মনে আছে করণ জোহরের চ্যাট শো-এর সেই পর্বের কথা? যেখানে অতিথি ছিলেন আনুশকা শর্মা? স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল আনুশকার ঠোঁট যুগল আর আগের মতো নেই। কিন্ত্ত প্রাণপনে অস্বীকার করেন নায়িকা। জানান তিনি কোনও লিপ সার্জারি করাননি। এও বলেন মিডিয়া ইচ্ছে করে এসব গুজব রটাচ্ছে।
বলিউডে এই প্রথম নয়। দীর্ঘ লিস্ট দেওয়া যায় নামের ৷ কিন্ত্ত কখনোই তাঁরা স্বীকার করেননি সে কথা। তাতে কী? আমরা তো জানি ৷ আর একবার ঝালিয়ে নিই নামগুলো এবং অবশ্যই ঘটনাগুলো।
কোয়েনা মিত্র : সত্যবাদী
একমাত্র অভিনেত্রী যিনি সর্বসমক্ষে স্বীকার করেছিলেন প্লাস্টিক সার্জারির কথা ৷ ২০০৯ সালে কোয়েনার মুখের অনেক বৈশিষ্ট্য বদলে যায়। পরে জানা যায় তিনি রাইনোপ্লাস্টি আর ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট করিয়েছেন। কিন্ত্ত সেটা বিভৎস খারাপ হওয়ায় চেহারা ভালোর হওয়ার পরিবর্তে পুরো বদলে যায়। কোয়েনা কিন্ত্ত একটিবারের জন্যও লুকাননি সে কথা। সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। তিনি বলেন, 'যখন কসমেটিক সার্জারির ফল খারাপ হয়, সবাই বলেন আমিই প্রথম যে এই নিয়ে মুখ খুলি।'
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া : 'অশ্বত্থামা হত ইতি গজ'
সবাই জানেন প্রিয়াঙ্কা নাকের প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। ছবিতেও তা স্পষ্ট। কিন্তু অদ্যবধি স্বীকার করেননি তিনি। অবশ্য অস্বীকারও করেননি। যখনই তাঁকে এ সব নিয়ে সাংবাদিকরা প্রাশ্ন করেছেন, তিনি খানিকটা 'অশ্বত্থামা হত ইতি গজ' ধরনের একটা উক্তি করে পাশ কাটিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁর সেরা জ্ঞানী উক্তি বোধহয় এটাই- 'কসমেটিক সার্জারি তখনই ফ্লপ করে যখন কোনো অসুখ থাকে। আপনি যা আছেন তার জন্য নিজেকে ভালো না বাসলেই প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। চিকিৎসকের ছুরি-কাঁচি আপনাকে ঈশ্বরের থেকে বেশি সুন্দর করতে পারবে না। তাই আপনার তেমন তেমনভাবেই বিষয়টা মেনে নেওয়া উচিত্,' উক্তি প্রিয়াঙ্কার।
বিপাশা বসু : গোদের ওপর বিষফোঁড়া- কে চায়?
'জিসম' (২০০৩) মুক্তি পাওয়ার পর বিপাশার ফিগার দেখে বোঝা যায় যে তিনি ব্রেস্ট এনহ্যান্সমেন্ট করিয়েছেন। কিন্ত্ত সেই তাঁরও মুখে কুলুপ! কারণ বোধহয় ওই একটাই- একে বলিউডে ক্যারিয়ার উঁচুনিচু হয়ে সহজেই, তার ওপর রোজই নতুন, নতুন নায়িকার আমদানি হচ্ছে বাজারে। এমনকি 'হামসকলস'- যাতে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে সিনিয়র নায়িকা, সেখানেও বাকি দুই জুনিয়র, তামান্না কিংবা এষা গুপ্তাকে যতটা পাত্তা দেওয়া হয়েছে সেটে, তা তিনি পাননি বলেই অভিযোগ তাঁর ঘনিষ্ঠদের। গোদের ওপর বিষফোঁড়া, জন অব্রাহামের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির ফলে বলিউডি ফিল্মে বিপাশা খানিক একঘরেও ৷ তার মধ্যে প্লাস্টিক সার্জারি-ফার্জারির কথা স্বীকার! তার চেয়ে তো এটাই বলা ভালো- 'আমি প্লাস্টিক সার্জারিতে বিশ্বাসই করি না।'
শিল্পা শেঠি :
শিল্পা শেঠির ১৯৯০ সালের ছবি দেখুন, সেই 'বাজিগর' (১৯৯৪), বা 'ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি'র সময়টার আর কী। আবার দেখুন 'ধড়কন' (২০০০) আর 'দোস্তানা' (২০০৮) সালের ছবি ৷ আরে বুঝতেই অনেকক্ষণ সময় চলে যাবে যে দুজনেই একই মানুষ। শোনা যায় তিনি 'ধড়কন'-এর সময়ই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন। অবশ্যই নায়িকা এ কথা মানেননি কখনোই।
সুস্মিতা সেন :
১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স হওয়ার পরই সুস্মিতা সেন ব্রেস্ট এনহ্যান্সমেন্ট করিয়ে সিলিকন ইমপ্লান্ট করান। সেই সময় এক কাগজে রিপোর্ট বেরোয় তিনিই নাকি প্রথম নায়িকা যিনি সার্জারি করিয়েছেন। কিন্তু সুস্মিতা অস্বীকার করেন সে কথা। তিনি বলেন, 'আমি কখনো কোনো সার্জারি করাইনি। পুরোটাই ঈশ্বরপ্রদত্ত। এই সব রিপোর্ট হাস্যকর।'
কঙ্গনা রানাওয়াত :
২০০৯ সালে কঙ্গনা ইতালিতে যান। ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে ফেরার পরেই শোনা যায় তিনি নাকি লিপ সার্জারি আর সিলিকন ইমপ্লান্ট করিয়েছেন। ২০১১ সালে 'রাসকল' ছবিতে তাঁকে বিকিনি পরা দেখে এই গুজবে আরো আগুন পড়ে। কঙ্গনার মুখপাত্র জানান এই খবর মিথ্যা তিনি বলেন, 'কঙ্গনার চিংড়ি-জাতীয় মাছে অ্যালার্জি আছে। এই দু'মাস তিনি ক্রমাগত শুটিং করছেন। আপনাদের মনে হয় এই সব সার্জারির জন্য তাঁর সময় আছে?'
যে যাই বলুক না কেন, আমরা তো জানি যা রটে তার কিছু তো বটেই।
বলিউডে এই প্রথম নয়। দীর্ঘ লিস্ট দেওয়া যায় নামের ৷ কিন্ত্ত কখনোই তাঁরা স্বীকার করেননি সে কথা। তাতে কী? আমরা তো জানি ৷ আর একবার ঝালিয়ে নিই নামগুলো এবং অবশ্যই ঘটনাগুলো।
কোয়েনা মিত্র : সত্যবাদী
একমাত্র অভিনেত্রী যিনি সর্বসমক্ষে স্বীকার করেছিলেন প্লাস্টিক সার্জারির কথা ৷ ২০০৯ সালে কোয়েনার মুখের অনেক বৈশিষ্ট্য বদলে যায়। পরে জানা যায় তিনি রাইনোপ্লাস্টি আর ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট করিয়েছেন। কিন্ত্ত সেটা বিভৎস খারাপ হওয়ায় চেহারা ভালোর হওয়ার পরিবর্তে পুরো বদলে যায়। কোয়েনা কিন্ত্ত একটিবারের জন্যও লুকাননি সে কথা। সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। তিনি বলেন, 'যখন কসমেটিক সার্জারির ফল খারাপ হয়, সবাই বলেন আমিই প্রথম যে এই নিয়ে মুখ খুলি।'
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া : 'অশ্বত্থামা হত ইতি গজ'
সবাই জানেন প্রিয়াঙ্কা নাকের প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। ছবিতেও তা স্পষ্ট। কিন্তু অদ্যবধি স্বীকার করেননি তিনি। অবশ্য অস্বীকারও করেননি। যখনই তাঁকে এ সব নিয়ে সাংবাদিকরা প্রাশ্ন করেছেন, তিনি খানিকটা 'অশ্বত্থামা হত ইতি গজ' ধরনের একটা উক্তি করে পাশ কাটিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁর সেরা জ্ঞানী উক্তি বোধহয় এটাই- 'কসমেটিক সার্জারি তখনই ফ্লপ করে যখন কোনো অসুখ থাকে। আপনি যা আছেন তার জন্য নিজেকে ভালো না বাসলেই প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। চিকিৎসকের ছুরি-কাঁচি আপনাকে ঈশ্বরের থেকে বেশি সুন্দর করতে পারবে না। তাই আপনার তেমন তেমনভাবেই বিষয়টা মেনে নেওয়া উচিত্,' উক্তি প্রিয়াঙ্কার।
বিপাশা বসু : গোদের ওপর বিষফোঁড়া- কে চায়?
'জিসম' (২০০৩) মুক্তি পাওয়ার পর বিপাশার ফিগার দেখে বোঝা যায় যে তিনি ব্রেস্ট এনহ্যান্সমেন্ট করিয়েছেন। কিন্ত্ত সেই তাঁরও মুখে কুলুপ! কারণ বোধহয় ওই একটাই- একে বলিউডে ক্যারিয়ার উঁচুনিচু হয়ে সহজেই, তার ওপর রোজই নতুন, নতুন নায়িকার আমদানি হচ্ছে বাজারে। এমনকি 'হামসকলস'- যাতে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে সিনিয়র নায়িকা, সেখানেও বাকি দুই জুনিয়র, তামান্না কিংবা এষা গুপ্তাকে যতটা পাত্তা দেওয়া হয়েছে সেটে, তা তিনি পাননি বলেই অভিযোগ তাঁর ঘনিষ্ঠদের। গোদের ওপর বিষফোঁড়া, জন অব্রাহামের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির ফলে বলিউডি ফিল্মে বিপাশা খানিক একঘরেও ৷ তার মধ্যে প্লাস্টিক সার্জারি-ফার্জারির কথা স্বীকার! তার চেয়ে তো এটাই বলা ভালো- 'আমি প্লাস্টিক সার্জারিতে বিশ্বাসই করি না।'
শিল্পা শেঠি :
শিল্পা শেঠির ১৯৯০ সালের ছবি দেখুন, সেই 'বাজিগর' (১৯৯৪), বা 'ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি'র সময়টার আর কী। আবার দেখুন 'ধড়কন' (২০০০) আর 'দোস্তানা' (২০০৮) সালের ছবি ৷ আরে বুঝতেই অনেকক্ষণ সময় চলে যাবে যে দুজনেই একই মানুষ। শোনা যায় তিনি 'ধড়কন'-এর সময়ই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন। অবশ্যই নায়িকা এ কথা মানেননি কখনোই।
সুস্মিতা সেন :
১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স হওয়ার পরই সুস্মিতা সেন ব্রেস্ট এনহ্যান্সমেন্ট করিয়ে সিলিকন ইমপ্লান্ট করান। সেই সময় এক কাগজে রিপোর্ট বেরোয় তিনিই নাকি প্রথম নায়িকা যিনি সার্জারি করিয়েছেন। কিন্তু সুস্মিতা অস্বীকার করেন সে কথা। তিনি বলেন, 'আমি কখনো কোনো সার্জারি করাইনি। পুরোটাই ঈশ্বরপ্রদত্ত। এই সব রিপোর্ট হাস্যকর।'
কঙ্গনা রানাওয়াত :
২০০৯ সালে কঙ্গনা ইতালিতে যান। ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে ফেরার পরেই শোনা যায় তিনি নাকি লিপ সার্জারি আর সিলিকন ইমপ্লান্ট করিয়েছেন। ২০১১ সালে 'রাসকল' ছবিতে তাঁকে বিকিনি পরা দেখে এই গুজবে আরো আগুন পড়ে। কঙ্গনার মুখপাত্র জানান এই খবর মিথ্যা তিনি বলেন, 'কঙ্গনার চিংড়ি-জাতীয় মাছে অ্যালার্জি আছে। এই দু'মাস তিনি ক্রমাগত শুটিং করছেন। আপনাদের মনে হয় এই সব সার্জারির জন্য তাঁর সময় আছে?'
যে যাই বলুক না কেন, আমরা তো জানি যা রটে তার কিছু তো বটেই।