দেশের মুক্তি আজ অবরুদ্ধ বলে মন্তব্য করে এ থেকে মুক্তি চেয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ। তিনি বলেছেন, আমাদের মুক্তি অবরুদ্ধ। সেই অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি চাই। তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, গডফাদার, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, হত্যা, খুন, গুম, দুঃশাসন, সংঘাতের রাজনীতি থেকে মুক্তি চাই।বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এরশাদ বলেন, তিনি (শেখ মুজিব) স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, কিন্তু মুক্তি দিতে পারেন নাই। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো মুক্তি দিতে পারতেন। কিন্তু এই দায়িত্ব নিতে হবে তার সন্তানকে।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সতর্ক করে দিয়ে এরশাদ বলেন, অফিসে দুটি ছবি থাকে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর। বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকলেও তার নাম হৃদয়ে থাকবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকলে আপনার নাম স্মরণ করব কি না, ভেবে দেখতে হবে।
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা উল্লেখ করে জাপা নেতা বলেন, চন্দন সরকারের মেয়ে সুস্মিতা সরকারের কথা আমরা শুনতে পারি না। অনেক সুস্মিতা তার বাবার অপেক্ষায় রয়েছে। এই অবস্থা বাংলাদেশে ছিল না, বাংলাদেশ এখন মৃত্যুপুরী।
সাম্প্রতিক অপহরণ, গুম, খুনের ঘটনার অসন্তোষ প্রকাশ করে এরশাদ বলেন, আমরা গডফাদার চাই না। গডফাদার নিপাত চাই। আমরা মাফিয়া চাই না। এ থেকে পরিত্রাণে সরকারকে সহযোগিতা করার ঘোষণা দেন এরশাদ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, মাননীয় অর্থমন্ত্রী, রাত ১১টার পর কমলাপুর স্টেশনে যাবেন। দেখবেন, কত মানুষ শুয়ে আছে। সকালে রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাবেন। সেখানে মানুষ ডালা হাতে কাজের আশায় বসে আছে। বাজেট কী হলো, তারা তা বোঝে না। তারা কাজ চায়। শান্তি চায়।
বর্তমান সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, একজন মন্ত্রী ২০ একর জমি নিয়ে শুরু করেছিল, এখন তিন হাজার একর জমির মালিক হয়েছে। এটাকে দুর্নীতি বলব কি না?
পুঁজিবাজারে কারসাজি এবং ব্যাংকের অর্থ লোপাটে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ট্রলার কিনেছে। বিদেশে বাড়ি করেছে। অনেকে মালয়েশিয়ায় বাড়ি কিনেছে। এটা কি খুঁজে বের করতে পারি না?”