আপনার শরীরের ভেতর নানা ধরনের রোগ লুকিয়ে থাকতে পারে। যতক্ষণ সেটা চরম আকার ধারণ না করছে ততক্ষণ সেগুলোকে চিহ্নিত করাটা বেশ কঠিন।তবে এ রোগগুলো দেহে ধীরে ধীরে এগুলো বেড়ে উঠতে থাকে আপনাকে তেমন কিছু বুঝতে না দিয়েই। কিন্তু আপনি যদি খানিকটা মাথা খাটিয়ে আপনার শরীরের কিছু পরিবর্তন খেয়াল করতে পারেন, তাহলে সহজেই বোঝা সম্ভব। আর প্রতিরোধ করা সম্ভব এখনই!
জেনে নিন কিভাবে সনাক্ত করবেন দেহের ভেতরে লুকিয়ে থাকা অসুখগুলো।
১। চুল পড়ছে? থাইরয়েডের সমস্যা নয় তো?
দেহে যখন হরমোন তৈরীর গ্ল্যান্ড থাইরয়েড ঠিকমতন কাজ করতে পারে না তখন দেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেগুলো সরাসরি হরমোনের স্বাভাবিক নিঃসরনের সাথে যুক্ত। এই প্রথম লক্ষণ ধরা পড়তে পারে আপনার চুলে। হঠাৎ করেই যদি বাড়াবাড়ি রকম চুপ পড়তে শুরু করে, বা প্রচন্ড রুক্ষ হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই থাইরডের চেক আপ করে নিন।
২। কানে কম শোনা হতে পারে ডায়াবেটিসের লক্ষণঃ
আজকাল আপনি যদি কানে খানিকটা কম কম শোনেন তবে অবশ্যই হেসে উড়িয়ে দেবেন না বা হালকা করে নেবেন না। কেননা এটি হতে পারে ডায়াবেটিসের গোপন লক্ষণ। রক্তে যখন সুগারের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখনই ডায়াবেটিস দেখা দেয়। আর সেই সাথে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যাবার কারণে তা আপনার কানের রক্তের ধমনীকেও আক্রান্ত করতে পারে। ফলে আপনি কানে কম শুনতে পারেন
৩। হার্টের সমস্যা বুঝতে আয়না দেখুনঃ
অদ্ভুত শোনালেও কিন্তু মিথ্যে একেবারেই নয়। আয়নাই বলে দিতে পারে আপনি হার্টের সমস্যায় ভুগছেন কিনা! আয়নার নিজের চেহারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুন। যদি নিজেকে নিজের বয়সের তুলনার বেশী বয়স্ক মনে হয়, যেমন; ত্বকে অতিরিক্ত বলিরেখা, মাথায় টাক পড়া বা চুল কমে যেতে থাকা, চুল পেকে যাওয়া, চোখের নিচে চর্বি জমা বা কালি পড়ে যাওয়া, এরকম হলে অনেকটাই নিশ্চিত যে, আপনার দেহে হার্টের সমস্যা বাসা বেঁধেছে। নিশ্চিত হতে ডাক্তারের কাছে চেক আপ করান।
৪। চোখে ঝাপসা দেখা হতে পারে মস্তিষ্কের সমস্যার লক্ষণঃ
আপনার চোখ কেবল মনেরই নয় আপনার মস্তিষ্ক সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে। আপনার চোখের শিরা বলে দিতে পারে আপনার মস্তিষ্কে কী ঘটছে। অত গভীরতায় যাবার দরকার নেই আপনার। কিন্তু চোখে যদি কখনো ঝাপসা দেখতে শুরু করেন, অবহেলা করবেন না। মস্তিষ্কের বড়সড় সমস্যার প্রথম লক্ষণ হতে পারে এটি।
৫। নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে মেরুদন্ডের সমস্যাঃ
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হলে কেবল সেটাকে দাঁত বা পেটের সমস্যা ভেবে বসবেন না। কেননা মাড়ির সাথে মেরুদন্ডের সম্পর্ক আছে।