শনিবার, জুলাই ১৯, ২০১৪

সঙ্গিনীকে কিভাবে এবং কি করলে খুশি রাখা যায়

মাঝে মাঝেই নিজের সঙ্গিনীর রুদ্র মূর্তি দেখার দুর্ভাগ্য হয় অনেক স্বামী বা প্রেমিকের। ছেলেদের ধারণা কিছু হলেই মেয়েরা মন খারাপ করে ফেলেন অথবা রেগে যান। কিন্তু আসলেই কি তাই? হ্যাঁ, এইটুকু সত্যি যে মেয়েরা অনেক বেশি আবেগি হয়ে থাকেন। সামান্যতেই তাদের খুব বেশি রিঅ্যাক্ট করতে দেখা যায়। কিন্তু তাই বলে একেবারেই শুধুশুধু মেয়েরা আবেগি হয়ে পড়েন না। ঝামেলা হলো ছেলেরা যেভাবে চিন্তা করেন মেয়েরা সেভাবে চিন্তা করেন না। ছেলেদের কাছে যে সকল ব্যাপার একেবারেই ছোটোখাটো, দেখা যাবে মেয়েদের কাছে তা অনেক বেশিই মূল্য রাখে। তাই প্রয়োজন শুধু মেয়েদের একটু বুঝতে পারার।
নিজের সঙ্গিনীকে কিভাবে এবং কি করলে খুশি রাখা যায় তা নিয়ে অনেক পুরুষই মাথার চুল ছিঁড়ে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না ছোটোখাটো কিছু কাজ করলেই তার সঙ্গিনী অনেক বেশি খুশি হবেন। সামান্য কিছুতেই অনেক মিষ্টি একটি হাসি উপহার দেবেন। জানতে চান কি সেই কাজগুলো? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক।
একটু কেয়ার করুন
সারাদিন অনেক কাজের মাঝেই থাকতে হয় ছেলেদের কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ১ টি মিনিট সময় বের করে নেয়া একেবারেই অসম্ভব কিছু নয়। মাত্র ১ মিনিট ব্যয় করে ম্যাসেজ লিখে পাঠিয়ে তাকে। ভালোভাবে কথা বলুন, তার কাজে কিছুটা হলেও সাহায্য করার চেষ্টা করুন। মোট কথা তার একটু কেয়ার নিন। তাহলেই হাসি ফুটবে আপনার সঙ্গিনীর মুখে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তারিখ মনে রাখুন
দাম্পত্য জীবনে এবং প্রেমের সম্পর্কে অনেক সময়ই তারিখ ভুলে যাওয়ার ব্যাপার নিয়ে বেশি মনোকষ্ট পান মেয়েরা। তাই নিজের সঙ্গিনীর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তারিখ মনে রাখার চেষ্টা করুন। মনে রাখতে না পারলে মোবাইল ফোনের ক্যালেন্ডারে মার্ক করে রাখুন।
তার প্রশংসা করুন: মুখের কথাই মেয়েদের খুশি করতে যথেষ্ট। আপনি তার সৌন্দর্যের, তার কাজের প্রশংসা করুন দেখবেন আপনার সঙ্গিনীর মুখে হাসি আনতে এইটুকুই যথেষ্ট।
আপনার সাথে সম্পর্কিত সকলের সাথে তার পরিচয় করিয়ে দিন
মেয়েরা কিছুটা সন্দেহ প্রবন হয়ে থাকেন। তাই ছেলদের উচিৎ নিজের স্বচ্ছতা নিজের সঙ্গিনীর সামনে তুলে ধরা। এতে করে আপনার সঙ্গিনী আপনাকে সন্দেহও করবেন না এবং উল্টো আপনার এই স্বচ্ছতা তার মুখে ফোটাবে বিশ্বাসের হাসি। আপনার সাথে সম্পর্কিত সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে আপনার সঙ্গিনী পাবেন নির্ভরতা।
তার আপনার জন্য করা পরিশ্রমের প্রশংসা করুন
আপনার সঙ্গিনী প্রতিদিন আপনার জন্য খাবার রান্না করেন। আপনি হয়তো ভুলেই যান তার এই কষ্টের প্রতিদানে একটু প্রশংসা করার কথা। তিনি হয়তো সেজেগুজে আপনার সামনে আসেন আপনার সামান্য প্রশংসা পাবার জন্য কিচন্তু কাজের চাপে আপনি ভুলেই যান তার কথা। কিন্তু তার এই কষ্টের প্রতিদানে সামান্য প্রশংসাসূচক কথা বললেই আপনার সঙ্গিনী অনেক খুশি থাকবেন। মাঝে মাঝে গিফট দিন তাকে। বড় কিছু নয় সামান্য ফুলই না হয় কিনে নিয়ে গেলেন তার জন্য।
তার পছন্দ অপছন্দ এবং মতামতের মূল্য দিন
আপনার জীবনের একটি অংশ হিসেবে তিনি অবশ্যই চাইবেন আপনি তার পছন্দ অপছন্দের খোঁজ খবর রাখুন এবং তার মতামতের মূল্য দেবেন। এই জিনিসটি প্রত্যেক মানুষই তার পছন্দের মানুষের কাছে চেয়ে থাকেন। শুধু এইটুকু মনে রাখলে এবং করলে দেখবেন আপনার সঙ্গিনীর মুখে ফুটে উঠবে সুখের হাসি।