ভাই বিশ্বজিতের মোবাইলের ‘অডিও ক্লিপিং' ঘেঁটেই তাঁর সঙ্গে খালাতো বোন রিনার শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পেল পুলিশ। পুলিশের দাবি, ভাইয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন বোন। প্রস্তুত হয়েছিলেন অন্য এক পুরুষকে বিয়ে করতে। অথচ ভাই বিশ্বজিত্ মণ্ডল চেয়েছিলেন নিজের খালাতো বোন রিনাকে বিয়ে করে তাঁর সঙ্গেই সংসার পাততে। তারই শোধ তুলতে সোমবার অত্যন্ত নৃশংসভাবে কালীঘাট রোডে ভাই খুন করে বোনকে। ময়নাতদন্তে প্রমাণ মিলেছে যে, রিনা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তাঁর গর্ভপাতও হয়েছিল। খালাতো ভাই বিশ্বজিতই কি তাঁর থেকে আট বছরের বড় বোন রিনার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জন্য দায়ী? তদন্ত শুরু করে সেই প্রশ্নই তুলেছেন গোয়েন্দারা।
সুইসাইড নোটে বিশ্বজিৎ তাঁর মোবাইলের পাসওয়ার্ডের ‘প্যাটার্ন' কিভাবে খুলতে হবে, তা নকশা করে দেখিয়ে দেন। মোবাইল থেকে কয়েকটি ‘অডিও ক্লিপিং' উদ্ধার হয়েছে। রিনাকে পাবেন না বলে তাঁকে শাস্তি দিতে যে খুন করেছেন, তা তিনি ভয়েস রেকর্ডিং করেও জানিয়েছেন। অন্য একাধিক ক্লিপিংয়ে রয়েছে বিশ্বজিৎ-রিনার ঝগড়া। একটি ‘ক্লিপিং'য়ে বিশ্বজিৎ রিনাকে বলছেন যে, ভাই জেনেও তিনি তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলেন কেন? এখন রিনাকে তিনি যেতে দেবেন না। উত্তরে রিনা বলছেন যে, বিশ্বজিতের সঙ্গে থাকলে তাঁর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই তিনি বিয়ে করতে চান। পুলিশ জেনেছে, বিশ্বজিত্কে লুকিয়েই রিনা মুর্শিদাবাদের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন। বিশ্বজিৎ বিষয়টি জানতে পারার পরই তাঁর সঙ্গে রিনার সম্পর্ক খারাপ হয়।
ময়নাতদন্তে জানা গেছে, সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মৃতার মাথায় ভারি বস্ত্ত দিয়ে একাধিক আঘাত করার পর তাঁকে গলা টিপে খুন করা হয়। বালিশ চেপে ধরা হয়েছিল তাঁর মুখের উপর। বুকে প্রচণ্ড জোরে আঘাতের ফলে ভেঙে গেছে পাঁজরের হাড়। রীনা যে যৌনসঙ্গমে অভ্যস্ত ছিলেন, তারও প্রমাণ মিলেছে ময়নাতদন্তে। বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে আত্মহত্যার ফলেই। একতলা থেকে স্টিলের সিঁড়ি নিয়ে এসে সিলিং থেকে ঝুলেছিলেন তিনি। পর্দার রড দিয়েই আঘাত করা হয়েছিল রিনার শরীরে। পাশে পড়ে ছিল কাঁচি ও লিউকোপ্লাস্ট। সেগুলো দিয়ে বিশ্বজিৎ বন্ধ করেছিলেন বাড়ির দুই ডোবারম্যান রোজ ও ডায়নার মুখ। তাদের চার পা বেঁধে ফেলে রেখেছিলেন ঘরের কোণায়। সম্ভাব্য কারণ, রিনাকে খুন ও নিজে আত্মহত্যা করার সময় যাতে বিশাল দুই কুকুর চিৎকার করে বাধা না দেয়। যদিও ‘পাগ' টিনটিনকে ছেড়ে রাখা হয়েছিল। খুনের পর কাগজে বড় বড় অক্ষরে সুইসাইড নোট লেখেন ওই যুবক। নোটে লেখা ছিল, "রিনা, তোমার জন্যই আত্মহত্যা করছি। তুমি আমায় প্রেমের জালে জড়িয়েছ। তাই আমি তোমায় শাস্তি দিলাম।" নোটে দায়ী করা হয়েছে রিনার প্রেমিককে, যাঁকে বিয়ে করে মুর্শিদাবাদে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রিনা। রিনার এক বান্ধবী, যাঁর বিয়ে হয়েছে মুর্শিদাবাদে, তাঁকেও অপছন্দ ছিল বিশ্বজিতের। কারণ, তিনিও বিশ্বজিতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন্ করে মুর্শিদাবাদে চলে যেতে বলতেন রিনাকে। জানা গেছে, মঙ্গলবারই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন রিনা। কালীঘাট রোডে পৈতৃক বাড়িটি রিনা বিক্রি করার বিষয়ও ভেবেছিলেন। রিনার মা-বাবার মৃত্যুর পর ওই বাড়িতে স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে রিনার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তাঁর মাসি মহারানি মণ্ডল। বছর সাতেক আগে রিনার বিয়ে হলেও স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। বাড়িতেই কুকুরের ‘ব্রিডিং'য়ের ব্যবসা শুরু করেছিলেন বিশ্বজিৎ ও রিনা। তাই বাড়িতেই একসঙ্গে থাকতেন দুজন। বিশ্বজিতের মা ও বাবা কাজে বেরিয়ে যেতেন। সারাদিন একসঙ্গে থাকার ফলেই বোন ও ভাইয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
ময়নাতদন্তে জানা গেছে, সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মৃতার মাথায় ভারি বস্ত্ত দিয়ে একাধিক আঘাত করার পর তাঁকে গলা টিপে খুন করা হয়। বালিশ চেপে ধরা হয়েছিল তাঁর মুখের উপর। বুকে প্রচণ্ড জোরে আঘাতের ফলে ভেঙে গেছে পাঁজরের হাড়। রীনা যে যৌনসঙ্গমে অভ্যস্ত ছিলেন, তারও প্রমাণ মিলেছে ময়নাতদন্তে। বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে আত্মহত্যার ফলেই। একতলা থেকে স্টিলের সিঁড়ি নিয়ে এসে সিলিং থেকে ঝুলেছিলেন তিনি। পর্দার রড দিয়েই আঘাত করা হয়েছিল রিনার শরীরে। পাশে পড়ে ছিল কাঁচি ও লিউকোপ্লাস্ট। সেগুলো দিয়ে বিশ্বজিৎ বন্ধ করেছিলেন বাড়ির দুই ডোবারম্যান রোজ ও ডায়নার মুখ। তাদের চার পা বেঁধে ফেলে রেখেছিলেন ঘরের কোণায়। সম্ভাব্য কারণ, রিনাকে খুন ও নিজে আত্মহত্যা করার সময় যাতে বিশাল দুই কুকুর চিৎকার করে বাধা না দেয়। যদিও ‘পাগ' টিনটিনকে ছেড়ে রাখা হয়েছিল। খুনের পর কাগজে বড় বড় অক্ষরে সুইসাইড নোট লেখেন ওই যুবক। নোটে লেখা ছিল, "রিনা, তোমার জন্যই আত্মহত্যা করছি। তুমি আমায় প্রেমের জালে জড়িয়েছ। তাই আমি তোমায় শাস্তি দিলাম।" নোটে দায়ী করা হয়েছে রিনার প্রেমিককে, যাঁকে বিয়ে করে মুর্শিদাবাদে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রিনা। রিনার এক বান্ধবী, যাঁর বিয়ে হয়েছে মুর্শিদাবাদে, তাঁকেও অপছন্দ ছিল বিশ্বজিতের। কারণ, তিনিও বিশ্বজিতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন্ করে মুর্শিদাবাদে চলে যেতে বলতেন রিনাকে। জানা গেছে, মঙ্গলবারই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন রিনা। কালীঘাট রোডে পৈতৃক বাড়িটি রিনা বিক্রি করার বিষয়ও ভেবেছিলেন। রিনার মা-বাবার মৃত্যুর পর ওই বাড়িতে স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে রিনার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তাঁর মাসি মহারানি মণ্ডল। বছর সাতেক আগে রিনার বিয়ে হলেও স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। বাড়িতেই কুকুরের ‘ব্রিডিং'য়ের ব্যবসা শুরু করেছিলেন বিশ্বজিৎ ও রিনা। তাই বাড়িতেই একসঙ্গে থাকতেন দুজন। বিশ্বজিতের মা ও বাবা কাজে বেরিয়ে যেতেন। সারাদিন একসঙ্গে থাকার ফলেই বোন ও ভাইয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন