেঙিকো। কিন্তু হঠাৎ এলোমেলো হয়ে গেল সব। প্রায় ৬০ হাজার দর্শক দারুণ উপভোগ করেন খেলার প্রতিটি মুহুর্ত।
ফোর্তালেজায় এস্তাদিও কাস্তেলাওতে কোন দলই গোল করতে পারেনি বিরতি পর্যন্ত। প্রথমার্ধে মেঙিকোই বেশি আক্রমণ করেছে। গরমে ডাচ খেলোয়াড়রা হাঁপিয়ে উঠলেও মেঙিকানরা তুলনামূলক ভাল ছিল। ৪২ মিনিটের সময় নেদারল্যান্ডসকে একটি নিশ্চিত গোলের হাত রেখে রক্ষা করেন গোলরক্ষক কিলেসেন। অন্তত ছয়বার তারা গোলে শট নেয় আর একবার নেয় ডাচরা। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে সান্তসকে বসিয়ে ভিয়ারিয়ালে তার সতীর্থ হাভিয়ার আকুইনোকে নামান মেঙিকান কোচ হেরেরা। ফরোয়ার্ডকে উঠিয়ে মিডফিল্ডার নামান রক্ষণাত্মক হয়ে যাওয়ার জন্য। তবে প্রথমার্ধে নেদারল্যান্ডসও রক্ষণাত্মক খেলে। মেঙিকান আক্রমণ ঠেকাতে তাদের সাতজনকে দেখা যায় নিচে নেমে খেলতে। রোবেন-রবিন দুজনকেই বেশ নিসপ্রভ মনে হয়। দূরপাল্লার কিছু শট নিলেও তা গোলরক্ষককে বিব্রত করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের মাথায় উত্তর আমেরিকার এ দলকে এগিয়ে দেন ১০ নম্বর জার্সিধারী জিওভানি দস সান্তস। জটলার মধ্য থেকে আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো বল বাড়িয়ে দেন সান্তসকে। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শটে তিনি পরাস্ত করেন ডাচ গোলরক্ষককে। এটি সান্তসের ২ বছরে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। গোল খাওয়ার পর থেকেই মরিয়া খেলতে থাকে নেদারল্যান্ডস। ডিফেন্স ভেদ করলেও গোলরক্ষক ওচোয়া যেন প্রাচীর তুলে দাঁড়ান। ৭৪ মিনিটের সময় গিলার্মো ওচোয়া ফের মেঙিকোকে রোবেনের হাত থেকে রক্ষা করেন। একেবারে ছোট বঙের ভেতর থেকে এমন অবস্থায় শতকরা নিরানব্বই বার গোল করার নজির রয়েছে রোবেনের। ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্ত ওচোয়া রোবেনের শট ফিরিয়ে দেন কর্নারের বিনিময়ে।
৭৬ মিনিটের সময় হাঁপাতে থাকা রবিন ফন পার্সিকে উঠিয়ে নেয়া হয়। এরপরই রেফারি পানি পানের বিরতি দেন ফের। খেলা যখন শেষের দিকে তখন গোল পরিশোধ করে হল্যান্ডকে খেলায় ফেরান ১০ নম্বর জার্সী ধারী ওয়েসলি স্নেইডার। এটি ছিল বিশ্বকাপে স্নেইডারের ১৫তম খেলা আর পার্সির ১৪তম।
পানি পানের বিরতি: ক্রিকেটে পানি পানের বিরতি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু ফুটবলে এটা ব্যাতিক্রমই। গতকাল ৪০ ডিগ্রি সেলসিযাস তাপমাত্রায় ভর দুপুরে খেলোয়াড়দের জন্য ‘কুলিং ব্রেক’-এর বিকল্প ছিল না। খেলার ৩২ মিনিটের সময় প্রচ- গরমের কারণে খেলা থামিয়ে পানি খাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় খেলোয়াড়দের। কোচদের এ সময় মাঠের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও পানি পানের বিরতি দেয়া হয়। তখন অবশ্য কোচদের দেখা যায় খেলোয়াড়দের পাশে।
বিস্ময়কর পরিবর্তন: খেলার মাত্র নবম মিনিটেই নেদারল্যান্ডস কোচ লউস ফন গাল খেলোয়াড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। নাইজেল ডি জংকে উঠিয়ে মাঠে নামানো হয় ব্রুনো মার্টিনো ইন্ডিকে। নাইজেল আঘাত পেয়েছেন বলেও মনে হয়নি। এজন্য বের হওয়ার সময় তার মুখে বিরক্তির ছাপ দেখা গেছে। দর্শকদের মধ্যে বিষয়টি বিস্ময়ের সৃস্টি করে।