রবিবার, জুলাই ২০, ২০১৪

খন্দকার মোশাররফের জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ

মুদ্রা পাচার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়। এই আদেশের ফলে কারাবন্দি এই বিএনপি নেতা আপাতত আর মুক্তি পাচ্ছেন না বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। হাইকোর্টের দেয়া ওই জামিন আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। ওই সময়ের মধ্যে আবেদনকারীদের নিয়মিত আপিলের আবেদন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সাবেক মন্ত্রী মোশাররফকে গত ৯ জুলাই শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয় বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
জামিনের আদেশে বলা হয়, খন্দকার মোশাররফকে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যাওয়া চলবে না। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যোগাযোগও করতে পারবেন না।
এই রায় স্থগিতের জন্য দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে দুটি আবেদন করে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক।
মামলা হওয়ার পর তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও আপিল বিভাগ পরে তা বাতিল করে। এরপর গত ১২ মার্চ গুলশানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর কয়েকবার হাই কোর্টে জামিন চাইলেও আদালত তাকে ফিরিয়ে দেয়। শেষে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিচারপতি নাঈমা হায়াদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি রুল দেয়। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাকে নিয়মিত জামিন দেয়া হয়।
খন্দকার মোশাররফের দাবি, মামলায় যে অর্থ পাচারের কথা বলা হয়েছে তা অবৈধভাবে অর্জিত নয়, পাচারও করা হয়নি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত লন্ডনে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সময় তিনি যে অর্থ আয় করেছিলেন তা পরে যুক্তরাজ্যের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। ওই অর্থই এত বছরে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ডলার হয়েছে বলে মোশাররফের দাবি।