ভাইয়ের কাছে নতুন দেশ দেখার বায়না করেছিল ছোট্ট বোন। কিন্তু তার ভাইটি যে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে তাকে বেচে দিয়ে আসবে তা সে খুনাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। বাস্তবে তাই হয়েছে।
১৬ বছরের কিয়াবকে চীনে বেড়াতে নিয়ে যায় ভাই। এরপর । সেখানকার এক চীনা লোকের কাছে বোনটিকে বেচে দিয়ে একা বাড়ি ফিরে গেল। এক মাস ওই চীন পরিবারের কাছে থাকার পর পালিয়ে যায় কিশোরী কিয়াব। পরে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ভিয়েতনামে ফিরে যায় সে।ভিয়েতনামের সীমান্তবর্তী লাও চাও শহরের এক আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই জোটে তার। সে বলে ,‘আমার দৃষ্টিতে সে কোনো মানুষ নয়, জানোয়ার। নইলে নিজের বোনকে কেউ বেঁচে দেয়!’
বিষেশজ্ঞরা বলছেন এক সন্তান নীতির কারণে চীনে পুরুষের তুলনায় নারীদের সংখ্যা কমে গেছে। এজন্য দেশটিতে প্রতিবেশি দেশগুলো যেমন, ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়া, লাওস, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের নারীদের চাহিদা রয়েছে। এখন তারা সেখানকার মেয়েদের কিনে এনে বিয়ে করছে।
লাও একা নয়। বিভিন্ন দেশের আরো বেশ কয়েকজন মেয়ে ওই উদ্বাস্তু শিবিরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদেরকে তাদের ভাই, প্রেমিক বা কোনো নিকট আত্মীয় বিক্রি করেছে। কিয়াব বলেন,‘আমি আগে নারী পাচার সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছিলাম। কিন্তু নিজের জীবনে এমনটি ঘটবে কখনোই তা কল্পনা করতে পারিনি।’