এ পর্যায়ে রোগীকে ছয়-সাত দিন পূর্ণবিশ্রামে থাকতে হবে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে যেন রোগী পুনরায় আঘাত না পায় এবং অবশ্যই পূর্ণবিশ্রামে থাকে। সকাল-বিকাল বরফ ব্যবহার করতে হবে ১৫-২০ মিনিট করে। ভেজা গামছার ভেতর বরফ নিয়ে আক্রান্ত অংশে মুড়িয়ে দিন। যদি বেশি ঠাণ্ডা লাগে তিন মিনিট পর উঠিয়ে ফেলুন এবং শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে আবার একটানা ১২-১৪ মিনিট পেঁচিয়ে রাখুন। যাতে আর ফুলতে না পারে। আক্রান্ত অংশ বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে উঁচু করে রাখুন যাতে হৃৎপিণ্ড বরাবর থাকে। এ অবস্থায় হালকা ব্যায়াম, হালকা ম্যাসেজ, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। দ্বিতীয় ধাপ- এই ধাপকে রিপেয়ারিং স্টেজ বলে। এটির সময় সাত থেকে ২১ দিন। এ সময় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা- ডিপ ফ্রিকশন টেকনিক, বিভিন্ন স্টেচিং এক্সারসাইজ থেরাপি, মাংসপেশি কন্ট্রাকশন এক্সারসাইজ এবং ব্যথা কমানোর জন্য ইলেকট্রো থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। তৃতীয় ধাপ- এই ধাপকে রিমডেলিং ধাপ বলে। এ অবস্থায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর আক্রান্ত অংশকে স্টেচিংসহ স্টেন্থদেনিং এক্সারসাইজ করেন এবং ডিপফ্লিকশন টেকনিক ব্যবহার করেন। মনে রাখতে হবে যে চিকিৎসাই করান না কেন বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে করতে হবে।