হাসিখুশি ও আনন্দময় জীবনের জন্য কতো কিছুই না করে থাকি আমরা।
কিন্তু সুখি জীবনের পেছনে আসলে থাকতে পারে বংশগতির হাত।
জেনেটিক মেকআপের ওপর নির্ভর করতে পারে একজন মানুষের জীবনের সুখ।
পৃথিবীর সুখি দেশের তালিকায় ডেনমার্ক এবং অন্যান্য স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশ বেশিরভাগ সময়েই ওপরের দিকে থাকে।
অন্যান্য অনেক কারণে তাদের জীবন সুখি হলেও, গবেষকেরা
ধারণা করছেন এর পেছনে জেনেটিক্সের বড় ভূমিকা রয়েছে।
নতুন এই গবেষণায় ১০০ টির’ও বেশি দেশের মানুষের গড় জেনেটিক মেকআপের তথ্য নেওয়া হয় এবং ডেনমার্কের মানুষের জেনেটিক মেকআপের সাথে তার তুলনা করা হয়।
এই পরিমাপকে বলা হয় জেনেটিক ডিসট্যান্স বা দূরত্ব।
দেখা যায়, ডেনমার্কের
সাথে কোন দেশের জেনেটিক ডিসট্যান্স যত বেশি, সে
দেশের মানুষের সুখি হবার পরিমাণ ততই কম।
গবেষণা করা হয় ১৩১ টি দেশের তথ্য নিয়ে।
ডেনমার্কের কাছাকাছি দেশ যেমন নেদারল্যান্ড এবং সুইডেন সুখি দেশের মাঝেই থাকে।
এসব দেশের মানুষের জেনেটিক মেকআপ অনেকটাই ডেনমার্কের মতো।
আবার ঘানা ও মাদাগাস্কারের মতো যেসব দেশ সুখি দেশের তালিকায় নিচে থাকে, তাদের
সাথে ডেনমার্কের জেনেটিক ডিসট্যান্স অনেক বেশি থাকে।
মানুষের বিভিন্ন জিনের ওপরে গবেষণা করে দেখা যায়, একটি
জিন আছে যা কিনা সেরোটনিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
সেরোটোনিন এমন একটি রাসায়নিক যা সুখের অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত।
যেসব মানুষের শরীরে এই জিনের পরিবর্তিত, খাটো
রূপ দেখতে পাওয়া যায় তারা সাধারণত কম সুখি হয়ে থাকে।
এই নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ডেনমার্কের
খুব কম মানুষের মাঝে এই জিনের পরিবর্তিত রূপটি আছে।
এ কারণেই তাদের মাঝে সুখি মানুষের পরিমাণ বেশি।
আবার সবচাইতে কম সুখি ৩০টি দেশের মাঝে রয়েছে ইটালি, তাদের
এই জিনে পরিবর্তন ঘটে সবচাইতে বেশি মানুষের মাঝে।
জিনের এই বৈশিষ্ট্য কি বংশগতির ধারায় বাহিত হয় মাতাপিতা থেকে সন্তানের মাঝে? এই
ব্যাপারে জানার জন্য একদল আমেরিকান মানুষের ওপরে গবেষণা করা হয় এবং তাদের পূর্বপুরুষের ব্যাপারে তথ্য নেওয়া হয়।
দেখা যায়, সবচাইতে
সুখি মানুষটির পূর্বপুরুষ বাস করতে কোনো একটি সুখি দেশে।
(Live Science)