মেসি-রোনালদো-নেইমার। এসময়ের তিন তারকা ফুটবলার। এবারের বিশ্বকাপ আলোকিত করার কথাও ছিল এই তিনজনের। পর্তুগিজ তারকা রোনালদো অবশ্য খুব বেশি জ্বলে উঠতে পারেননি। কিন্তু মেসি আর নেইমার ঠিকই আলো ছড়াচ্ছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। লড়ছেন সমানে সমানে। গ্রুপ পর্বের শেষপর্যায়ে বার্সেলোনার এই দুই ফরোয়ার্ডই আছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে।
বার্সেলোনায় মেসিই হয়তো নেইমারের আদর্শ-অনুপ্রেরণা। ইউরোপের অন্যতম বড় ক্লাবে খেলার খুঁটিনাটি, কৌশল হয়তো মেসিকে দেখেই শিখছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে মেসিকেই যেন পথ দেখাচ্ছেন নেইমার। খোদ ম্যারাডোনাও বলেছেন যে, নেইমার যেমন ব্রাজিলের কাণ্ডারি হয়ে উঠেছেন, ঠিক তেমন ভূমিকাই পালন করতে হবে মেসিকে।
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক করছেনও ঠিক তেমনটাই। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে মেসি জাদুতে ভর করে। আর গতকাল নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মেসি হয়ে উঠেছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৩-২ গোলের জয়ে মেসিই করেছেন দুইটি গোল। ৬৩ মিনিটের মাথায় মাঠ ছেড়ে না গেলে হয়তো হ্যাটট্রিকটাও করে ফেলতে পারতেন এসময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। জোড়া গোল করে বার্সা সতীর্থ নেইমারের সঙ্গে লড়াইটাও জমিয়ে তুলেছেন মেসি।
৩ ম্যাচে ৪ গোল নিয়ে এখন যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে আছেন মেসি-নেইমার। তবে একদিক দিয়ে নেইমারকে পেছনেই ফেলে দিয়েছেন মেসি। নেইমারের চারটি গোল এসেছে দুইটি ম্যাচ থেকে। এক ম্যাচে কোনো গোল পাননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। অন্যদিকে মেসি গোল করেছেন তিনটি ম্যাচেই।
মেসি-নেইমারকে ছুঁয়ে ফেলার একটি সুযোগ আজ আছে টমাস মুলারের সামনে। আজ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গোল করলেই গ্রুপ পর্ব শেষে মেসি-নেইমারদের পাশে জায়গা করে নিতে পারবেন এই জার্মান স্ট্রাইকার। পর্তুগালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করার পর ঘানার বিপক্ষে আর কোনো গোল পাননি মুলার।
তিন ম্যাচ শেষে তিনটি করে গোল আছে ডাচ আক্রমণভাগের দুই প্রধান সেনানি আরিয়েন রোবেন ও রবিন ফন পার্সির। ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমাও তিন গোল নিয়ে বেশ ভালোমতোই টিকে আছেন গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়ে।