২০ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ নিয়ে খেলতে হয়েছে বিশ্বকাপে। অনেকেই হয়তো
এমন চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে যেতেন। কিন্তু নেইমার অন্য ধরনের। কলম্বিয়ান
ডিফেন্ডার হুয়ান ক্যামিলো জুনিগার মারাত্মক ট্যাকলে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে
ছিটকে যাওয়ার আগে ব্রাজিলিয়ানদের প্রত্যাশা পূরণের মতোই খেলছিলেন। কী করে?
চাপ কী জিনিস সেটাই যে টের পান না নেইমার!
ব্যাপারটা সামনে নিয়ে এসেছেন জাপানের এক নিওরোলজিস্ট। এক গবেষণার অংশ হিসেবে গত ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকজন ফুটবলার, অ্যাথলেটের নিওরোস্ক্যান করেছিলেন ভদ্রলোক। নেইমার ছাড়াও ছিলেন স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগের কয়েকজন ফুটবলার ও জাতীয় পর্যায়ের কয়েকজন সাঁতারু। তাতে দেখা গেছে, মাঠে নেইমারকে অন্য গড়পড়তা ফুটবলারদের চেয়ে কিছুটা কম মাথা খাটাতে হয়। অর্থাৎ একজন শৌখিন ফুটবলারকে মাঠে যতটা ভাবতে হয়, নেইমারের ততটা ভাবার দরকার পড়ে না!
এ কারণেই নাকি মাঠে নেইমার এমনভাবে খেলেন যেন ‘অটো-পাইলট’ মুডে উড়োজাহাজ চলছে! একটা সুইস জার্নালে প্রকাশিত সেই গবেষণায় ইচি নাইতো নামে সেই নিওরোলজিস্ট বলেছেন, ‘এমআরআইগুলো দেখে আমরা যা বুঝলাম, খেলার সময় গড়পড়তা ফুটবলারদের চেয়ে তাঁর মস্তিষ্ক অন্তত ১০ ভাগ কম সক্রিয় থাকে। এখানে জিনগত কোনো ব্যাপার কাজ করেছে। তা ছাড়া কঠোর অনুশীলনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’ কারণ যা-ই হোক, ব্যাপারটা যে নেইমারের পক্ষেই যাচ্ছে সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন স্নায়ুবিজ্ঞানী নাইতো, ‘মস্তিষ্ক কম সক্রিয় থাকা মানে সেটার ওপর চাপ কম পড়ছে। ফলে একজন খেলোয়াড় একই সময় অনেকগুলো জটিল মুভ করতে পারে। আমরা মনে করি, এটা তাঁকে নিজের মতো খেলার সুবিধা করে দিচ্ছে।’
নেইমারের বার্সেলোনা সতীর্থ লিওনেল মেসি কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্ষেত্রেও এটা হয়? নাইতোর জবাব, ‘এই দুজনের পায়ের কাজ আর কৌশল দেখে ধারণা করতে পারি তাঁদের নিওরোস্ক্যান করলেও একই ফল আসবে।’ এএফপি।
ব্যাপারটা সামনে নিয়ে এসেছেন জাপানের এক নিওরোলজিস্ট। এক গবেষণার অংশ হিসেবে গত ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকজন ফুটবলার, অ্যাথলেটের নিওরোস্ক্যান করেছিলেন ভদ্রলোক। নেইমার ছাড়াও ছিলেন স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগের কয়েকজন ফুটবলার ও জাতীয় পর্যায়ের কয়েকজন সাঁতারু। তাতে দেখা গেছে, মাঠে নেইমারকে অন্য গড়পড়তা ফুটবলারদের চেয়ে কিছুটা কম মাথা খাটাতে হয়। অর্থাৎ একজন শৌখিন ফুটবলারকে মাঠে যতটা ভাবতে হয়, নেইমারের ততটা ভাবার দরকার পড়ে না!
এ কারণেই নাকি মাঠে নেইমার এমনভাবে খেলেন যেন ‘অটো-পাইলট’ মুডে উড়োজাহাজ চলছে! একটা সুইস জার্নালে প্রকাশিত সেই গবেষণায় ইচি নাইতো নামে সেই নিওরোলজিস্ট বলেছেন, ‘এমআরআইগুলো দেখে আমরা যা বুঝলাম, খেলার সময় গড়পড়তা ফুটবলারদের চেয়ে তাঁর মস্তিষ্ক অন্তত ১০ ভাগ কম সক্রিয় থাকে। এখানে জিনগত কোনো ব্যাপার কাজ করেছে। তা ছাড়া কঠোর অনুশীলনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’ কারণ যা-ই হোক, ব্যাপারটা যে নেইমারের পক্ষেই যাচ্ছে সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন স্নায়ুবিজ্ঞানী নাইতো, ‘মস্তিষ্ক কম সক্রিয় থাকা মানে সেটার ওপর চাপ কম পড়ছে। ফলে একজন খেলোয়াড় একই সময় অনেকগুলো জটিল মুভ করতে পারে। আমরা মনে করি, এটা তাঁকে নিজের মতো খেলার সুবিধা করে দিচ্ছে।’
নেইমারের বার্সেলোনা সতীর্থ লিওনেল মেসি কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্ষেত্রেও এটা হয়? নাইতোর জবাব, ‘এই দুজনের পায়ের কাজ আর কৌশল দেখে ধারণা করতে পারি তাঁদের নিওরোস্ক্যান করলেও একই ফল আসবে।’ এএফপি।