কুরগাওয়ের রাণীশংকৈল-কাঠালডাঙ্গী সড়কে কেউটান গ্রামে জলচর পাখি পানকৌড়ির অভয়ারন্য গড়ে উঠেছে। রাণীশংকৈলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া কুলিক নদীর কোল ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশালাকৃতির শিমুলগাছ। নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে গাছটি বেছে নিয়ে সারা বছর এখানে ঝাঁক বেধে থাকে তারা।
সারাদিন আহার সংগ্রহ করে লোকসমাগম প্রধান সড়কের পার্শ্বে দাঁড়িয়ে থাকা শিমুল গাছটির দিকে তাকালে মন ভরে যায়। এখানে লোক সমাগম থাকলেও পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছে স্থানটি।
শিমুল গাছ মালিক যাদব রায় বলেন, ছয় সাত বছর আগে বিকেল বেলা পাঁচ-ছয়টি পানকৌড়ি পাখি এসে শিমুল গাছটির ডালে বসে। পরের দিন আরো কয়েকটি পাখি আসে। এভাবে কয়েকদিন পরেই পাখি এসে গাছ ভরে যায়। পাখির আশ্রয় নেয়া দেখে গ্রামের মানুষ এলাকার শান্তির প্রতিক ভেবে পাখিগুলোকে আগলে রাখে। কোন পাখি শিকারীকে পাখি শিকার করতে দেয়া হয়না এখানে।
প্রতি বছর পাখির সমাগম বাড়তে থাকে। সারারাত থাকার পর সকাল হলেই পাখিগুলো খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে। খাবার সংগ্রহ শেষে আবার ফিরে গাছটিতে। সারা বছর এখানে এদের বিচরণ দেখা যায়। পাখির কলকাকলিতে এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বেশী পরিমান পাখি এখানে অবস্থান করে বলে এলাকাবাসি জানায়।
শিমুল গাছটিতে পাতা না থাকলেও পাখির বিচরণ দেখে মন ভরে যায়। পাখির মলে গাছের চেহারা পাল্টে গেছে। মনে হয় রং মিস্ত্রি দিয়ে এটির রং পাল্টানো হয়েছে।
রাণীশংকৈল কেউটান শিমুল গাছের পানকৌড়ি পাখি সংরক্ষণে এলাকাবাসি সচেতন রয়েছে। পাখি শিকারীরা সবাই জানে এখানে পাখি শিকার করতে গেলে আক্কেলসেলামী নিয়ে ফিরে আসতে হবে বলে শিমুল গাছটির কাছাকাছি চা দোকানে বসে থাকা বৃদ্ধ রইস উদ্দীন বলেন।