ভারত নিয়ন্ত্রিত সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশকে নিজেদের ভূখন্ড দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে চীন সরকার।
বেইজিং এমন সময় এই মানচিত্র প্রকাশ করলো যখন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি চীন সফরে রয়েছেন।
অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ১৯৬২ সালে চীনের সাথে এক সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে ভারতের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল।
অরুণাচল নিয়ে ভারতের সঙ্গে চীনের এই টানাপড়েন অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগেও বারবার অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের দেশেরই অংশ হিসেবে দেখিয়েছে বেইজিং। ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ স্টেপলড ভিসার ব্যবস্থা করে চীন।
এবার নরেন্দ মোদির শাসনকালের শুরুতেও সামনে চলে এল অরুণাচল নিয়ে চীনের কড়া মনোভাব।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অরুণাচলের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরির জন্য এবার এমন একটা সময় বেছে নেওয়া হল যা তাৎপর্যপূর্ণ।
দিল্লিতে সরকার বদলের পর এই প্রথম ভারতীয় দূত হিসেবে বেইজিংয়ে গিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। পঞ্চশীল নীতির ষাট বছর উপলক্ষে তার এই পাঁচ দিনের চীন সফর।
ইতিহাস বলছে, যখনই দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা টেবিলে মুখোমুখি বসেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা অরুণাচলের মতো বিষয়গুলিকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার বার্তা দিয়েছে চীন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনাদের প্রবেশ বা স্টেপলড ভিসার মতো ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছে বেইজিং।
তবে চীনের নয়া মানচিত্র নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে,মানচিত্রে যাই আঁকা হোক না কেন, অরুণাচল ভারতের অংশ এবং তাই থাকবে।
অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে এই হইচইয়ের মধ্যেই জানা গিয়েছে, গত তিন মাসে অন্তত দু’বার নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল চীনা ছত্রীসেনার হেলিকপ্টার।
প্রথম ঘটনা ৩০ এপ্রিলের। আর দ্বিতীয়টি এ মাসেরই তেরো তারিখে। আকাশসীমা ভেঙে পূর্ব লাদাখে হামেশাই ঢুকে পড়ে চীনা সেনার কপ্টার।