এই গল্পে চরিত্র দুটি। একজন মিলিয়ন ডলারের ফুটবল তারকা। বিশ্বব্যাপী তাঁর সুনাম। খ্যাতি-অর্থ-বিত্তে তাঁর অবস্থান অন্য জগতে। অপরজন একজন সাধারণ তরুণী। ঘরের মলিন দেয়ালে প্রিয় তারকার সস্তা কিছু ছবি আর বুকভরা ভালোবাসা ছাড়া তার আর কিছুই নেই। কিন্তু সেই তরুণীর স্বপ্ন আকাশছোঁয়াই। যেকোনো মূল্যেই একবার স্বপ্নের তারকাকে ভালোবাসার কথা বলবে সে।
গল্পটা বাস্তবেরই। ব্রাজিলীয় তরুণী রায়ালেন আনদ্রাদের স্বপ্নের তারকা নেইমার। কিন্তু তার ইচ্ছেটা ‘সিনেমাটিক।’ ১৭ বছর বয়সী এই তরুণীর স্বপ্ন, যে করেই হোক একটিবার সে চুমু খাবে তার ওই স্বপ্নের তারকাকে।
নেইমারের যেকোনো ছবি, পোস্টার, স্টিকার—সবই আছে তার সংগ্রহে। নেইমার ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে যে খবরই ছাপা হোক না কেন, তার কাছে সেটা খুঁজে পাওয়া যাবে। নেইমারকে নিয়ে তার উন্মাদনা হার মানায় উপন্যাসের গল্পগাথাকেও। নিজের মুখেই বলেছে তার জীবনে নেইমারের অবস্থান, ‘আমার প্রথমে ঈশ্বর, তারপর পরিবার আর তার পরেই নেইমার। এ ছাড়া আর কিছুই নেই আমার জীবনে।’
নেইমার এখন পুরো ব্রাজিলের স্বপ্ন-সারথি। রায়ালেনেরও তা-ই। পিঠে নেইমারের নাম লেখা জার্সি পরেই এই মুহূর্তে দিন-রাত কাটিয়ে দিচ্ছে এই তরুণী। খুব সাধ ছিল ব্রাজিল-ক্যামেরুন ম্যাচটা দেখার। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও টিকিট পাওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু, তাতে কি আর থেমে থাকে নেইমারের দেখা পাওয়ার সাধ! চিলির বিপক্ষে ম্যাচের আগে ব্রাজিলের অনুশীলনে ঠিকই হাজির হলো সে—হাত নাড়িয়ে ডাকল ভালোবাসার স্বপ্নপুরুষকে।
যে নেইমারকে নিয়ে তার এত উন্মাদনা, এত মাতামাতি, সেই নেইমার কি কোনো দিন জানবেন তার কথা? সপ্তদশী তরুণীর বিশ্বাস, নেইমার নিশ্চয়ই জানেন তার কথা। সে শুধু একবার নেইমারকে বলতে চায় তার ভালোবাসার কথা! বিপদে-আপদে সব সময় পাশে থাকতে চায় নেইমারের।
নেইমারকে কবে থেকে ভালোবাসে রায়ালেন? সেই গল্প তার মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ১২ বছর বয়সে আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাঁটাচলার সামর্থ্যও আমি প্রায় হারিয়ে ফেলেছিলাম। অসুখটা আমাকে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছিল। ঘর থেকে বের হতে পারতাম না। বিছানায় শুয়ে-বসেই কাটিয়ে দিতে হতো দিনগুলো। সে সময় সারা দিনই ইন্টারনেটে সময় কাটতো। ওই সময় আমি আসক্ত হয়ে পড়ি নেইমারের প্রতি।’
রায়ালেনের ওই বন্ধুবিহীন সময়ের একমাত্র সঙ্গী ছিলেন নেইমার। আক্ষরিক অর্থে এখনো তাঁর সঙ্গী নেইমার। একাকিত্বের ঘেরাটোপে বন্দী এই তরুণীর জীবনের সবকিছুই নেইমারকে কেন্দ্র করে। তাঁর সাফল্যেই তার আনন্দ। তাঁর ব্যর্থতা রক্তক্ষরণ ঘটায় তার হূদয়ে। নেইমারের হাসিতে সে খুঁজে পায় তার জীবনের অর্থ।
নাটক-সিনেমার গল্প তো জীবন থেকেই নেওয়া। রায়ালেনের এই ভালোবাসার গল্প ভবিষ্যতে কোনো নাটকীয় মোড় নেয় কি না, সেটা কে-ই বা বলতে পারে।
গল্পটা বাস্তবেরই। ব্রাজিলীয় তরুণী রায়ালেন আনদ্রাদের স্বপ্নের তারকা নেইমার। কিন্তু তার ইচ্ছেটা ‘সিনেমাটিক।’ ১৭ বছর বয়সী এই তরুণীর স্বপ্ন, যে করেই হোক একটিবার সে চুমু খাবে তার ওই স্বপ্নের তারকাকে।
নেইমারের যেকোনো ছবি, পোস্টার, স্টিকার—সবই আছে তার সংগ্রহে। নেইমার ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে যে খবরই ছাপা হোক না কেন, তার কাছে সেটা খুঁজে পাওয়া যাবে। নেইমারকে নিয়ে তার উন্মাদনা হার মানায় উপন্যাসের গল্পগাথাকেও। নিজের মুখেই বলেছে তার জীবনে নেইমারের অবস্থান, ‘আমার প্রথমে ঈশ্বর, তারপর পরিবার আর তার পরেই নেইমার। এ ছাড়া আর কিছুই নেই আমার জীবনে।’
নেইমার এখন পুরো ব্রাজিলের স্বপ্ন-সারথি। রায়ালেনেরও তা-ই। পিঠে নেইমারের নাম লেখা জার্সি পরেই এই মুহূর্তে দিন-রাত কাটিয়ে দিচ্ছে এই তরুণী। খুব সাধ ছিল ব্রাজিল-ক্যামেরুন ম্যাচটা দেখার। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও টিকিট পাওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু, তাতে কি আর থেমে থাকে নেইমারের দেখা পাওয়ার সাধ! চিলির বিপক্ষে ম্যাচের আগে ব্রাজিলের অনুশীলনে ঠিকই হাজির হলো সে—হাত নাড়িয়ে ডাকল ভালোবাসার স্বপ্নপুরুষকে।
যে নেইমারকে নিয়ে তার এত উন্মাদনা, এত মাতামাতি, সেই নেইমার কি কোনো দিন জানবেন তার কথা? সপ্তদশী তরুণীর বিশ্বাস, নেইমার নিশ্চয়ই জানেন তার কথা। সে শুধু একবার নেইমারকে বলতে চায় তার ভালোবাসার কথা! বিপদে-আপদে সব সময় পাশে থাকতে চায় নেইমারের।
নেইমারকে কবে থেকে ভালোবাসে রায়ালেন? সেই গল্প তার মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ১২ বছর বয়সে আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাঁটাচলার সামর্থ্যও আমি প্রায় হারিয়ে ফেলেছিলাম। অসুখটা আমাকে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছিল। ঘর থেকে বের হতে পারতাম না। বিছানায় শুয়ে-বসেই কাটিয়ে দিতে হতো দিনগুলো। সে সময় সারা দিনই ইন্টারনেটে সময় কাটতো। ওই সময় আমি আসক্ত হয়ে পড়ি নেইমারের প্রতি।’
রায়ালেনের ওই বন্ধুবিহীন সময়ের একমাত্র সঙ্গী ছিলেন নেইমার। আক্ষরিক অর্থে এখনো তাঁর সঙ্গী নেইমার। একাকিত্বের ঘেরাটোপে বন্দী এই তরুণীর জীবনের সবকিছুই নেইমারকে কেন্দ্র করে। তাঁর সাফল্যেই তার আনন্দ। তাঁর ব্যর্থতা রক্তক্ষরণ ঘটায় তার হূদয়ে। নেইমারের হাসিতে সে খুঁজে পায় তার জীবনের অর্থ।
নাটক-সিনেমার গল্প তো জীবন থেকেই নেওয়া। রায়ালেনের এই ভালোবাসার গল্প ভবিষ্যতে কোনো নাটকীয় মোড় নেয় কি না, সেটা কে-ই বা বলতে পারে।