মাছের সঙ্গে মাছের রাজ্যে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে আপনি রাত্রিযাপন করছেন- এটা কি ভাবা যায়! কিন্তু মানুষ পৃথিবীতে যেন জন্মেছে সব অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্যই। বিজ্ঞানী, গবেষকরা দিনের পর দিন এর প্রমাণ রেখে চলেছেন।
১. ভারত মহাসাগরে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। পেমবা দ্বীপে মানটা নামের একটি রিসোর্ট রয়েছে। তানজানিয়ার সমুদ্রসীমা ঘেঁষে সাগরে ভাসছে এই রিসোর্ট। তিন স্তর বিশিষ্ট এই রিসোর্ট তৈরি হয়েছে শক্ত কাঠ, স্বচ্ছ গ্লাস প্রভৃতি দিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে নীল সুড়ঙ্গ। সেখান থেকে প্রবালপ্রাচীর দেখা যায়।
২. পানির নিচের কক্ষটি সমুদ্রের প্রায় ১২ মিটার গভীরে। জোয়ারের সময় এটি ২৫০ মিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম। পুরো রিসোর্টটি ৫০ মিটার প্রস্থ। বেডরুমটি সম্পূর্ণ পানির নিচে সুরক্ষিতভাবে নির্মিত।
৩. পানির উপরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে একটি লাউঞ্জ এবং বাথরুমসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা। একটি সিঁড়ি রয়েছে এর ছাদে চড়ার জন্য। ছাদের উপর আবার আলাদা জায়গা রয়েছে অলস সময় কাটানো, সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখা প্রভৃতি কাজে।
৪. পানির নিচের রুমটিতে রয়েছে দুটি বেড। স্বচ্ছ গ্লাসের মধ্য দিয়ে আপনি সবসময় দেখতে পারবেন রংবেরঙের মাছ। কোনটা মনে হবে আপনার সঙ্গে যেন এসেছে মিতালি করতে। ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকে আপনি এর ভিতরে বসে পানির নিচের মাছের হৃদস্পন্দন থামানোর মতো বিচরণ উপভোগ করতে পারবেন।
৫. আর কিছুক্ষণ পর পর নানা প্রজাতির মাছের আনাগোনা দেবে বাড়তি আনন্দ। রুমের সঙ্গে রয়েছে স্পট লাইট। রাতের সমুদ্রে শার্কসহ নানা হিংস্র মাছের যুদ্ধও দেখতে পারবেন এ স্পট লাইট দিয়ে।