'হেলেন অফ ট্রয়' খ্যাত লেখক হোমার অলিভ অয়েলকে 'তরল সোনা' বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন বলেছিলেন, স্বর্গের সবচে' মূল্যবান উপহার অলিভ অয়েল। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য হিসাবে এর কদর আছে। স্বাস্থ্য পরিচর্যা, ঘর-গৃহস্থালির জিনিসপত্র পরিষ্কার করার কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে অলিভ অয়েল। অনেক গুণের অধিকারী এই অলিভ অয়েল সৌন্দর্যচর্চার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
আসুন জেনে নেয়া যাক অলিভ অয়েলের ব্যবহার কীভাবে আপনাকে আরও সুন্দর করে তুলবে:
গোসলে: গোসলের আগে সারা শরীরে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে ঘণ্টাখানেক পর গোসল করুন বা এক বালতি পানিতে ৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল সেরে নিন। ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ।
নখের যত্নে: যারা লম্বা নখ রাখতে পছন্দ করেন তাদের প্রায় সকলেরই একটি কমন সমস্যা হলো নখ ভেঙে যাওয়া। অলিভ অয়েল হালকা গরম করে তাতে কয়েক মিনিট নখগুলো ডুবিয়ে রাখুন। এতে নখের ভঙ্গুরতা রোধ হবে আর নখ হয়ে উঠবে উজ্জ্বলতর।
পা ফাটায়: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে মোজা পরে নিন।
ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করতে: সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ঠোঁটের কোমলভাব রক্ষা করতে নিয়মিত অলিভ অয়েল লাগান।
ব্রণ প্রতিরোধক: ৪ টেবিল চামচ লবণের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই পেস্ট ২ মিনিট ধরে মুখে ম্যাসাজ করুন। এভাবে এক সপ্তাহ করে দেখুন। ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন।
হেয়ার কন্ডিশনার: শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ভালোভাবে দুই হাতে ঘষে ফেলুন। তারপর চুলে কন্ডিশনারের বদলে লাগিয়ে ফেলুন।
খুশকি থেকে মুক্তি: সমপরিমাণ অলিভ অয়েল আর বাদামের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ করলে খুশকি অনেকটা কমে আসবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। কয়েকদিনের মধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
চোখের যত্নে: নিয়মিত চোখের পাপড়ি ও ভ্রুতে অলিভ অয়েল লাগান। দেখুন আপনার চোখের সৌন্দর্য কতোখানি বেড়ে গেছে।