বলিউডের প্রভাবশালী কাপুর পরিবারের দুই সদস্য রণবীর কাপুর ও কারিনা কাপুর খান। সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন তাঁরা। অভিনয় জগতে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি পণ্যের দূতিয়ালিতেও দারুণ সাফল্য দেখিয়েছেন ‘বরফি’ তারকা রণবীর ও ‘হিরোইন’ তারকা কারিনা। কাজের প্রচণ্ড ব্যস্ততায় তাঁদের দেখা-সাক্ষাতের ফুরসত মেলে না বললেই চলে। ফোনেও খুব বেশি কথা হয় না।
তবে কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গভীর রাতে ভুল করে কারিনার ফোনে মিসড কল দেন রণবীর। পরদিন ফোনে কথা হয় তাঁদের। রণবীর মজা করে বলেন, রাত দুইটায় কারিনার বাড়িতে হানা দেবেন তিনি। আঁতকে উঠে কারিনা এত রাতে তাঁর বাসায় যেতে বারণ করেন রণবীরকে।
এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, ‘রণবীর ও আমার দেখা-সাক্ষাত্ হয় না বললেই চলে। আসলে সাইফ ও আমি কারও সঙ্গেই খুব একটা মিশি না। তবে জন্মদিন বা দিওয়ালির মতো উপলক্ষ ও উত্সবে সব সময় আমরা একত্র হই। কিছুদিন আগে হঠাত্ করে রাত দুইটায় আমার ফোন বেজে ওঠে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ছবির শুটিংয়ে গিয়েছিল রণবীর। সম্ভবত ভুল করে সেখান থেকে আমার ফোনে মিসড কল দিয়েছিল সে। পরদিন আমি তাঁকে ফোন করে জিজ্ঞেস করি, এত রাতে ফোন দিয়েছিলে কেন? কী হয়েছে? জবাবে রণবীর বলে, “আমি তোমাকে ফোন দিইনি তো।” মনে মনে ভাবলাম, যাক এই বাহানায় আমাদের দুজনের মধ্যে কথা তো হলো!’
কারিনা আরও বলেন, ‘ফোনে সামান্য সময় কথা হলেও আমরা অনেক মজা করেছি। গভীর রাতে বন্ধুদের বাড়িতে যাওয়ার বাতিক আছে রণবীরের। সে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলল, রাত দুইটায় আমার বাড়িতে হানা দেবে। জবাবে আমি বললাম, অবশ্যই তুমি আমার বাসায় আসবে। কিন্তু দয়া করে রাত দুইটায় এসো না। কারণ এত রাতে আমার বাসার কেউ জেগে থাকে না। সাধারণত রাত ১২টার মধ্যেই আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।’
এদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত এক তালিকায় পণ্যের দূতিয়ালিতে সফল বলিউড তারকাদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন রণবীর ও কারিনা। রণবীরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন কি না, জানতে চাইলে কারিনা বলেন, ‘আমরা দুজন একই জগতের বাসিন্দা হলেও আমরা ভিন্ন প্রজন্মের। কাজেই রণবীরের সঙ্গে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রশ্নই ওঠে না। তালিকায় আমাদের দুজনের নাম প্রথমদিকে থাকায় আমি খুবই খুশি। কারণ আমরা দুজনই কাপুর পরিবারের সদস্য। আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে অনেক বেশি গর্বিত।’
রণবীরের প্রশংসা করে কারিনা আরও বলেন, ‘খুব অল্প সময়ে রণবীর যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। চলচ্চিত্র কিংবা পণ্যের দূতিয়ালিতে তার এই সাফল্যে আমরা অনেক খুশি। আমাদের পরিবারের সবাই তাকে নিয়ে গর্বিত।’