দুধের শিশু দুধ খায় না৷ কারণ দুধ খেলে নাকি তার পেট, মন কিছুই ভরে না৷ সকালে উঠেই তার কান্না এক বোতল বিয়ারের জন্য৷ দুপুরে খাওয়ার পর আবার চাই একটু ওয়াইন৷ একবোতল বিয়ার সে নাকি অনায়াসেই খেয়ে ফেলে৷ নেশা করেও তার পা একটুও টলমল করে না৷ দিব্যি ছুটে বেড়ায় গোটা বাড়ি৷ দুই বছরের এই শিশু চিনে ‘ওয়াইন বিবার' নামেই খ্যাত৷ আসল নাম চিং চিং৷ মাত্র দশমাস বয়সেই নাকি প্রথম চেখে দেখেছিল ওয়াইন৷ তারপর থেকেই সে দুধ ছেড়ে প্রেমে পড়ে যায় ‘অ্যালকোহল'-এর৷ বাড়িতে খাবার টেবিলের উপর রাখা ছিল সেই ওয়াইনের বোতল৷ মার কাছে সেই বোতল হাতে নেওয়ার বায়না ধরে চিং চিং৷ তখন সে ওয়াইন খেয়েছিল নিজের অজান্তেই৷ কিন্তু এখন সে খায় জেনে বুঝেই৷ তার মা-বাবা বলেন, ‘‘ছেলে এতো জেদি যে বারণ করলেও কথা শোনেনা৷ ওয়াইন বা বিয়ার কিছু একটা না দিলে সে কোনও খাবারই খেতে চায় না৷'' ছেলের ভয়ে বিয়ার, ওয়াইনের বোতল প্রায় বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়৷ তবুও রক্ষে নেই৷ মনবীদদের মতে, বাড়ির বড়দের দেখেই শিশুদের মনে নেশা করার আগ্রহ যাগে৷ তাদের কাছ থেকে যতবেশি লুকিয়ে রাখা হবে তত বেশি করে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে৷ এই সমস্যার সমাধান হিসাবে তাঁরা জানিয়েছেন, ওয়াইনের বোতলের মধ্যেই চিং চিংয়ের খাবার ঢেলে রাখা উচিত৷ তাহলে যদি কিছুটা সমস্যার সমাধান হয়৷ চিং চিং কে নিয়ে শিশুচিকিত্সকের কাছেও গিয়েছেন তার বাবা-মা৷ তার শারীরিক বিভিন্ন্ পরীক্ষাও করা হয়েছে৷ কিন্তু কোনও রকম সমস্যাও ধরা পরেনি৷ এখন সারাদিন বিয়ার-ওয়াইনেই ডুবে থাকে চিং চিং৷ সকালে উঠে ঘুম ঘুম চোখে এখন সে নিজেই হাতে নেয় বিয়ারের বোতল৷ পরোয়া করে না কারও৷