ক্যামেরার সামনে গেলেই কেবল আমরা একে অন্যকে হাসার জন্য অনুরোধ করি। আর সেই হাসিটা যদি ধরে রাখা যায় ক্যামেরার বাইরে, তাহলে সেই ছবির মতো আমাদের জীবনও হয়ে উঠতে পারে সুখী।
এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আশাবাদী ও নিরাশাবাদীর পার্থক্য কী? খারাপ দিন ও ভালো দিন, খারাপ ভাগ্য ও ভালো ভাগ্য, শত্রু ও বন্ধু নাকি যুদ্ধ ও শান্তি?
কখনো কখনো এ পার্থক্য থাকে শুধু একটি হাসির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সুন্দরভাবে তোলা একটি ছবির মতোই আমাদের জীবনের সুখ ফিরিয়ে দিতে পারে হাসি। আর এজন্য এ লেখায় থাকছে হাসির ১০টি উপকারিতা।
১. হাসি আপনার বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেবে।
২. খারাপ একটি দিনের সব বাজে প্রভাবকে আপনি সরিয়ে দিতে পারবেন বন্ধুর সঙ্গে কিছুক্ষণ হাসাহাসি করে, প্রিয় হাসির অনুষ্ঠান দেখে কিংবা পরিবারকে সঙ্গ দিয়ে।
৩. সঠিক জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে হাসি আপনার আকর্ষণ বাড়াতে সহায়তা করবে।
৪. কোনো একটি কক্ষে মূল্যবান হাসি দিয়ে আপনি আপনার আগন্তুক তকমা বাদ দিতে পারবেন।
৫. হাসি বা কৃত্রিম হাসির ফলে শরীরের অভ্যন্তরে নির্গত হরমোন আমাদের সুখী করে।
৬. হাসি আমাদের দেহকে শীথিল করে এবং হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা ভালো করে।
৭. আপনার ব্যর্থতাকে একপাশে সরিয়ে দিতে হাসি কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি আপনার ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতেও উৎসাহিত করে।
৮. গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি হাসি দিলে আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়বে। এতে আপনার কাজে ও জীবনের নানা ক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়বে।
৯. হাসি যন্ত্রণা কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাকৃতিকভাবে যন্ত্রণা নিবারক হিসেবে কাজ করে হাসি।
১০. কারো প্রতি হাসি দিলে সেও আপনার প্রতি পাল্টা হাসি দিতে পারে। আর আপনি যার প্রতি হাসি দেবেন সেও পরবর্তীতে আপনার প্রতি হাসি দিতে পারে। এভাবে দিনে আপনার হাসি যত বেশি হবে আপনার স্বাস্থ্যও তত ভালো হবে। –ওয়েবসাইট।