মানুষ যেভাবে মাছের শুঁটকি তৈরি করে, সেভাবে যদি মানুষকেই প্রক্রিয়াজাত
করে গ্রামের প্রবেশমুখে ঝুলিয়ে রাখা হয় কেমন হবে? তেমনটাই করে থাকে পাপুয়া
নিউগিনির মোরোবে গ্রামের অ্যাঙ্গা গোষ্ঠির মানুষেরা। এ প্রক্রিয়ার অংশ
হিসেবে তারা মৃত মানুষটির, তা সে নারী, পুরুষ, শিশু, যুবা, বৃদ্ধ যাই হয়ে
থাকুক না কেন, শরীরে তাপ দিয়ে চর্বি গলিয়ে একটি ছিদ্র করে বের করে আনে।
অনেকটা আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি লাইপোলাইসিসের মতো। গলিত চর্বি তারা
রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকে। এরপর মৃতদেহকে বাঁশের খাঁচায় রেখে
মাচানে তুলে দেয়। সেগুলো স্থান পেতে থাকে বাড়ির ওপর বা গ্রামের প্রবেশমুখে।
১৯৭৫ সালে পাপুয়া নিউগিনির সরকার এ প্রথাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নয়। সেখানে গ্রামপাহারা দেয়া, বিপদআপদ থেকে রক্ষা করার জন্যে মৃতদেহরা এভাবে অকল্যাণের বিরুদ্ধে জুজু সেজে বসে থাকে, ঝুলে থাকে। অনেকে ভাবতে পারেন, এভাবে মৃতদেহকে তারা অসম্মান করছে। সে কথা তাদের বলতে গেলে বক্তাকেও তারা এভাবে ‘যোগ্য সম্মান’ ও ‘ভালোবাসা’ দান করতে পারে।
১৯৭৫ সালে পাপুয়া নিউগিনির সরকার এ প্রথাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নয়। সেখানে গ্রামপাহারা দেয়া, বিপদআপদ থেকে রক্ষা করার জন্যে মৃতদেহরা এভাবে অকল্যাণের বিরুদ্ধে জুজু সেজে বসে থাকে, ঝুলে থাকে। অনেকে ভাবতে পারেন, এভাবে মৃতদেহকে তারা অসম্মান করছে। সে কথা তাদের বলতে গেলে বক্তাকেও তারা এভাবে ‘যোগ্য সম্মান’ ও ‘ভালোবাসা’ দান করতে পারে।