মঙ্গলবার, জুন ২৪, ২০১৪

ওজন কমানোর সহজ উপায়!

আমাদের দেশে অত জনপ্রিয় না হলেও পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ওটমিল একটি পরিচিত নাম। বিশেষ করে ব্রেকফাস্ট হিসেবে। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওটমিলের অনেক অনেক অবদানের জন্য ধীরে ধীরে আমাদের দেশেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। রোগা হতে চান? ডায়েট করে ফল পাচ্ছেন না? এদিকে ডায়েট করেও ভালো লাগছে না? বিস্বাদ খাবার খেয়ে খেয়ে ক্লান্ত? তাহলে আজ আপনার জন্যই আমাদের এই ফিচার। আমরা নিয়ে এলাম ওজন কমাবার দারুণ সুস্বাদু একটি উপায়। মন ভরে খাবেন আর ওজনও কমতে শুরু করবে ঝটপট।
কী করবেন? আজ থেকেই সকালে নাশ্তায় ও রাতে ডিনারে নিয়মিত খাবারের বদলে। ওটমিল খাওয়া শুরু করুন। এতে আপনার খিদেও মিটবে আর ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ও থাকবে না। বরং ওজন কমবে বেশ দ্রুত। সাথে শরীরটাও হয়ে উঠবে চনমনে।
লুসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির পেনিংটন বায়োমেডিকাল রিসার্চ সেন্টার তাদের সম্প্রতি গবেষনা থেকে এই তথ্যই জানিয়েছে। গবেষক ফ্র্যাঙ্ক গ্রিনওয়ে জানিয়েছেন যে, ‘ ওটের মধ্যে এমন একধরনের পদার্থ থাকে যা ক্যালোরি ধরে রাখার পাশাপাশি খিদেও মিটিয়ে দেয়।’
এই গবেষনা করে জানা গিয়েছে অন্যান্য শষ্যদানায় ফ্যাট কম থাকলেও খিদে মেটে না এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেহে যায় না। অন্যদিকে ব্রেকফাস্টে ভারি কোনও খাবার খেলে পেট ভরলেও ক্যালোরি বেড়ে যায় কিন্তু সম্পূর্ণ পুষ্টি হয়না। গবেষনাটি ১০০জন পুরুষ ও মহিলাকে নিয়ে করা হয়েছিল। যেখানে দেখা গিয়েছে ওটমিল খাওয়ার পর পেট ভরার পাশাপাশি সঠিক পুষ্টিও হচ্ছে।
তাই, নিজেদের চেহারা, স্বাস্থ্য দুটোই ধরে রাখার জন্য অন্য সব ছেড়ে দিয়ে শুরু করুন ওটমিল খাওয়া।
উপকারিতা-
ওটমিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা শরীরের Low density lipoprotein (LDL) (ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নামে পরিচিত) এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি High density Lipoprotein (HDL) (উপকারী কোলেস্টেরল) এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে এটি উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে খুবই উপযোগী। ওটমিলের ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,মলের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করে। ওটমিল পাকস্থলী গিয়ে ফোলে। ফলে ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। হজমে সহায়তা করে। শরীরে কোলেস্টেরল কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওটমিল রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সপ্তাহে ৫-৬ বার ওটমিল গ্রহণ টাইপ-২ ডায়াবেটিস ৩৯% নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ওটমিলের হোল গ্রেইন্স পোষ্ট-মেনোপজাল মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে তৈরি করবেন?
প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকবে পদ্ধতি। সেটা অনুসরণ করবেন। এছাড়াও চুলায় ফুটানো গরম পানিতে পরিমাণ মতো ওটমিল নিয়ে ৫-১০ ফুটান। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। স্বাদের জন্য এতে সামান্য লবণ যোগ করতে পারেন। চাইলে নানা রকম মশলা যোগ করে তৈরি করতে পারেন ওটসের খিচুড়ি। অথবা ইনস্ট্যান্ট ওটমিলে ননি বিহীন দুধ ও তাজা ফল যোগ করেও খেতে পারেন।