বুধবার, জুন ২৫, ২০১৪

ফেসবুকে কুরুচিকর মন্তব্য সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল কিশোরী

ফেসবুকে একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য পোস্ট। সেই নিয়ে সবার প্রশ্নের সম্মুখীন। পরিচিত এক যুবকের দীর্ঘদিন এই কুকর্ম সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যা করল এক কিশোরী। কিশোরীর নাম রিয়া খান্না। মঙ্গলবার রাতে পর্ণশ্রীর পাঠকপাড়ার ১৭ বছরের কিশোরী সেই যন্ত্রণার কথা লিখে রেখে যায় তার সুইসাইড নোটে। অভিযুক্ত যুবক ফয়জল ইমাম খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিন সন্ধ্যা থেকেই নিজের ঘর বন্ধ করে বসেছিল রিয়া। বাড়ির লোক ভেবেছিলেন, ঘরে বসে বোধহয় পড়াশোনা করছে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে রিয়ার মা ও বোনের সন্দেহ হয়। তাঁরা বারবার দরজা ধাক্কা দেন, চিৎকার করে ডাকেন। কিন্তু ভিতর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। এরপরই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জানালা ভেঙে ফেলেন তাঁরা। দেখেন, ছাদের লোহার বিমে ওড়না জড়ানো অবস্হায় ঝুলছে রিয়া। বিছানায় রাখা  সুইসাইড নোট।
তাতে লেখা, ফেসবুকে তার সম্পর্কে দিনের পর দিন নোংরা নোংরা মন্তব্য করে উত্ত্যক্ত করছিল ফয়জল। আপত্তিকর মেসেজও পাঠাচ্ছিল। সমাজের কাছে, পরিচিতদের কাছে তাকে হেয় প্রতিপন্ন্ করার জন্যই পরিকল্পনা করে এসব করছিল ফয়জল। সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করতে হচ্ছে তাকে।
সুইসাইড নোট হাতে আসার পরই পুলিশ  আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে ২৩ বছরের ফয়জলকে। ‘আইটি' আইন লঙঘনের অভিযোগও যোগ করা হয়েছে। ফয়জলের বাড়ি পর্ণশ্রী থানা এলাকাতেই, ২৫০ উপেন ব্যানার্জি রোডে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, রিয়ার সঙ্গে ফয়জলের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। কিন্তু কোনো কারণে রিয়া সম্প্রতি ফয়জলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে। প্রতিশোধ  নিতে ফয়জল ফেসবুককে হাতিয়ার করে।