পরকীয়া প্রেমীরা সাবধান! আপনাদের গোপন অভিসারের প্রতিটি কথা ধরা থাকছে প্রযুক্তির সিন্দুকে। অজান্তেই যার নাগাল পেয়ে যেতে পারেন আপনাদের 'বেটার হাফ'-রা। আর তার জেরেই আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় বাজিমাত্ করতে পারেন তাঁদের আইনজীবীরা।
ল্যান্ডলাইনে কথা বলার দিন আজ প্রায় ইতিহাস। মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের মাধ্যমেই চলে যাবতীয় যোগাযোগ। কিন্তু সেই সূত্রের জেরেই ইদানীং বিপাকে পড়ছেন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া প্রেমিক-প্রেমিকারা। ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তার প্রতিটি মুহূর্ত ধরা থাকছে হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, জি টক এবং মোবাইল ফোনের মেসেজে। অকাট্য প্রমাণের সেই পথ তাড়া করেই বহু যত্নে লুকিয়ে রাখা পরকীয়ার হদিশ পেয়ে যাচ্ছেন তাঁদের স্বামী বা স্ত্রী।
ল্যান্ডলাইন ফোনের আমলে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় দ্বিচারিতার প্রমাণ জোগাড় করতে হিমশিম খেতেন আইনজীবীরা। সম্প্রতি সাক্ষ্য হিসেবে চ্যাট হিস্ট্রি আদালতে স্বীকৃতি পাওয়ায় সুবিধে হয়েছে। কিছু দিন আগে এমনই প্রযুক্তিগত প্রমাণের সাহায্যে আদালতে স্বামীর পরকীয়া প্রেম প্রমাণ করতে পেরেছেন বেঙ্গালুরুর এক গৃহবধূ। অন্য এক মহিলার প্রেমে পাগল তাঁর স্বামী খেয়ালই করেননি হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর সমস্ত ফস্টিনষ্টির প্রমাণ থেকে গিয়েছে। প্রেমে গদগদ সেই সব মেসেজ আদালতে পেশ করে মামলা জিতে যান ওই গৃহবধূ।
বেঙ্গালুরুর এক ফ্যামিলি কোর্টের আইনজীবী গীতা মেনন জানিয়েছেন, 'আজকাল বহু মক্কেলই হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য চ্যাট সাইটের বিস্তারিত মেসেজ তালিকা সঙ্গে নিয়ে আসেন। মোবাইল ফোন থেকে কোনও নম্বরে ফোন করে তা পরে ডিলিট করে দিলেও পার পাওয়ার উপায় নেই। সার্ভিস প্রোভাইডারকে ফোন করে নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরের কল লিস্ট আাদায় করা এখন সহজ।'
পরিসংখ্যান বলছে, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার ৪০ শতাংশের পিছনেই রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় সহকর্মীর সঙ্গে গড়ে উঠছে ঘনিষ্ঠতা, আবার গৃহবধূরা অনেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের সঙ্গে। কখনও আবার নানা কাজে হামেশা মেলামেশা করতে হয় এমন কোনও পরিবারের বাইরের মানুষও তাঁদের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। আইনজীবী উজ্জ্বলা মান্ডগির মতে, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রজন্ম ফোনে বেশি কথা বলার চেয়ে মোবাইল টেক্সটিং বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো চ্যাট সাইটের মাধ্যমে মেসেজ চালাচালি করতেই পছন্দ করেন। সেই সমস্ত রেকর্ড হাতেনাতে পাওয়ার পর দ্বিচারিতা প্রমাণ করা খুবই সহজ।
পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে অতএব এ সব ব্যাপারে সজাগ হওয়া খুবই দরকার। অন্যথায় অপেক্ষা করুন আরও কয়েকটা বছর, যখন অবৈধ প্রেমের মেসেজ লুকোনোর পাল্টা কোনও প্রযুক্তি খুঁজে পাবে টেক দুনিয়া। সূত্র : এই সময়
ল্যান্ডলাইনে কথা বলার দিন আজ প্রায় ইতিহাস। মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের মাধ্যমেই চলে যাবতীয় যোগাযোগ। কিন্তু সেই সূত্রের জেরেই ইদানীং বিপাকে পড়ছেন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া প্রেমিক-প্রেমিকারা। ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তার প্রতিটি মুহূর্ত ধরা থাকছে হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, জি টক এবং মোবাইল ফোনের মেসেজে। অকাট্য প্রমাণের সেই পথ তাড়া করেই বহু যত্নে লুকিয়ে রাখা পরকীয়ার হদিশ পেয়ে যাচ্ছেন তাঁদের স্বামী বা স্ত্রী।
ল্যান্ডলাইন ফোনের আমলে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় দ্বিচারিতার প্রমাণ জোগাড় করতে হিমশিম খেতেন আইনজীবীরা। সম্প্রতি সাক্ষ্য হিসেবে চ্যাট হিস্ট্রি আদালতে স্বীকৃতি পাওয়ায় সুবিধে হয়েছে। কিছু দিন আগে এমনই প্রযুক্তিগত প্রমাণের সাহায্যে আদালতে স্বামীর পরকীয়া প্রেম প্রমাণ করতে পেরেছেন বেঙ্গালুরুর এক গৃহবধূ। অন্য এক মহিলার প্রেমে পাগল তাঁর স্বামী খেয়ালই করেননি হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর সমস্ত ফস্টিনষ্টির প্রমাণ থেকে গিয়েছে। প্রেমে গদগদ সেই সব মেসেজ আদালতে পেশ করে মামলা জিতে যান ওই গৃহবধূ।
বেঙ্গালুরুর এক ফ্যামিলি কোর্টের আইনজীবী গীতা মেনন জানিয়েছেন, 'আজকাল বহু মক্কেলই হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য চ্যাট সাইটের বিস্তারিত মেসেজ তালিকা সঙ্গে নিয়ে আসেন। মোবাইল ফোন থেকে কোনও নম্বরে ফোন করে তা পরে ডিলিট করে দিলেও পার পাওয়ার উপায় নেই। সার্ভিস প্রোভাইডারকে ফোন করে নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরের কল লিস্ট আাদায় করা এখন সহজ।'
পরিসংখ্যান বলছে, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার ৪০ শতাংশের পিছনেই রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় সহকর্মীর সঙ্গে গড়ে উঠছে ঘনিষ্ঠতা, আবার গৃহবধূরা অনেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের সঙ্গে। কখনও আবার নানা কাজে হামেশা মেলামেশা করতে হয় এমন কোনও পরিবারের বাইরের মানুষও তাঁদের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। আইনজীবী উজ্জ্বলা মান্ডগির মতে, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রজন্ম ফোনে বেশি কথা বলার চেয়ে মোবাইল টেক্সটিং বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো চ্যাট সাইটের মাধ্যমে মেসেজ চালাচালি করতেই পছন্দ করেন। সেই সমস্ত রেকর্ড হাতেনাতে পাওয়ার পর দ্বিচারিতা প্রমাণ করা খুবই সহজ।
পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে অতএব এ সব ব্যাপারে সজাগ হওয়া খুবই দরকার। অন্যথায় অপেক্ষা করুন আরও কয়েকটা বছর, যখন অবৈধ প্রেমের মেসেজ লুকোনোর পাল্টা কোনও প্রযুক্তি খুঁজে পাবে টেক দুনিয়া। সূত্র : এই সময়