বিশ্ব সুন্দরীরা যেন স্বর্গের পরী, যারা ভুল করে মর্ত্যে নেমে এসেছেন। যদিও অনেকের মতে তাঁরা নাকি 'মগজহীন সুন্দরী'। কিন্তু এই তত্ত্বকে অনেকেই ভুল প্রমাণিত করেছেন। এখানে এমনই সাতজন বিশ্ব সুন্দরীর পরিচয় জানুন যারা তাদের সৌন্দর্য ছাপিয়েও আরো বেশি কিছু হয়ে উঠেছেন। বিশ্ব তাঁদের শুধু সৌন্দর্যের জন্য চেনে না, চেনে তাঁদের মেধা ও অনন্য গুণাবলীর জন্যও।
১. সুস্মিতা সেন:
বিউটি কুইনদের মধ্যে অন্যতম একজন এই মিস ইউনিভার্স। ১৯৯৪ সালে কিশোরী বয়সে এই মুকুট জয় করেছিলেন এবং ক্রমেই মেলে ধরেছেন তার বহুমুখী প্রতিভা। দুটো মেয়েকে প্রতিপালন করছেন তিনি এবং গর্বের সঙ্গে তাদের মা হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। সমাজের যেকোনো সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ মতামতসহ পদক্ষেপ নিতেও এগিয়ে আসেন তিনি। ভারতের সব মেয়েদের কাছে তিনি একজন আইডল।
২. হ্যালি বেরি:
১৯৮৬ সালে মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয়ে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাবের সম্মান বয়ে আনেন নিজ দেশের জন্য। ইতিমধ্যে এই আফ্রিকান-আমেরিকান সুন্দরী হলিউডকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন তার বিস্ময়কর অভিনয় প্রতিভা দিয়ে। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন তিনি।
৩. ভেনিসা উইলিয়ামস:
১৯৮৬ সালে মিস আমেরিকা খেতাব জয় করেন এই সুন্দরী। পরে পেন্টহাউজ ম্যাগাজিনে নগ্ন পোজ দেওয়ার সমালোচায় সবাই মুখর হলে খেতাব ত্যাগ করেন ভেনিসা। তবে এ জন্য তার সফল জীবন থেমে থাকেনি। সঙ্গীত এবং সিনেমা জগতে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আজীবন।
৪. মার্গি মোরান:
অ্যাথেন্সে ১৯৭৩ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জয় করেন এই নারী। দক্ষিণ ফিলিপাইনসে সমাজ গঠনে এবং শান্তি স্থাপনে এই নারীর অবদান অনস্বীকার্য। এ ছাড়াও শিল্প-সংস্কৃতির একজন পৃষ্ঠপোষক তিনি এবং বর্তমানে ব্যালে ফিলিপাইনসের প্রেসিডেন্ট।
৫. ঐশ্বরিয়া রাই:
আরেক বিউটি কুইন যিনি প্রমাণ করেছেন এই খেতাব মাথায় নিয়ে আরো অনেক কিছুই করা যায়। ১৯৯৪ সালের মিস ওয়ার্ল্ড বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের একজন। বেশকিছু মানবহিতৈষি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনি যার মধ্যে আই ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া অন্যতম। ২০০০ সালের মাঝামাঝি তিনি ভারতের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ভালো কিছু করতে নিজের ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন। শিশুদের বিনা মূল্যে প্যালেটা সার্জারি করা হয় এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। তা ছাড়া এইচআইভি থেকে শিশুদের বাঁচাতে জনগণকে সচেতন করতে জাতিসংঘের অ্যাম্বাসাডর করা হয়েছে তাঁকে।
৬. অ্যানা মারিস ইজপিট:
২০০৬ সালে মিস ফিলিপাইন হয়ে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেনে তিনি। মুকুট না পেলেও পরে নিজ দেশের নিজ শহরে কমিউনিটি প্রজেক্ট হাতে নেন তিনি। ২০১৩ সালের ১৫ অক্টোবর বোহল প্রদেশে ৭.২ ম্যাগনিচিউড মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর তাঁর কর্মযজ্ঞ সব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের বাসস্থানসহ শিশুদের লেখাপড়ার বিষয়েও নিয়মিত কাজ করে চলেছেন তিনি।
৭. ডায়ানারা টোরেস:
১৯৯৩ এর মিস ইউনিভার্স এই পুয়ের্তে রিকোর সুন্দরী। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী মার্ক অ্যান্টনিকে বিয়ে করে পরে বিচ্ছেদ ঘটে তাঁদের। একজন অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী হিসেবে আইকন হয়ে উঠেছেন আগেই। ফিলিপাইনে টানা পাঁচ বছর নিজের ক্যারিয়ারের মাধ্যমে আলো ছড়িয়েছেন। এই দেশের দরিদ্র কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেন বিভিন্ন ফান্ড জোগাড় করে। ম্যাকডোনাল্ড হাউজ চ্যারিটি এবং ক্যালিফোর্নিয়াস কভন্যান্ট হাউসের সঙ্গে যু্ক্ত তিনি।