মঙ্গলবার, জুন ২৪, ২০১৪

সরকারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের বেলুন ফুটো হয়ে যাবে; হান্নান শাহ

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামক সংগঠনের উদ্যোগে ‘আতঙ্কের জনপদ: বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরকালে হরতাল হতে পারে- এই আশঙ্কা থেকে ‘প্রতিবেশী দেশের পরামর্শে’ যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় স্থগিত করা হয়েছে। ওই রায়ের প্রতিবাদে যদি হরতাল হয়, তাহলে সরকারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বের সেই বেলুন ফুটো হয়ে যাবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর রায় হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। পরে তার অসুস্থতার কারণে রায় স্থগিত করা হয়।
এদিকে বুধবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
হান্নান শাহ বলেন, “শুনেছিলাম আজকে একটা রায় আছে। সেজন্য সকাল থেকে রণসাজে সজ্জিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কর্তৃত্ব দেখাচ্ছে। পরে শুনলাম রায় হচ্ছে না। আমার এক হিতাকাঙ্ক্ষী বন্ধু বলেছেন, নয়া দিল্লি থেকে খবর এসেছে আজ রায় দেয়া যাবে না। কারণ কাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসবেন।”
“তাহলে কী বুঝলেন? বাংলাদেশের সব কিছু এখন বাইরের প্রতিবেশী দেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। সাউথ ব্লক থেকে।” বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে এমন দাবি করে তিনি বলেন, “সীমান্তে অহরহ গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়, কাঁটাতারের মধ্যে ফেলানি লাশ ঝুলে থাকে, প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দারা এসে ঢাকা থেকে আমাদের লোকজনকে তুলে নিয়ে যায়- এরকম অবস্থার মধ্যে আমাদের সার্বভৌমত্ব আছে কি?
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
সংলাপ প্রসঙ্গে হান্নান শাহ বলেন, একদিকে আমরা সংলাপের কথা বলছি। সরকার বলছে না সংলাপ নয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি জাতিসংঘে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাই বিএনপির উচিত আর সংলাপের কথা না বলা। এখন এমন আন্দোলন করতে হবে, একদিন সরকারই সংলাপের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে হান্নান শাহ বলেন, এখনো সময় আছে, দ্রুত নির্বাচন দিন। নির্বাচন না দিলে আপনাদের বঙ্গোসাগর ও পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিতে হবে। এর পরিণতি ভালো হবে না।
সংগঠনের সভানেত্রী ফরিদা মনি শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির সহদফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।