বিশ্বকাপে যে ১৬টি দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে তার অনেক দলেই আছে মুসলিম খেলোয়াড়। শেষ ষোলোর খেলা শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। আর রবিবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে। ফলে উভয় সংকটে পড়েছে ওই দলে খেলা মুসলিম ফুটবলাররা।
তবে বিশ্বকাপ আর রোজার মধ্য রোজাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মুসলিম ফুটবলাররা। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা দলগুলোর মধ্য আলজেরিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। তারা সোমবার মুখোমুখি হবে জামানির। এই জামান দলেও আছেন দু’জন মুসলিম খেলোয়াড় মেসুত ওজিল ও সামি খেদিরা। এছাড়া নাইজেরিয়া ও ফ্রান্স দলেও মুসলিম খেলোয়াড় আছেন বেশ কজন।
ধরম পালন করতে গিয়ে তা মাঠের খেলায় কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা সেটা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। আলজেরিয়ার জামেল মেজবাহ বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে। কারণ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্। গুরুত্বের দিক বিবেচনায় নিয়েই আমরা আলোচনা করবো, কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’
আলজেরিয়ার অধিনায়ক মাজিদ বাগুরিয়া বলেন, ‘আমরা যারা ইউরোপিয়ান লিগে খেলি, তাদের এই সমস্যার মুখোমুখি প্রতিবারই হতে হয়। তবে আমার বিশ্বাস রোজা রেখেই আমরা ভালো পারফর্ করতে পারবো।’
ফরাসি তারকা বাকারি স্যাগনা বলেন, ‘একজন মুসলমান হিসেবে আমি জানি, রোজা না রাখার সুযোগ খুব একটা নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি এটা পালন করি আর না করি দলের অন্যদের এই ব্যাপারে স্বাধীনতা আছে। আশা করি অনেকেই সেটা পালন করবে।’
তবে বিশ্বকাপের বিভিন্ন দলে খেলা বেশিরভাগ মুসলিম খেলোয়াড়ই জানিয়েছে, বিশ্বকাপের চেয়ে তাদের কাছে রোজার গুরুত্ব অনেক বেশি। ফুটবলাররা খেলার দিনগুলোর রোজা পরে রাখতে পারবে কিনা সে বিষয়ে ভালোভাবে জানতে আলেমদের সমন্বয়ে একটি বোর্ গঠন করেছে আলজেরিয়া সরকার।