বৃহস্পতিবার, জুলাই ০৩, ২০১৪

‘ব্রাজিল’কেও হারালো আর্জেন্টিনা

মাঠে ১১ জনের বিপক্ষে ১১ জন খেলবে, এটাই তো ফুটবলের নিয়ম। কিন্তু আর্জেন্টিনা কিন্তু গত ম্যাচে জিতেছে সুইজারল্যান্ডের ৪০ হাজার ১১ জনের বিপক্ষে। অথবা অন্যভাবে বলা যায়, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নয়, আসলে ব্রাজিলের বিপক্ষেই জিতেছে আর্জেন্টিনা!
ভ্রু কোঁচকানোর কিছু নেই। গ্যালারিতে সুইজারল্যান্ডের ৪০ হাজার সমর্থককে হিসাব থেকে বাদ দেবেন কেন! একটা ব্যাপার গোলমেলে লাগতেই পারে। পাশের দেশ আর্জেন্টিনা থেকে এত কম সমর্থক এল স্টেডিয়ামে, অথচ সেই সুদূর ইউরোপ থেকে উড়ে এল ৪০ হাজার সুইস সমর্থক?
ম্যাচের আগেই সুইজারল্যান্ড স্বাগতিক ব্রাজিল সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছিল তাদের সমর্থন দিতে। সেই আহ্বানে ভালোমতো সাড়া দিয়েছে ব্রাজিলের দর্শকেরা। ৪০ হাজার সুইজারল্যান্ড সমর্থকের গর্জনে প্রায় সময়েই ফিকে হয়ে গেছে ২০ হাজার আর্জেন্টাইন সমর্থকের চিত্কার।
আর্জেন্টিনার শিরোপা-পথের সম্ভাব্য বাধা যেমন ব্রাজিল, ঠিক একই কারণে ব্রাজিলও চায় আগেভাগেই বিদায় নিক আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের জার্সির রং এক দিনের জন্য যেন লালই হয়ে গিয়েছিল। সুইজারল্যান্ড-আর্জেন্টিনা ম্যাচে তাই অ্যারেনা করিন্থিয়ান্সের গ্যালারি ছিল ‘লালে লাল’। ‘সুই-কা’ বলে চিত্কার করে জানান দিচ্ছিল তাদের সমর্থন। পর্তুগিজ ভাষায় ‘সুইজারল্যান্ড’কে এভাবেই ডাকা হয়।
বিপক্ষ দলের সমর্থনে এমন জয়ধ্বনি বাড়তি মানসিক চাপ তো বটেই। সুইজারল্যান্ডের সমর্থকদের বিরুদ্ধে তো বটেই, ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও তাই খেলতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।
মাঠে সুইজারল্যান্ডের ৪০ হাজার সমর্থকের মধ্যে কিন্তু সবার খুব পরিচিতও একজন ছিলেন। লাল জার্সির দলের পক্ষে গলা না ফাটালেও হলুদ জার্সির কিংবদন্তি পেলে নিশ্চয়ই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের শুভকামনাও জানাননি। এদিন আর্জেন্টাইনরাও পেলের বিরুদ্ধে গ্যালারিতে ছিল সরব। মাঠের বড় পর্দায় যখনই দেখানো হয়েছে পেলেকে, তখনই দুয়োধ্বনি দিয়েছে আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা।
মাঠে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দেখা হোক বা না-হোক, মাঠের বাইরে আগেই এক চোট ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার টক্কর কিন্তু হয়েই গেল!