রবিবার, জুলাই ০৬, ২০১৪

দুইটি অনুগল্পঃ শেষ ছায়া ও শেষ বিকেল

অনু গল্পঃ শেষ ছায়া

একজন লিকলিকে শুকনো লোককে বসিয়ে রাখা হয়েছে বাড়ির বাইরের বাগানে। একটু দুরেই গেরস্ত বাড়ির ! বাঁয়ে পুকুড় পাড় ! দুর থেকে দেখলে যে কারো ধারনা হতে পারে কোন লোক কে নয় যেন একটা চিকন বাঁশের পুতুলকে বসিয়ে রাখা হয়েছে চেয়ারের উপরে !

লোকটির নাম আব্দুল লতিফ ! বয়স ৭০ পার হয়েছে । চোখে ভারি ফ্রেমে চশমা ! তবুও খুব একটা দেখতে পারেন কি না সন্দেহ ! আর দেখতে পারলেও কিছু বলতে পারেন না ! মাঝে মাঝে কেবল ইশারা করেন ! মুখ দিয়ে গোঙ্গানীর মত আওয়াজ হয় ! ডান হাতে একটু বল আছে ! একটু আধটু ওঠাতে পারেন ! শরীরের প্রতিটি হাড় গোনা যায় স্পষ্ট করে ! গায়ে আর কোন মাংস আছে বলে মনে হয় না ! অন্তত আব্দুল লতিফকে দেখে তা মনে হয় না কিছুতেই । কেবল মনে হয় যেন কিছু হাড়ের উপর চামড়া টা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে !

আব্দল লতিফের আজকে গোসল করানো হবে, যদিও আজকে তার গোসল করানোর দিন না ! শরীরে কোন প্রকার বল পান না বলে একা একা গোসল করতে পারেন না ! প্রতিদিন তাকে গোসল করিয়ে দিবে এতো সময় কারো হাতে নেই ! সময় করে বাধরুমে নিয়ে যাওয়ার লোকই খুজে পাওয়া যায় না ঠিক মত, গোসল তো অনেক পরের ব্যাপার !

সপ্তাহে শুক্রবার তাকে গোসল করানো হয় ! নামাজের আগে ডলে তার শরীর থেকে সাত দিনের জমা হওয়া হওয়ার ময়লা তোলা হয় ! এই ময়লা তোলার কাজ টা করে মজিদ ! এই বাড়ির কেয়ারটেকার সাথে সাথে আব্দুল লতিফের সার্বক্ষনিক সঙ্গী ! তাকে দেখা শুনা করার দায়িত্ব আব্দুল মজিদের উপরে !

গোসলের কিছুটা সময় আগে আব্দুল লতিফ কে রোদে বসিয়ে রাখা হয় ! সাত দিন এক ভাবে ঘরে শুয়ে থাকাটা কাটাতে কিছুটা সময় তাকে রোঁদের বসিয়ে রাখা হয় !

মজিদের বয়স প্রায় ৪০ বছর হয়ে গেছে ! এখনও বিয়ে করে নি । আরও ভাল করে বলতে গেলে তাকে বিয়ে করার মত এখনও কোন মেয়ে খুজে পাওয়া যায় নি !
রাতের বেলা মজিতের মাথার একটু সমস্যা দেখা দেয় ! প্রায় রাতেই সে ভয় পায় ! শুধু ভয় পেয়েই চুপ থাকে না ! প্রায় রাতেই তাকে মেয়েদের মত কাঁদতে শোনা যায় ! এবং একটা পর্যায়ে কান্নার আওয়াজটা পুরো গ্রামের মানুষ শুনতে পারে ! ছোট বেলায় মজিদের মা তার পাশে থাকতো । মা চলে যাওয়ার পরে আর কাউকে পাওয়া যায় নি ! সেই ১৭ বছর বয়স থেকেই মজিদ আব্দুল লতিফের বাসায় আছে ! তখন আব্দুল লতিফ সুস্থ সবল মানুষ ছিলেন ! প্রথমে মজিদ ভয় পেলে আব্দুল লতিফ নিজে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিত ! আব্দুল লতিফের হাত বুলানো থেমে গেছে কিন্তু মজিদের কান্না এখনও থামে নি !

মজিদ এক বালতি পানি আব্দুল লতিফের সামনে রাখতে রাখতে বলল
-চাচাজি চশমা খুলেন ! চশমা পইড়া গুছুলে আইছেন ক্যান ?
বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ কিছু না বলে তাকিয়ে রইলেন !

আজকে মজিদের মেজাজ টা একটু খারাপ ! প্রতি শুক্রবার আব্দুল লতিফের গোসল করানোর দিন । কিন্তু গত কয়েকদিন থেকেই আব্দুল লতিফ খানিকটা অশান্ত হয়ে গেছেন ! কিছু বলতে পারেন না কিন্তু মুখ দিয়ে এক প্রকার গোঙ্গানীর মত আওয়াজ করতে থাকেন ! আব্দুল লতিফের বড় ছেলে কিছুতেই সঠিক কারন টা বুঝতে পারছিলেন না ! শেষে মনে করলেন হয়তো বাইরে যাওয়ার জন্যই এমন করছেন ! আগে অনেক দিন ঘরের ভিতর থাকলে খানিকটা অস্থির হয়ে যেতেন ! শুক্রবারের আগে আব্দুল লতিফকে তাই বাইরে আনা হল ! এই ফাকে আরেক বার গোসল করিয়ে নেওয়া ঠিক হবে বলে মনে করলেন ! এক সপ্তাহের আগে মজিদকে আবার কাজ দেওয়া হয়েছে তাই মজিদের মেজাজ একটু খারাপ !

মজিদ হাতে হাতের ইটের টুকরো টা সামনে এনে রাখলেন ! এই ইটের টুকরো দিয়ে আব্দুল লতিফের গায়ের ময়লা ছাড়ানো হবে ! গায়ের চামড়া এতোটাই কুজো আর শুকনা হয়ে গেছে যে কিছুতেই গা ডলা ছোবা দিয়ে ময়লা উঠতে চায় না ! আর ইট দিয়ে গা ডললেও আব্দুল লতিফের কোন সমস্যা হয় না ! বরং আরও আরাম লাগে ! একটু একটু অনুভুতি যেন মস্তিস্কে পৌছায় ! ছোবার ডলায় সেই অনুভুতি মাথার পর্যন্ত পৌছায় না !

মজিদ বালতি থেকে পানি নিয়ে আব্দুল মজিদের ইট দিয়ে ধুতে শুরু করলো ! কিন্তু আব্দুল লতিফের সেদিকে কোন লক্ষ্য নেই ! তার মনে আজকে অন্য কিছু ! আজকে থেকে নয়, গত তিন দিন ধরেই আব্দুল লতিফ ভয় পাচ্ছেন ! কিছু একটা দেখে ভয় পাচ্ছেন ! কালো মত কিছু একটা তার ঘরের ডান দিকের দরজার ধরে দাড়িয়ে থাকে ! কিছুতেই যায় না ! সারা দিন এক ভাবে আব্দুল লতিফের দিকে তাকিয়ে থাকে !

মজিদ ততক্ষনে পা ধোয়া শেষ করে ফেলেছে ! আব্দুল লতিফ তখনই কালো ছায়াটা দেখতে পেলেন ! মজিদের একটু পিছনেই দাড়িয়ে আছে ! আব্দুল লতিফ আবার গোঙ্গানী শুরু করলেন ! তার ভয় করছে শুরু করেছে !

-চাচাজি কি হইছে ?
মজিদ আব্দুল লতিফের চোখ দৃষ্টি লক্ষ করে পিছনে তাকালো কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না ! কিন্তু আব্দুল লতিফ ঠিকই দেখতে পাচ্ছেন ! এতোদিন কেবল ছায়া দেখতেন ! কিন্তু আজকে দিনের আলোতে ছায়াটাকে একটা পরিপূর্ন মানুষের মত মনে হচ্ছে !
আব্দুল লতিফ কালো ছায়াটাকে দুরে তাড়াতে চাইলেন ! তার শরীরে খুব বেশি জোর না থাকলেও ডান হাত টা একটু আধটু নাড়াতে পারেন ! এদিক ওদিন তাকিয়ে তেমন কিছুই পেলেন না ছুড়ে মাড়াের জন্য । তিনি নিজের চোখে চশমা টা খুলে ছুড়ে দিলেন কালো ছায়ার দিকে । এতো জোর তিনি কোথায় পেলেন তিনি নিজের জানেন না !

মজিদ কিছুটা সময় অবাক হয়ে কেবল আব্দুল লতিফের কাজ টা দেখলেন ! এক গ্লাস পানি খাওয়ার জন্যও যাকে পানি অন্যের উপরে নির্ভর করতে হয় ! সে কি না নিজের চশমা নিজে খুলে নিজেই ছুড়ে মারলেন ! কিন্তু তার থেকে বড় ব্যাপার আব্দুল লতিফ ভয় পাচ্ছে কি দেখে ! মজিদ আরও কয়েকবার পিছনে তাকালো ! কিন্তু সেখানে কিছুই নেই !

-চাচাজি সেখানে কিচ্চু নাই ! আপনে ভয় ক্যান পান ? চাচাজী !

একটু পরে আব্দুল লতিফ আরও একটা অদ্ভুদ কাজ করে ফেলল ! মজিদের হাতের ইটের টুকরো টা নিজের ডান হাত দিয়ে আবারও পেছনে ছুরে মাড়লো ! মজিদ কেবল অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো ! কি হচ্ছে !
মজিদ নিজেও ভয় পেয়ে গেল ! কেবল তার মনে হল একটা অশরীর, অপার্থিব কিছু একটা হতে চলেছে ! কোন কিছু না ভেবেই সে বাড়ির দিকে দৌড় দিল চিৎকার করতে করতে !

বাড়ির ভেতরে গিয়ে যখন লোক জন নিয়ে আবার ফিরে এল দেখলে আব্দুল লতিফ চেয়ার উল্টে পরে আছে ! সামনে পানি ভর্তি বালতিটার পানি কেমন কালো হয়ে আছে ! দুর থেকে দেখেই মনে হচ্ছে আব্দুল লতিফের দেহ প্রান নেই ! তিনি মারা গেছেন ! মারা যাওয়ার আগে কিছু একটা দেখে ভীষন ভয় পেয়েছেন !


অনু গল্পঃ শেষ বিকেল

স্যাঁতস্যাঁতে পুরানো একতলা বাড়ির ছাদ । এক পাশে রংচটা সিড়ি ঘর ! বাকি সব দিকে খোলা । বাঁ দিকে বেশ কিছু গাছ গাছাছি নিচ থেকে একেবারে ছাদ পর্যন্ত উঠে এসেছে ! ছাদের উপরে কয়েকটা ফুলের টব এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । তবে সব গুলো টবেই গাছ গুলির অবস্থা বেশ ভাল ! দেখেই বোঝা যায় নিয়মিত পরিচর্যা করা হয় সেগুলোর !

বীনু আজ বেশ কয়েকমাস পর এই বাড়িতে এসেছে । বিয়ের পর বলতে গেলে এই প্রথম ওর বাবার বাড়িতে আসা ! ছাদের এই ফুল গাছ গুলো ওর নিজের যত্নে এতো দিন বড় হয়েছে । ও চলে যাওয়ার পরে ওর মা নিয়মিত এগুলোতে পানি দেন পরিচর্যা করেন ! এগুলোর যত্ন নেওয়ার ভেতরেই মেয়ের ছোঁয়া খুজে বেড়ান যেন !

আজ বাসায় এসে বিকেল বেলা তাই বীনু নিজেই পানি দিতে উঠেছে ! অনেক দিনের কাছের বন্ধুকে যেন ফিরে পেয়েছে !
বীনুদের বাড়িটা বেশ পুরানো ! এক তলা । ছাদে কোন পানির ব্যাবস্থা নেই । পানি দিতে হলে নীচ থেকে পানি নিয়ে তারপর ছাদে উঠতে হয় ! বীনু ওদের নীল রংয়ের বালতি করে পানি নিয়ে ছাদে উঠলো !

ছাদে উঠতে গিয়েই বেশ হাপিয়ে উঠলো ! ওর স্বমাীর বাড়িতে ছাদের মটর চালিত পানির ব্যবস্থা আছে । বীনুর ইচ্ছেতেই সে বাড়িতে কিছু ফুলের টব আনানো হয়েছে । প্রতিদিন বিকেল বেলা সেখাকার টব গুলোতে পানি দিতে বীনুকে তাই কষ্ট করতে হয় না ! কিন্তু আজকে যেন একটু পরিশ্রম হয়ে গেল !

সিড়ি বেয়ে ছাদে বালতি হাতে টব গুলোর কাছে যাওয়ার সময় বীনু আর একটু বিপত্তিতে পড়লো ! ছাদের দরজার পাশেই পড়ে থাকা এক টুকরো ইটে বীনুর পা পড়লো !
"মা গো" বলে একটু আওয়াজও বের হয়ে গেল মুখ থেকে ! তবে নিজেকে সামলে নিল পরক্ষনেই ! বীনুর মা শুনতে পেলে এখনই ছুটে আসবেন । এমনিতেই বীনু আসার পর থেকে বেশ ব্যস্ত হয়ে আছেন ! এটা করছেন ওটা করছেন ! নিজের বাড়িতেই নিজেকে বীনুর কেমন মেহমান মেহমান লাগছে ! ইটের কথা বললে হয় তো তিনি আর তাকে ছাদেই আসতে দিবেন না !

বীনু পানির পূর্ন বালতিটা টবের কাছে রেখে নিজের পা পরীক্ষা করলো ।
না তেমন কিছু হয় নি ! একটু ব্যাথ্যা করছে তবে তেমন কিছু না !

এবার বীনু বালতি থেকে পানি নিয়ে টবের গাছ গুলোতে দিতে লাগলো ! মগ অর্ধ-পূর্ন করে আস্তে আস্তে করে পানি দিতে লাগলো পরিচিত ফুলের গাছের নিচে ! এই কয়েক মাস আগেও ঠিক এমন ভাবেই পানি দিতো ! আর গুন গুন করে গান গাইতো !

-বীনু কেমন আছো ?
কয়েক টা মুহুর্ত বীনুর বুকের তেতরে আওয়াজটা এমন ভাবে ধাক্কা মারলো যেন কেউ তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে । নিজেকে সামলাতে বেশ কিছুটা সময় লাগলোর বীনুর ! যখন ঘুরে তাকালো সেই পরিচিত মানুষটাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখলো ঠিক আগের মতই ! রোগা পাতলা শরীর, চোখ একটা কালো ফ্রেমের চশমা !

বেশ কিছুটা সময় বীনু সুমনের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
-কোন দিক দিয়ে এসেছো ?
-যেই দিক দিয়ে আসতাম !

বীনুদের বাড়ির বাঁ দিকে অন্যান গাছের সাথে একটা বড় পেয়াড়া গাছ আছে । অনেক ডাল শাখা প্রশাখা আছে গাছ টার ! আগে যখন সমুন ওর সাথে দেখা করতে আসতো কখনও সিড়ি দিয়ে আসতো না । যদিও বীনুদের সিড়িটা একটু বাইরের দিকে ! ওদের গেট থেকে ঢুকেই ছাদ ওঠার সিড়ি ! ছাদে ওঠার জন্য ঘরের ঢোকার কোন দরকার পরে না !

-কেন এসেছো ?
-আসতে পারি না ?
-না ! পারো না !
-এমন করে কেন বলছো ?
-কেমন করে বলবো ?
-বীনু !
এই বলে সুমন বীনুর দিকে এগুতে চাইলেই বীনু বলল
-তুমি আমার কাছে আসবা না !
সুমন তবুও থামলো না ! বীনুর দিকে আসতেই থাকলো ! একটা সময়ের এটো কাছের মানুষটাকে আজকে কিছুতেই তার ভাল লাগছে না ! বারবার মনে হচ্ছে সমুনের এখানে আসাটা ঠিক হয় নি । কিছুতেই ঠিক হয় নি !

বীনুর বালতির কাছ থেকে পেছনে সরে এল ! আবার বলল
-তুমি কাছে আসবা না !
-কেন ?
-বলেছি না কাছে আসবা না !
-বীনু !

বীনু পেছাতে পেছাতে গিয়ে পায়ে কি যেন বাঁধলো ! তাকিয়ে দেখে একটু আগে হোঁটচ খাওয়া ইটের টুকরো টা ! কোন কিছু না ভেবে বীনু ইটের টুকরো টা হাতে তুলে নিল ! সুমনের দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি চলে যাও ! না হলে কিন্তু এটা দিয়ে আমি তোমাকে মারবো !
-মারতে পারবে ?
-পারবো !
-পারবে না !
সুমনের চোখে আশ্চার্য আত্মবিশ্বাস দেখে বীনুর নিজের কাছের কেমন লাগলো ! এমন একটা সময় হয়তো ছিল ! কিন্তু এখন কি সেই আগের অনুভুতি গুলো আছে ? বীনু আবার বলল
-কাছে আসলে ভাল হবে না বলছি !

বীনুর বুকটা অল্প অল্প কাঁপছিল ! সুমনের সাথে এমন আচরন করার কোন দরকার ছিল না ! ভাল ভাবে কথা বললেই হত হয়তো । কিন্তু বীনু কেন জানি সুমন কে একটুও সহ্য করতে পারছে না ! বারবার কেবল সেদিকের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে !
কত অনুনয় বিনয় করে সুমনকে বলেছিল ওকে দুরে কোথাও নিয়ে যেতে ! কিন্তু সুমন কোন কথা শোনে নি । কেবল বলেছিল বাবার পছন্দ বিয়ে করে ফেলতে ! তাহলে আজ কেন এসেছে ! কোন অধিকারে !

হঠাৎ সুমন এক লাফে বীনুর একদম কাছে চলে এল ! বীনুর হাত টা ধরতে যাবে ঠিক তখনই বীনু একটা কাজ করলো যা সে নিজে ভাবতে পারি নি কিংবা করতে চায় নি ! হাতের ইটের টুকরো টা দিয়ে সজোরে সুমনে মুখ বরাবর ছুড়ে মাড়লো ! খুব কাছ থেকে ইটের টুকরো টা গিয়ে লাগলো সুমনের ঠিক ডান গালের একটু উপরে ! সুমন সঙ্গে সঙ্গে ছাদের উপর পরে গেল ! সুমনে চশমা টা ছিটকে পরে গেল আরও একটু দুরে !

এসব এতো দ্রুত হয়ে গেল যে বীনু কিছুই বুঝে উঠতে পারলো না ! পিছনের সব কিছু ফেলে বীনু দ্রুত সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল ! এদিকে ছাদের উপরে সুমন হাত পা ছড়িয়ে পড়ে রইলো ! একটু দুরে পড়ে রইলো তার এক কাচ ভাঙ্গা চশমা টা !অ

(তিনটি জিনিস আছে যা আমি দুইটি গল্পেই ব্যবহার করেছি । একটা বিশেষ কারনে)
উৎসঃ  সামহোয়ারইনব্লগ