১. স্কুলের ওপর ধ্যান রাখা : কলেজে যাওয়ার পর মেয়েটি আরো বিস্তৃত সামাজিক পরিবেশ পাবে। অনেক মজা করে তার সময় কাটবে ঠিকই, কিন্তু সেইসঙ্গে স্কুলে পড়াশোনার প্রতি যেমন মনযোগ ছিলো এখানেও তেমনই থাকতে হবে। কারণ কলেজের লিখাপড়াটা বেশ কঠিন।
২. যোগাযোগ স্থাপন : কলেজে উঠে আপনার মেয়ে তার ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ সব যোগাযোগ তৈরি করতে পারবে। তাই তাকে ভালো বন্ধুমহল গড়ে তুলতে হবে। কর্মজীবনে দেখা যাবে বন্ধুরাই কোনো না কোনো জায়গায় কাজ করেছেন যা তার জন্য সহায়ক হবে।
৩. সুষ্ঠু খাদ্য তালিকা মেনে চলা : এ সময়টিতে ভারসাম্যপূর্ণ এবং আদর্শ খাদ্য তালিকা মেনে চলা উচিত। তাদে দেহ-মন সুস্থ থাকবে। তা ছাড়া কলেজে পড়াশোনার চাপও সে নিতে পারবে এবং ভালো ফলাফল করবে।
৪. সঠিক দলে যোগ দেওয়া : কলেজ ক্যাম্পাস তারুণ্যে পরিপূর্ণ। আর তারুণ্যে উদ্দীপ্ত সঠিক দলের মাঝে তাকে যেনো দেখা যায় সে উৎসাহ দিতে হবে। কলেজের বিভিন্ন ক্লাব, অনুষ্ঠান এবং স্বেচ্ছাসেবায় অংশগ্রহণে তাকে উৎসাহ দিবেন।
৫. বাজেট : কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন কাজের পেছনে অর্থের যোগান নিয়ে নানা মানসিক চাপ দেখা যায়। যদি এই চাপ নিজে সামলাতে সে উদ্যোগী হয়, তবে তাকে কিছু পরামর্শ দিন। সে ক্যাম্পাসে কিছু পার্ট টাইম কাজ করতে পারে। আবার তাকে শেখান, এসব অর্থের পুরোটা দিয়ে শপিং করলে চলবে না।
৬. সঠিক মানুষে বিশ্বাস স্থাপন : বিশ্বাস বিষয়টি যথেষ্ট বিভ্রান্তিকর। এখন তাদের দেখেশুনে রাখা যাবে না। তাই কলেজ জীবনে বিশ্বাস স্থাপনে সঠিক মানুষটিকে যেনো বেছে নেওয়া হয় সে শিক্ষা দিতে হবে। কীভাবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা যায় সে শিক্ষা দিন।
৭. সাহায্য চাওয়া : সব শেষে তার মনে যেনো থাকে যে, যেকোনো সময় সাহায্যের প্রয়োজন হলেই সে তার পরিবারকে পাবে। তাই কিছু না বুঝলে বা ঝামেলায় জড়িয়ে গেলে বা ভালো পরামর্শের জন্য মেয়েটি যেনো আপনার কাছে সাহায্য চায় সে শিক্ষাটাও বেশ জরুরি। সূত্র : ইন্টারনেট
