শীত সবে জেঁকে বসতে শুরু করেছে। এমন সময় সকালগুলোতে পিঠা পায়েস খেতে কে না ভালোবাসে। আমাদের দেশে সবখানে নানা পদের পিঠা তৈরি হয়। ষড়ঋতু দেশে আবহাওয়া বুঝে আমাদের মা-ঝিরা এই পিঠাগুলো তৈরি করে থাকেন।
তবে শীতকালেই সবচেয়ে বেশি পিঠা তৈরি করেন তারা। এই সময়ের বৈশিষ্ট্যকে উপস্থান করে এমন একটি পিঠা দুধ-চিতই। এই পিঠার বানানোর প্রক্রিয়া জানা আছে অনেকেরই। তবুও যাদের জানা নেই কিভাবে তৈরি করা এই পিঠা, তাদের জন্যই এই রেসিপিটি। এবারে জেনে নিন দুধ-চিতই পিঠা বানানোর পদ্ধতি।
উপকরণ
পরিমান
চালের গুড়া- ২ কাপ
খেজুরের গুড় / আখের গুড় – ১.১/৪ কাপ
লবণ- ১/২ চা চামচ
ঘন দুধ- ২ কাপ
পানি- প্রয়োজন মত
চালের গুড়া- ২ কাপ
খেজুরের গুড় / আখের গুড় – ১.১/৪ কাপ
লবণ- ১/২ চা চামচ
ঘন দুধ- ২ কাপ
পানি- প্রয়োজন মত
বানানোর পদ্ধতি:
# দেড় কাপ পানিতে সম্পূর্ণ গুড় জ্বাল দিয়ে ঢেকে রাখুন।
# দেড় কাপ পানিতে সম্পূর্ণ গুড় জ্বাল দিয়ে ঢেকে রাখুন।
# চালের গুড়াতে লবণ ও এক কাপ পানি দিয়ে মসৃন করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রনটি খুব বেশী পাতলা মনে হলে আরও একটু গুড়া মেশাতে পারেন। তবে পাতলা মিশ্রনের পিঠা ভিজানোর পরে নরম হয়। আর মিশ্রনটি বেশী ঘন হলে পিঠা খুব একটা নরম হবে না।
# চিতই পিঠা বানানোর খোলায় সামান্য তেল দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এরপর খোলা গরম করে টেবিল চামচের দুই চামচ মিশ্রন খোলায় ছেড়ে দিয়ে ঢেকে দিন। আর ঢাকনার চারপাশে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন।
# ৩-৪ মিনিট পরে ঢাকনা তুললে দেখা যাবে পিঠা গায়ে ছোট ছোট ছিদ্র হয়ে আছে। তখন পিঠা তুলে দুধ-গুড়ের সিরায় ভিজিয়ে রাখুন। একইভাবে সবগুলো পিঠা বানিয়ে দুধ-গুড়ের রসে ভেজাতে হবে।
# সব পিঠা ভিজানো হয়ে গেলে চুলায় দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।
# ঠান্ডা হয়ে গেলে সম্পূর্ণ দুধ দিয়ে ৬-৭ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। খুব ভালো হয় যদি রাতে ভিজিয়ে রাখেন।
আর, রাতে ভিজিয়ে রাখলেই শীতের সকালে পরিবেশন করতে পারবেন নতুন গুড়ের মজাদার দুধ-চিতই।
আর, রাতে ভিজিয়ে রাখলেই শীতের সকালে পরিবেশন করতে পারবেন নতুন গুড়ের মজাদার দুধ-চিতই।