মাঝে মধ্যেই আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। অনেকেই আছেন যাদের জন্য ঠাণ্ডা সর্দি কাশির সমস্যা বছরের প্রতিটি সময়ের সমস্যা। এছাড়াও মাঝে মাঝেই মুখের মাড়ির সমস্যা, ছোটোখাটো নানা সমস্যা, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এই সকল সমস্যায় অনেকে ডাক্তারের কাছে দৌড়ান এবং অনেক ধরনের ঔষধ খেয়ে থাকেন। ঔষধের সাথে সাথেই ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও মুখ বুজে সহ্য করে নেন। কিন্তু এইসকল ছোটোখাটো সমস্যায় ঔষধ না ব্যবহার করে অনায়াসেই ঘরোয়া আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় দূর করা সম্ভব। জানতে চান কীভাবে? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক। সর্দি কাশির সমস্যা সর্দি কাশির সমস্যা এই বর্ষার সময় অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া সম্ভব। দুধ গরম করে হলুদ গুঁড়ো কিংবা হলুদ বাটার সাথে ফুটিয়ে পান করে পারেন। এছাড়াও হলুদের চা খেলেও উপশম হয়। ২ কাপ পানি ফুটিয়ে এতে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর এতে প্রয়োজনমতো মধু ও লেবুর রস দিয়ে হলুদের চা তৈরি করে ফেলুন। হাঁপানির সমস্যা ছোট এলাচ খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের দানা বের করে নিন, এতে খেজুর পিষে দিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন খেলে হাঁপানির কষ্ট কমে যাবে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা সামান্য গোলমরিচ নিয়ে মিহি করে বেটে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ মধু মেশান। এই মিশ্রণটি শ্বাসকষ্ট হলে খান। এতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এবং কষ্ট অনেকাংশে কমে যাবে। ডায়বেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে ডায়বেটিসের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সমস্যায় পরতে হয়। কিন্তু এর রয়েছে খুব সহজ একটি সমাধান। ঢ্যাঁড়স কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে পানিটুকু খেয়ে ফেলুন খালি পেটে। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মুখে ও জিভে ঘায়ের সমস্যা অনেকেই মুখের ভেতর এবং জিহ্বায় ঘায়ের সমস্যায় ভুগে কষ্ট পেয়ে থাকেন। এই সমস্যা দূর করতে লাগবে কর্পূর। কর্পূর পানিতে গুলে নিয়ে সেই পানি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচা করুন। এতে ঘা ভালো হয়ে যাবে। স্মৃতিশক্তি কমে আসলে অনেক সময় অনেকেই লক্ষ্য করেন অনেক সাধারণ কিছু মনে করতে না পারা। এটি স্মৃতিশক্তি দুর্বলতার লক্ষন। এই সমস্যা দূর করতে ২/৩ চা-চামচ থানকুনি পাতার রস, আধাকাপ দুধ ও সামান্য মধু একসাথে মিশিয়ে ভরা পেটে প্রতিদিন পান করুন। স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা কমে যাবে।