রবিবার, জুলাই ২০, ২০১৪

অনলাইন প্রেমে বলা ৮০% ভাগ মিথ্যা!

মানুষের জীবনে এখন বাস্তবতার যতটা না স্থান, তারচাইতে বেশি স্থান হলো অনলাইনের। অনলাইনে মানুষ পড়াশোনা করছে, বিনোদন খুঁজছে, কাজকর্ম করছে, বন্ধুত্ব তৈরি করছে। অনেক ক্ষেত্রে ভালো হলেও অনলাইনে এমন কিছু ব্যাপার আছে যা অনেকটাই নেতিবাচক। তার একটি হলো অনলাইন ডেটিং। কারও কারও জীবনে অনলাইন ডেটিং ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দিলেও আসলে কিন্তু এর পুরো ব্যাপারটায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার অনেক সম্ভাবনা থেকে যায়। জানেন কি কেন? আসুন দেখে নেওয়া যাক অনলাইন ডেটিং এর ৭ টি গোপন তথ্য, যা জানার পর অদৃশ্য এই ডেটিং করার আগে দশবার চিন্তা করবেন আপনি!
১) সবচাইতে সুন্দরী মেয়েটি আসলে সাদামাটা একজন
ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার দেখে ঝট করে মেয়েটির প্রেমে পড়ে গেলেন। আহা, কি সুন্দরী! অথবা কোনো একটি ছেলের ঝকঝকে প্রোফাইল পিকচার দেখেও মুগ্ধ হওয়া নতুন কিছু নয়।
কিন্তু সে কি দেখতে আসলেই সেই ছবির মতো? সে নিজেকে আপনার সামনে যেভাবে উপস্থাপন করতে চাইছে সেটাই আপনি দেখছেন। সে আপনাকে ধোঁকা দিয়ে ফটোশপের কারসাজিতে নিজের চেহারা পরিবর্তন করলেই কি আপনি জানতে পারছেন? এমনকি কম পরিচিত কোনও মডেল বা নায়িকার ছবিও তারা ব্যবহার করতে পারে। এভাবে নিজের ইচ্ছেমত মানুষ নিজের চেহারা পরিবর্তন করতে পারে, আর অন্যকে ধোঁকা দিতে পারে অনলাইন ডেটিং এ।
২) হিরোইক ইমেজের ছেলেটি হতে পারে “গোবেচারা”
অনলাইনে হাতি-ঘোড়া মেরে সাহসী বীরপুরুষ হয়ে যাওয়াটা খুবই সহজ। সেখানে বানিয়ে বানিয়ে অনেক কথা বলে ফেলা যায়। আপনি তো আর তার বাড়িতে গিয়ে দেখতে যাচ্ছেন না সে আসলেই এত সাহসী বা ড্যাশিং কিনা! মেয়েরাও বানিয়ে বানিয়ে বলতে পারে আমি এটা পারি, আমি সেটা পারি। এই সুযোগটা নেয় অনেক মিনমিনে প্রকৃতির মানুষ। তারা নিজেদের আসল চরিত্র আলাদা করে আপনার সামনে নিজেকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করে।
৩) মানুষটির বয়স কত জানবেন কীভাবে?
একজন মানুষের বয়স বুঝতে পারাটা খুব সহজ কিছু নয়। একেবারে চেহারায় ভাঁজ-টাজ পড়ে না গেলে বয়স বোঝা শক্ত। অনলাইনে সেই কাজটা আরও শক্ত। ফেসবুকে অনেকেই বয়স বাড়িয়ে কমিয়ে দিয়ে রাখে। অনেকে নিজের পুরনো ছবি ব্যবহার করে বোঝাতে চায় তার বয়স কম। এই ব্যাপারটা বোঝা অনেক কঠিন হয়ে যায়। একমাত্র বাস্তব জীবনে কাউকে দেখলে তখনই বয়স সম্পর্কে ধারনা করা সম্ভব।
৪) অনলাইন প্রেমে বলা ৮০% ভাগ কথা মিথ্যা!
আপনি পরে আছেন ম্যাড়ম্যাড়ে রঙের একটা পুরনো গেঞ্জি। আপনার অনলাইন প্রেমিক/প্রেমিকা প্রশ্ন করলো “তুমি কি পরে আছ?” তখন কি আপনি সত্যি কথাটা বলবেন? অনেকেই সত্যি কথাটা বলেন না, অনেক সময়ে সত্যি-মিথ্যা মিশিয়ে একটা কিছু বলে দেন। পোশাকের কথাটা তো নির্দোষ একটি উদাহরণ। ভেবে দেখুন আরও কতো মারাত্মক মিথ্যে কথা বলার সুযোগ রয়েছে এই সম্পর্কে।
৫) তারাই অনলাইনে সর্বাধিক প্রেম করে যারা আসল জীবনে বিবাহিত বা এনগেজড
একটা মানুষ বাস্তব জীবনে প্রেম না করে কেন অনলাইনে একটা অসম্পূর্ণ সম্পর্কের মাঝে জড়াতে চাইবে? ভেবে দেখুন, আপনাকে হুট করে যে মানুষটা অনলাইন ডেটিং এর প্রস্তাব দিচ্ছে তার উদ্দেশ্যটা কি? সে হয়তো তার বর্তমান সম্পর্ক অথবা বিবাহিত জীবন নিয়ে সুখি নন। এ কারণে একটু অন্যরকম সম্পর্কের স্বাদ পেতেই হয়তো তারা অনলাইনে ডেটিং করতে আসছেন। এমন সম্পর্কে কি আপনার জড়ানো উচিত? ভেবে দেখুন।
৬) অনলাইনে যারা প্রেম করে তাঁদের ৭০ ভাগের আসল জীবন নিরামিষ
হ্যাঁ, আরও একটা কারণ থাকতে পারে অনলাইনে প্রেম করার পেছনে। অনেকেরই বাস্তব জীবনে প্রেম না করার বিভিন্ন কারণ বা যুক্তি থাকতে পারে। কিন্তু সেসব বাদ দিলে অন্যান্য সব মানুষের অনলাইন ডেটিং এর পেছনে একটা সাধারণ কারণ হলো, তারা বাস্তব জীবনে এতটাই নিরামিষ এবং নির্লিপ্ত, যে তারা কারও সাথে কখনও প্রেম করেনি বা করতে পারেনি। অনলাইনে ডেটিং এর ক্ষেত্রে এমন মানুষেরা বিভিন্ন কৌশলে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তলার চেষ্টা করেন।
৭) অনলাইন প্রেমের ক্ষেত্রে একসাথে অনেকগুলো প্রেম করা যায়
এটা হলো অনলাইন ডেটিং এর সবচাইতে ভয়াবহ একটি ব্যাপার। ফেসবুকে বা অন্যান্য ওয়েবসাইটে ইচ্ছে করলেই একের অধিক ফেক আইডি খুলে ফেলা যায়। আর ইচ্ছে থাকলে সেই অনেকগুলো আইডি থেকে প্রেম করা যায় অনেক জনের সাথে। আপনি যার সাথে অনলাইনে ডেটিং করছেন, সে একই সাথে আপনার বন্ধুর সাথেও যে প্রেম করছে না এটা কি করে জানবেন আপনি? জানার কোনও উপায় নেই। তাই এ ধরণের সম্পর্কের ব্যাপারে থাকুন খুব সাবধান।